logo
youtube logotwitter logofacebook logo

সর্বশেষ

features image

পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা।  ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মধ্যে বিভক্তি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এর আগে গত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার এলডিপি-নেতৃত্বাধীন জোটের ঐতিহাসিক পরাজয় এবং উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর পদত্যাগের পরিকল্পনার খবর অস্বীকার করেন ইশিবা। কিন্তু নিজ দলে চাপের মুখে অবশেষে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন তিনি। ইশিবা দাবি করেছেন, তিনি নিশ্চিত করতে চেয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত শুল্ক চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। ইশিবার নির্বাচনে পরাজয়ের ফলে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই তার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা কমে গেছে। এই পরাজয়ের ফলে ইশিবার জোটের নীতিগত লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের কৃষিমন্ত্রী এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শনিবার সন্ধ্যায় ইশিবার সঙ্গে দেখা করে তাকে পদত্যাগ করতে রাজি করান।/টিএ

2 সপ্তাহ আগে

কে এই নুরা পাগলা, পরিচয়ে মিলল ভয়াবহ তথ্য

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের নাম শোনা মাত্রই এখন মানুষের মনে জেগে ওঠে এক অদ্ভুত আতঙ্ক। কারণ, এখানে যা ঘটেছে, তা বাংলাদেশে আগে কখনো ঘটেনি। গত শুক্রবার সেখানে ঘটে গেছে এক নজিরবিহীন ঘটনা। জুমার নামাজ শেষে হঠাৎ উত্তেজিত জনতা ঝাঁপিয়ে পড়ে ইমাম মাহদী দাবিদার নুরুল হক ওরফে নূরাল পাগলার কবরের ওপর। মুহূর্তেই ধ্বংস করে দেওয়া হয় কাবা শরিফের আদলে নির্মিত কবর আর সেখান থেকে মরদেহ তুলে রাস্তায় এনে আগুনে পোড়ানো হয়। এরপর থেকেই দেশব্যাপী টক অব দা টাইনে পরিণত হয় ঘটনাটি। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে যে কে এই নূরাল পাগল? কবে উত্থান হয় তার? আর তার অপকর্মের সীমাই বা ঠিক কতটা গভীর? ৮০-এর দশকে নূরাল পাগলা নিজেকে ‘ইমাম মাহদী’ দাবি করে গড়ে তোলেন দরবার শরীফ। আর বানিয়ে ফেলেন নতুন কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মাহদী রাসূলুল্লাহ”। তবে অপকর্মের এখানেই শেষ নয়—পবিত্র কোরআনকে পদদলিত করে তিনি বলতেন ভোজপাতা। এমনকি আযানের বাণীকেও বিকৃত করেছিলেন বলে জানা গেছে। ফলে বহু বছর ধরেই আলেম সমাজে তীব্র ক্ষোভ আর বিতর্কের জন্ম দিয়েছে তার এমন বিকৃত ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড। তবে এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড দিয়েও একশ্রেণীর মানুষদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন এই নুরাল পাগল। এমনকি নূরা পাগলা চলে গেলেও তাঁর রেখে যাওয়া উত্তরাধিকারীরা যেন মোটেও থেমে নেই। এখনো গ্রামে গ্রামে ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড করেই চলেছে নূরা পাগলার ছেলে নূরতাজ নোভা ও তাঁর অনুসারীরা। টাকা-পয়সার প্রলোভন, চাকরির প্রতিশ্রুতি—এসব দেখিয়ে তারা দরিদ্র মানুষদের ইসলামের পথ থেকে সরিয়ে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরীত করে চলেছে বলে জানা গেছে। গত বছর এমন রিপোর্টের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে নুরাল পাগলের ছেলের এমন ইসলামবিরোধী তৎপরতা। আর তাতে তখন চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছিল মানুষের মনে। গত ২৩ আগস্ট বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান নূরাল পাগলা। এরপর রাতারাতি ভক্তরা তার জন্য বিশেষ কায়দায় কবর নির্মাণ করে, কাবার অনুকরণে সাজিয়ে লিখে দেয়, যে এটি ইমাম মাহদীর কবর। আর মুহূর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। প্রশাসনকে দাবি জানানো হলেও কার্যকর ব্যবস্থা না আসায় জনমনে ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। এরপরই জুমার নামাজের পর ঘটে যায় সেই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় বিভিন্ন আলেমরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। হেফাজতে ইসলামের নেতা শায়খ হারুন ইজহার বলেছেন, নূরাল পাগলার কর্মকাণ্ড ছিল শিরক ও বিদআতের চরম প্রকাশ। জনতার প্রতিবাদ ন্যায্য। তবে মরদেহ পোড়ানো ইসলামী শরীয়তসম্মত নয়।     এমি/এটিএন বাংলা

2 সপ্তাহ আগে

মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে জামায়াতের ১ কোটি টাকার অনুদান হস্তান্তর

মানুষের কল্যাণই জামায়াতের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য, আর সে লক্ষ্যে আমরা সব সময় আপোষহীন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি আজ বেলা ১.৪৫টায় রাজধানীর মহাখালীস্থ জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনিস্টিউট ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিশ্রুত ১ কোটি টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বনানী থানা আমীর মিজানুর রহমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা.এস এম খালিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডিরেক্টর ডা. শাহজাহান কবির। উপস্থিত ছিলেন ডা. হাসানুল বান্না, ডা.আ.সালাম,ডা.আব্দুল্লাহ ইউসুফ জামিল তিহান, ডা.শরিফুল ইসলাম, ডা.মিনহাজ উদ্দিন প্রমূখ। মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, আল্লাহ মানুষকে খলিফা হিসাবে দুনিয়াতে প্রেরণ করে সম্মানিত করেছেন। এজন্য কিছু দায়িত্ব দিয়ে তাদের শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। কালামে হাকীমে ঘোষিত হয়েছে, ‘তোমরাই সর্বোত্তম জাতি। আর তোমাদেরকে মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। যারা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দেয় এবং অসৎ কাজকে নিরুৎসাহিত করে’। হাদিসে রাসূল (সা.)-এ বর্ণিত হয়েছে, তারাই ভালো মানুষ, যারা মানুষের কল্যাণে নিবেদিত। মূলত, জামায়াত একটি গণমুখী ও কল্যাণকামী রাজনৈতিক দল। আমরা মানুষকে কুরআন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য চর্চায় উদ্বুদ্ধ করি। একই সাথে জামায়াতের পক্ষ থেকে ব্যক্তির চরিত্র পারফেক্ট করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আমরা মানুষকে কর্জে হাসানা প্রদান করি। যাতে মানুষ সুদের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পায়। ক্যান্সার হাসপাতালে আমাদের সামান্য অনুদান সে কল্যাণকামীতারই ধারাবাহিকতা। আমরা এমন একটি ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে। তিনি সে স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জন করে জান্নাত লাভ ইসলামী আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। অথচ একশ্রেণির বিরুদ্ধবাদীরা জামায়াত জান্নাতের টিকিট বিক্রি করে বলে অপপ্রচার চালায়। মূলত, আমরা নিজেরা যেমন জান্নাতে যেতে চাই, ঠিক তেমনিভাবে অন্যদেরকেও জান্নাতের দাওয়াত দিই। কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ি জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করি। গুনাহ মাফের মাধ্যমে মানুষকে জান্নাতের পথে আহবান জানাই। মানুষকে শিরক ও বিদআতমুক্ত জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত করে তুলি। আর ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়। তাই এদের সম্পর্কে সকলকে সতর্ক থাকবে হবে। তিনি আরো বলেন, একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন নির্বাচন জিকির তুলেছে। তারা আর সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছেন না। তারা যেনতেনভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু সচেতন জনতা তামাশার নির্বাচন কোন ভাবেই মেনে নেবে না। নির্বাচনের আগেই সংস্কার ও জুলাই সনদকে আইনী ভিত্তি দিতে হবে। এসবকে আইনী ভিত্তি না দেওয়া হলে অন্তর্বর্তী সরকার নিজেরাই অবৈধ হয়ে যাবে। যারা সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে অবশ্যই তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আর আগামীতে স্বৈরাচার রুখবার জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে। তিনি আগামী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও জুলাই সনদ লেখা, আইনী ভিত্তি এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহবান জানান।   এমআর/এটিএন বাংলা

3 সপ্তাহ আগে

নিজেকে তরুণী দেখিয়ে যুবকের সঙ্গে প্রেম, অতঃপর

বর্তমানে অনেকেই একাকিত্ব দূর করতে প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা খুঁজে বেড়ান সোশাল মিডিয়ায়। আর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের কল্যাণে এখন বিভিন্ন প্রেমিক জুটির অদ্ভুত কর্মকান্ডও চোখে পড়ে। এসব জুটির মধ্যে পোশাকে, আচার-আচরণে, এমনকি বয়সের ব্যবধানেও স্পষ্ট ফারাক দেখা যায়। অনেকে বেশি বয়সের ব্যবধানকে স্বাগত জানালেও এখনো নাক সিটকান বহু মানুষ। নিজেকে কমবয়সী দেখিয়ে এক মধ্যবয়সী নারী প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিলেন তার থেকে অন্তত হাঁটুর বয়সী এক যুবককে। এরপর যা ঘটল, তা বোধহয় কেউ নিজের জীবনে কল্পনাও করতে চাইবেন না। কি হয়েছিলো সেই নারীর সঙ্গে? ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মেইনপুরী জেলায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে রানী নামের ৫২ বছর বয়সী এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় অরুণ রাজপুত নামের এক ২৬ বছরের যুবকের। পরিচয় থেকে দ্রুতই সম্পর্ক গড়ায় প্রণয়ে। এরপর একবছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তারা। কিন্তু বিপত্তি বাধে তখনই যখন তারা প্রথম দেখা করেছিলেন। ইনস্টাগ্রামে ফিল্টার ব্যবহার করে নিজেকে এতদিন তরুণী হিসেবে উপস্থাপন করলেও বাস্তবে বয়সের ফারাক দেখে মোহ ভাঙে ওই যুবকের। এরপর কয়েকদিন পর যখন আরো জানলেন যে ওই নারী ইতোমধ্যেই বিবাহিতা এবং চার সন্তানের জননী তখন বোধহয় পালানোর পথ খুজছিলেন এই অনলাইন প্রেমিকার হাত থেকে বাঁচতে। যদিও প্রেমিকার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা ধার নিয়েও ফেরত দিচ্ছিলেন না অরুন। আর তাতে নিজের মান বাচাতে প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছিলেন ওই নারী। এমনকি টাকাটা ফেরত চাইতে প্রেমিকের সঙ্গে গত ১১ অগাস্ট আবারও দেখা করেন তিনি। আর সেই দেখা করাই কাল হলো এ নারীর জীবনে। এরপর যা ঘটল তা রীতিমত নির্মম। বয়স্ক প্রেমিকার দাবির হাত থেকে মুক্তি পেতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন অরুণ। তারপর  প্রেমিকার ফোনটি নিয়ে সিম কার্ড সরিয়ে ফেলেন। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি অভিযুক্ত প্রেমিকের। পুলিশের হাতে ঠিকই ধরা পড়েন তিনি। আর পুরো ঘটনায় এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।     এমি/এটিএন বাংলা

2 সপ্তাহ আগে

মা-বোন ও স্ত্রীকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তৌহিদ আফ্রিদি

বরিশাল থেকে নাটকীয় গ্রেপ্তার, রিমান্ড আর তারপর জামিন না মঞ্জুর করে কারাদন্ড পাওয়া কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি যেন এখন টক অব দা টাউনে পরিণত হয়েছেন। শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মা বোন আর স্ত্রীকে দেখে অঝোরে কেঁদেছেন ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি। ভাঙা গলায় জানিয়েছিলেন ডিবির কাছে যেতে তার বেশ ভয়। তাই তার জামিনের চেষ্টা করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তবে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত বছরের জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এক হত্যাকাণ্ডের মামলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। শনিবার এজলাসে তোলার সময় তার মুখে কালো মাস্ক, মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া ও গায়ে ছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। বিচারক এজলাসে উপস্থিত থাকার সময় তার মা, বোন ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে দেখে তৌহিদ আফ্রিদি অঝোরে কাঁদতে থাকেন। সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও আবেগে ভেঙে পড়েন। এ সময় তার প্রিয় খাবার আনলেও তাকে খাওয়ানোর কোনো অনুমতি মেলেনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান তৌহিদ আফ্রিদির পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তিনি জানিয়েছেন,তৌহিদের ব্যবহৃত মোবাইল, সিপিইউ ও আইম্যাক জব্দ করা হয়েছে। আইটি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা সেগুলো পরীক্ষা করছেন বলে জানা গেছে। তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে উস্কানিমূলক বক্তব্য ও প্রচার চালাতেন আফ্রিদি। এমনকি রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে, যা যাচাই-বাছাই চলছে। তদন্ত কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, জামিনে মুক্তি পেলে তিনি পলাতক হতে পারেন এবং তদন্ত বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুনানিতে আসামি পক্ষ জামিন চাইলেও রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তৌহিদ আফ্রিদিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে রোববার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত।     এমি/ এটিএন বাংলা

2 সপ্তাহ আগে

মালয়েশিয়ার ফার্স্ট লেডির সঙ্গে হাত মেলাতে গিয়ে লজ্জায় চীনের প্রেসিডেন্ট!

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের ঐতিহাসিক তিয়ানআনমেন স্কয়ার, যেখানে প্যারেডে যোগ দেয়ার আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের ও তার স্ত্রী ড. ওয়ান আজিজাহকে উষ্ঞ অভ্যর্থনা জানাতে করমর্দনের উদ্দেশে হাত বাড়িয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কিন্তু সে মুহূর্তে ঘটলো এমন এক ঘটনা যা রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। বুধবার কিম জং উন, ভ্লাডিমির পুতিনসহ বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রপ্রধানরা চিনের বিজয় দিবসের প্যারেডে যোগ দিতে এসেছেন। আর এমন হেভিওয়েট আনুষ্ঠানিকতার দিকে যেন বিষ্ময়ে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্বের মানুষ। গুরুত্বপূর্ণ এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চীনে এসেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের ও তার স্ত্রী ড. ওয়ান আজিজাহও। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হাসিমুখে তাদের দিকে হাত বাড়ালেন, আর সবাইকে অবাক করে দিয়ে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার ফার্স্ট লেডি ড. ওয়ান আজিজাহ। কেন বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে যোগ দিয়েও তার সঙ্গে হাত মেলাননি মালয়েশিয়ার ফার্সট লেডি? জানা গেছে, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণেই তিনি হাত মেলাননি চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। তবে ঠিকই চীনের ফার্স্ট লেডি পেঙের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তিনি। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা। কেউ কেউ বলছেন, ভরা মজলিশে এমন অস্বীকৃতি শি জিনপিংয়ের জন্য লজ্জাজনক আবার অনেকেই মালয়েশিয়ার ফার্স্ট লেডিকে নীতিবোধ ও ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন। এদিকে আনোয়ার ইব্রাহিম বর্তমানে চার দিনের সফরে চীনে অবস্থান করছেন। সফরের অংশ হিসেবে তিনি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। অংশ নিয়েছেন তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত এসসিও প্লাস সম্মেলনে এবং চীনের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছেন। অন্যদিকে একই আয়োজনে যোগ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ আরও অনেকে। তবে এত কূটনৈতিক জৌলুশের মাঝেও আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে এই মুহূর্তও  যেখানে করমর্দনের বদলে ধর্মীয় রীতি মেনে সৌজন্যতা প্রকাশ করেও সম্মান প্রদর্শন সম্ভব।     এমি/এটিএন বাংলা

2 সপ্তাহ আগে

চীন–রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে যেভাবে ট্রাম্পকে টক্কর দিলেন মোদি!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একহাত দেখে নিতে আমেরিকার শত্রুদেশ চিন, রাশিয়ার সঙ্গে এবার হাতে হাত মিলিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনে দেখা গেল বিরল দৃশ্য—একসঙ্গে দাঁড়িয়ে খোশালাপে মেতেছেন শি জিনপিং, ভ্লাদিমির পুতিন আর নরেন্দ্র মোদি। তাতে যেন বিশ্ব সাক্ষী হলো ভুরাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া অনন্য এক মুহূর্তের। আর এই দৃশ্যে কার‌যত ঘুম হারাম হয়ে গেছে ট্রাম্পের। রোববার চীনের তিয়ানজিনে মুখোমুখি বসে কথা বলেছেন সিজিংপিং ও মোদি। তাদের দুজনের কন্ঠেই ছিল বিভেদ ভুলে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার বড় বার্তা। দুই নেতার এমন বার্তায় আমেরিকা যে ভুগতে যাচ্ছে তা যেন বলাই বাহুল্য। কিন্তু কিভাবে এক হলেন মোদি-পুতিন আর শি জিনপিং? মূলত ট্রাম্পের শুল্কচাপই তাদের সুযোগ করে দিয়েছে। ২০০১ সাল থেকে আমেরিকা ভারতকে ব্যবহার করে এসেছে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। কিন্তু ট্রাম্পের একের পর এক কূটনৈতিক ভুলে সেই পরিকল্পনা আজ ভেস্তে যেতে বসেছে। ভারতের রপ্তানির উপর ২৫% শুল্ক চাপানো, রাশিয়ার তেল কেনায় দ্বিগুণ শাস্তি আর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ দিয়ে মোদিকে অপমান—সব মিলিয়ে দিল্লিকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই। বিশ্লেষকদের মতে, এটাই সেই সুযোগ যা কাজে লাগাচ্ছে বেইজিং ও মস্কো। বন্ধুত্বের খাতিরে নয়, বরং ঠাণ্ডা মাথার হিসাব-নিকাশে তারা টেনে নিচ্ছে নয়া দিল্লিকে। ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে ভারত ছিল ওয়াশিংটনের প্রধান হাতিয়ার। কিন্তু যদি চীন-ভারত দ্বন্দ্ব প্রশমিত হয়, তবে আমেরিকার কৌশল কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়বে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে QUAD জোটের ওপর, যেখানে ভারত ছিল জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অংশীদার। চীন–ভারতের ঘনিষ্ঠতা মানে কোয়াডের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাওয়া, আর এতে দুর্বল হয়ে পড়বে চীন-বিরোধী অবস্থান। এমন পরিস্থিতিতে এ বছরের শেষ দিকে ভারতের সফর বাতিল করেছেন ট্রাম্প। ভারতকে বিকল্প সরবরাহ শৃঙ্খল হিসেবে দেখত যুক্তরাষ্ট্র, যাতে চীনের উপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়। কিন্তু দিল্লি যদি বেইজিংয়ের সঙ্গে গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে, তবে আমেরিকার প্রভাব স্পষ্টতই কমবে। একইসঙ্গে বহুমেরু বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে এই ত্রয়ী—চীন, ভারত ও রাশিয়া—যা সরাসরি চ্যালেঞ্জ হবে আমেরিকার বৈশ্বিক নেতৃত্বের জন্য। তবে প্রশ্ন উঠেছে—ভার-চিন-রাশিয়ার এই ত্রয়ী জোট কি স্থায়ী হবে? নাকি তা কেবলই বর্তমান স্বার্থে গড়া এক অস্থায়ী সম্পর্ক? কারণ তাদের সাথে জোট গড়লেও দিল্লি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজারের উপর নির্ভরশীল। আর প্রতিরক্ষা সহযোগিতাও কম নিচ্ছে না তারা। ফলে সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা কম। অনেকেই মনে করছেন, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দেখিয়ে আসলে ট্রাম্পের কাছে নিজের দর কষাকষির শক্তি বাড়াচ্ছেন মোদি। ট্রাম্প প্রশাসনের একক সিদ্ধান্ত হয়তো আপাতত দিল্লিকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু ভূরাজনীতির খেলায় প্রতিটি পদক্ষেপই গুরুত্বপূর্ণ। সাংহাই সম্মেলনে শি–পুতিন–মোদির একসাথে হাসিমুখে ছবি নিঃসন্দেহে ওয়াশিংটনের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ। তাহলে কি সত্যিই এশিয়া হাতছাড়া হতে যাচ্ছে আমেরিকার? নাকি মোদি কেবল কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির জন্যই এই নতুন সমীকরণে হাঁটছেন?     এমি/এটিএন বাংলা

2 সপ্তাহ আগে
section ads image

খেলা

অবশেষে জানা গেল ২০২৬ বিশ্বকাপ ড্রয়ের সম্ভাব্য সময়

২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা যৌথভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরোদমে। ১৯৯৪ সালের পর আবারও যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ ফিরছে, আর সেই ধারাবাহিকতায় এবারের ড্র অনুষ্ঠান নিয়েও উত্তেজনা তুঙ্গে। লাস ভেগাসের বিখ্যাত ‘দ্যা স্ফেয়ার’ সেন্টারে হতে পারে জমকালো এই ড্র অনুষ্ঠান, যেখানে ৫৪ হাজার বর্গমিটার স্ক্রিনে একসঙ্গে সাড়ে সতেরো হাজার মানুষ উপভোগ করতে পারবেন আয়োজনে। ড্র অনুষ্ঠানটি ২০২৫ সালের ৫ ডিসেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও, ওই তারিখে ভেন্যুটি আগেই বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ইএসপিএন। তবুও সংবাদমাধ্যমটি দাবি করছে, বিকল্প ভেন্যু খুঁজে না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত লাস ভেগাসেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। কানাডা ও মেক্সিকোর কিছু শহর আলোচনায় থাকলেও, ভেগাসকেই বেছে নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ইতোমধ্যে মেক্সিকান ক্লাব পাচুকার নির্বাহী পেদ্রো চেদিল্লো জানিয়েছেন, ড্র ভেগাসেই হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি তিনি তার দেশের পক্ষে ট্রেনিং ক্যাম্প আয়োজনের জন্যও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফিফা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ড্রয়ের সময় ও ভেন্যু ঘোষণা করেনি। এই প্রথমবারের মতো ৪৮ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ, যেখানে ১২টি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিযোগিতা হবে। ১১ জুন শুরু হয়ে ১৯ জুলাই নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ। ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাসও তুঙ্গে। এখন পর্যন্ত ১৩টি দল ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে। স্বাগতিক তিন দেশের সঙ্গে আর্জেন্টিনা, জাপান, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, জর্ডান, নিউজিল্যান্ড, ব্রাজিল, ইকুয়েডর ও অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাকিরা এখনো লড়াই করছে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত টিকিটের জন্য। /টিএ

1 মাস আগে

বাণিজ্য

পোষা ডলফিন মেরে ফেলেছে সুন্দরী প্রশিক্ষককে, আসলে যা ঘটেছে…

জেসিকা র‌্যাডক্লিফ নামের এক সুন্দরী নারী প্রশিক্ষককে নিয়ে খেলা দেখাচ্ছিল বিশালাকৃতির এক ডলফিন। তাদের দুজনের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে মুহুর্মুহু হাত তালি দিয়েছিলেন দর্শকরা। কিন্তু হঠাৎ সেখানে ঘটে যায় এমন এক ঘটনা যাতে আনন্দ রূপ নেয় আতঙ্কে। ভয়ে আতঙ্কে শুরু হয় দর্শকদের  ছুটোছুটি। এমন একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা গেছে নারী প্রশিক্ষককে হঠাৎ আক্রমণ করে বসে পোষা ডলফিনটি। এবং তাতে নিহত হন এ নারী প্রশিক্ষক। তবে এবার এ ঘটনায় জানাগেল এমন এক সত্য যাতে করে তাজ্জব বনে গেছেন নেটিজেনরা। দর্শক, কি ভাবছেন ওই প্রশিক্ষক এখনো জীবিত? আসলে চমকটা এখানেই। পুরো কাহিনীটাই মিথ্যে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েট স্টার সহ একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে আসলে এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। সরকারি নথি সামদ্রিক নিরাপত্তা প্রতিবেদন কিংবা বিশ্বস্ত সূত্রে জেসিকা রেডক্লিফ নামের ওই প্রশিক্ষকের খোঁজও পাওয়া যায়নি। আসলে এমন কোনো প্রশিক্ষকই নেই, সুতরাং তার মারা যাওয়ারও কোনো প্রশ্নই আসেনা। কারণ, পুরো ভিডিওটাই এ আই দিয়ে বানানো। ভোকাল মিডিয়া সহ তথ্য যাচাইকারী একাধিক সংস্থার বরাদ দিয়ে দা স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভিডিওটি তৈরিতে ভুয়া ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে এবং ভিডিওর ভয়েস ওভারও এআই দিয়ে তৈরি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, জেসিকা র‌্যাডক্লিফ নামে এক প্রশিক্ষককে হত্যা করছে একটি ডলফিন। ভিডিওতে দেখানো ডলফিনটি ওরকা প্রজাতির। এটি ডলফিন পরিবারের সবচেয়ে বড় প্রজাতি। এ ধরনের ডলফিনকে সাধারণত ‘কিলার হোয়েল বলা হয়। ফেসবুক ও টিকটকের অনেক ব্যবহারকারী ভিডিওটি শেয়ার করলেও কেউই উল্লেখ করেননি ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য স্টারসহ একাধিক গণমাধ্যম বলছে, এমন কোনো ঘটনা আসলে ঘটেইনি। ভোকাল মিডিয়াসহ তথ্য যাচাইকারী একাধিক সংস্থার বরাত দিয়ে দ্য স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিওটি তৈরিতে ভুয়া ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে। ভিডিওর ভয়েস ওভারও এআই দিয়ে তৈরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘটনাকে চাঞ্চল্যকর দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রায়ই এমন ভুয়া গল্প বানানো হচ্ছে। এগুলো দর্শকের আবেগ উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা মাত্র। এমি/ এটিএন বাংলা 

যেভাবে খুব সহজে ফেসবুক প্রোফাইলে মনিটাইজেশন পাবেন

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এখন শুধু বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং হাজারো মানুষের আয়ের উৎস। মেটার মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্মের কয়েকশ কোটি ব্যবহারকারীর বড় একটি অংশ এখন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করে মাসে আয় করছেন লাখ টাকারও বেশি। তবে ফেসবুক থেকে আয় করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন মনিটাইজেশন অনুমোদন। আগে যেটি সহজে পাওয়া গেলেও বর্তমানে তা অনেকটা "সোনার হরিণ" হয়ে দাঁড়িয়েছে। কঠোর নিয়মকানুনের মধ্যে থেকেও আপনি চাইলে কিছু সহজ কৌশল মেনে নিয়ে ফেসবুক প্রোফাইল থেকে আয় শুরু করতে পারেন। ফেসবুক প্রোফাইল মনিটাইজেশন কীভাবে চালু করবেন? বর্তমানে ফেসবুক ‘প্রোফেশনাল মোড’ চালুর সুবিধা দিয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যক্তিগত প্রোফাইল কনটেন্ট ক্রিয়েটর প্রোফাইলে রূপান্তরিত হয়। এতে এনালিটিক্স, ফলোয়ার বৃদ্ধির অপশন, রিলস মনিটাইজেশন ও স্পনসর্ড কনটেন্টের সুবিধা পাওয়া যায়। মনিটাইজেশন চালু করতে যা করবেন: প্রোফাইলে প্রোফেশনাল মোড চালু করুন ক্রিয়েটর স্টুডিও বা মেটা বিজনেস সুইট অ্যাপ ডাউনলোড করুন কনটেন্ট পারফর্মেন্স নিয়মিত চেক করুন রিলস বোনাস, অ্যাডস অন রিলস, বা স্টার সুবিধা চালু হলে পেমেন্ট সেটআপের জন্য ফেসবুক আপনাকে নির্দেশনা দেবে পেমেন্ট সেটআপের জন্য পেওনার অ্যাকাউন্ট বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করুন মনিটাইজেশন পাওয়ার শর্তসমূহ: বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে ফলোয়ার সংখ্যা কমপক্ষে ৫ হাজার (বিশেষ করে রিলস বোনাস পেতে) নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট পোস্ট করতে হবে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলা বাধ্যতামূলক সতর্ক থাকুন যেসব বিষয়ে: কপিরাইটযুক্ত ভিডিও বা সংগীত ব্যবহার করবেন না নিয়মিত কমিউনিটি গাইডলাইন অনুসরণ করুন অন্যের ভিডিও বা কনটেন্ট চুরি করবেন না সংবেদনশীল বিষয় প্রকাশে সতর্কতা বজায় রাখুন কোন কনটেন্ট থেকে আয় হয়? বর্তমানে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে রিলস ভিডিও-এর উপর। এর মাধ্যমে আয় করার কয়েকটি উপায়: রিলস বোনাস: কিছু দেশে রিলস ভিডিওর উপর ভিত্তি করে বোনাস দেওয়া হয়, যা $100 থেকে শুরু হতে পারে Ads on Reels: ভিডিওর মাঝে স্বয়ংক্রিয় বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় হয় Brand Collaboration Manager: স্পনসর ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করে অর্থ উপার্জন Live Streaming: দর্শকরা লাইভ চলাকালীন স্টার পাঠিয়ে আয় করতে সহায়তা করে স্পনসর প্রোমোশন: জনপ্রিয় প্রোফাইল হলে ব্র্যান্ডরা প্রোডাক্ট প্রোমোশনের জন্য অর্থ প্রদান করে প্রোফাইল সাজাতে যা করবেন: প্রফেশনাল প্রোফাইল পিকচার ও কভার ফটো ব্যবহার করুন ইন্ট্রো সেকশনে নিজের পরিচয় ও কাজের ক্ষেত্র উল্লেখ করুন Follow অপশন চালু রাখুন ৩০ সেকেন্ডের বেশি দৈর্ঘ্যের ভিডিও কনটেন্ট নিয়মিত পোস্ট করুন ট্রেন্ডিং বিষয় (নিউজ, টিপস, রিভিউ, ফান) বেছে নিন নিজস্ব USP (Unique Style or Topic) তৈরি করুন – যেমন ভ্রমণ, রান্না, মেকআপ বা ফানি কনটেন্ট প্রতিদিন বা নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে নিয়মিত পোস্ট করুন   এম আর/এটিএন বাংলা

অনলাইন জরিপ

survey image

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পিআর পদ্ধতি হোক

মোট ভোটদাতাঃ 0 জন

সারাদেশ

মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে জামায়াতের ১ কোটি টাকার অনুদান হস্তান্তর

মানুষের কল্যাণই জামায়াতের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য, আর সে লক্ষ্যে আমরা সব সময় আপোষহীন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি আজ বেলা ১.৪৫টায় রাজধানীর মহাখালীস্থ জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনিস্টিউট ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিশ্রুত ১ কোটি টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বনানী থানা আমীর মিজানুর রহমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা.এস এম খালিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডিরেক্টর ডা. শাহজাহান কবির। উপস্থিত ছিলেন ডা. হাসানুল বান্না, ডা.আ.সালাম,ডা.আব্দুল্লাহ ইউসুফ জামিল তিহান, ডা.শরিফুল ইসলাম, ডা.মিনহাজ উদ্দিন প্রমূখ। মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, আল্লাহ মানুষকে খলিফা হিসাবে দুনিয়াতে প্রেরণ করে সম্মানিত করেছেন। এজন্য কিছু দায়িত্ব দিয়ে তাদের শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। কালামে হাকীমে ঘোষিত হয়েছে, ‘তোমরাই সর্বোত্তম জাতি। আর তোমাদেরকে মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। যারা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দেয় এবং অসৎ কাজকে নিরুৎসাহিত করে’। হাদিসে রাসূল (সা.)-এ বর্ণিত হয়েছে, তারাই ভালো মানুষ, যারা মানুষের কল্যাণে নিবেদিত। মূলত, জামায়াত একটি গণমুখী ও কল্যাণকামী রাজনৈতিক দল। আমরা মানুষকে কুরআন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য চর্চায় উদ্বুদ্ধ করি। একই সাথে জামায়াতের পক্ষ থেকে ব্যক্তির চরিত্র পারফেক্ট করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আমরা মানুষকে কর্জে হাসানা প্রদান করি। যাতে মানুষ সুদের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পায়। ক্যান্সার হাসপাতালে আমাদের সামান্য অনুদান সে কল্যাণকামীতারই ধারাবাহিকতা। আমরা এমন একটি ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে। তিনি সে স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জন করে জান্নাত লাভ ইসলামী আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। অথচ একশ্রেণির বিরুদ্ধবাদীরা জামায়াত জান্নাতের টিকিট বিক্রি করে বলে অপপ্রচার চালায়। মূলত, আমরা নিজেরা যেমন জান্নাতে যেতে চাই, ঠিক তেমনিভাবে অন্যদেরকেও জান্নাতের দাওয়াত দিই। কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ি জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করি। গুনাহ মাফের মাধ্যমে মানুষকে জান্নাতের পথে আহবান জানাই। মানুষকে শিরক ও বিদআতমুক্ত জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত করে তুলি। আর ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র নতুন কিছু নয়। তাই এদের সম্পর্কে সকলকে সতর্ক থাকবে হবে। তিনি আরো বলেন, একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন নির্বাচন জিকির তুলেছে। তারা আর সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছেন না। তারা যেনতেনভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু সচেতন জনতা তামাশার নির্বাচন কোন ভাবেই মেনে নেবে না। নির্বাচনের আগেই সংস্কার ও জুলাই সনদকে আইনী ভিত্তি দিতে হবে। এসবকে আইনী ভিত্তি না দেওয়া হলে অন্তর্বর্তী সরকার নিজেরাই অবৈধ হয়ে যাবে। যারা সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে অবশ্যই তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আর আগামীতে স্বৈরাচার রুখবার জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে। তিনি আগামী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও জুলাই সনদ লেখা, আইনী ভিত্তি এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহবান জানান।   এমআর/এটিএন বাংলা

3 সপ্তাহ আগে
bdnews-card-img

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ, নারীকে ডিবির হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ

রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ দেয়ার ঘটনায় সুমাইয়া জাফরিন নামে এক নারীকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।জানা গেছে, সুমাইয়া জাফরিন অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সাদিকের স্ত্রী। সুমাইয়া জাফরিনও স্বামীর সঙ্গে ওই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাকে খুঁজছিল পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর বসুন্ধরার কে বি কনভেনশন হলের ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে সুমাইয়া জাফরিন নামে এক নারীকে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি কনভেনশন সেন্টারে আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপন প্রশিক্ষণ চালানোর অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেজর সাদিককে সেনাবাহিনীর হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সেনা কর্তৃপক্ষ। এর আগে, ৩১ জুলাই বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মেজর সাদিক নামে সেনাবাহিনীর একজন অফিসার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে- এমন সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেজর সাদিককে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মেজর সাদিকের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। যদিও বিষয়টি তদন্তাধীন আছে, তারপরও আমি বলব, যে এ রকম একটা ঘটনার কথা জানার পরে সেনাবাহিনী তাকে হেফাজতে নিয়েছে এবং তদন্ত চলমান আছে। তদন্তে তার দোষ প্রমাণিত হলে নিঃসন্দেহে সেনাবাহিনীর প্রচলিত নিয়মে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন আছে তাই এর বেশি এই মুহূর্তে বলা আমার মনে হয় সমীচীন হবে না। এম এইচ/ এটিএন বাংলা

1 মাস আগে
bdnews-card-img

আজ জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে জামায়াতে ইসলামী

‘জুলাই ঘোষণা’ নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় যাচ্ছে জামায়াত আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া বুধবার (৬ আগস্ট) জানানো হবে, ইনশাআল্লাহ। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘোষিত জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক রয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন। সেখানে জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার।   এম এইচ, এটিন বাংলা  

1 মাস আগে
bdnews-card-img

শীর্ষ ৫ নেতাকে শোকজ করলো এনসিপি

৫ আগস্ট ঐতিহাসিক 'জুলাই অভ্যুত্থানের' প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি পালিত হলেও জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ পাঁচ নেতা সেই সময়ে ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজারে অবস্থান করেন। বিষয়টি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের পর্যায়ে পড়ে বলে মনে করছে পার্টির নেতৃত্ব। ফলে ওই পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করেছে এনসিপি। বুধবার (৬ আগস্ট) দলের পক্ষ থেকে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজার সফর সম্পর্কে ‘রাজনৈতিক পর্ষদ’কে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। অভিযুক্ত নেতারা হলেন— তাসনিম জারা, খালেদ সাইফুল্লাহ, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। শোকজ নোটিশে দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং সংশ্লিষ্টদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযুক্তদেরকে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এই দিনে দায়িত্বশীল নেতাদের এমন অবহেলা নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থার বার্তা দেয়। বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে এবং দলীয় শৃঙ্খলার প্রশ্নে তা মেনে নেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে পার্টি। এছাড়া ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে সংগঠনের নীতিমালার আলোকে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এনসিপি। ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-পরবর্তী নতুন ব্যবস্থার প্রথম বার্ষিকীকে ঘিরে এমন ঘটনার প্রেক্ষাপটে দলের ভেতরেই ক্ষোভ দানা বাঁধছে বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও কেন শীর্ষ এই পাঁচ নেতা তখন কক্সবাজার অবস্থান করছিলেন তার নিদির্ষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। /টিএ  

1 মাস আগে
bdnews-card-img

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিত, বহাল কেন্দ্রীয় কমিটি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি বাদে সারাদেশের সব শাখা কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ। সংবাদ সম্মেলনে রিফাত রশিদ জানান, সংগঠনের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সকল কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এটি একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো অপরাধের দায় স্বীকার করে আগে এমন উদ্যোগ কোনো ছাত্র সংগঠন নেয়নি।” তিনি অভিযোগ করেন, “বৈষম্যবিরোধী ব্যানারকে কলুষিত করার জন্য পরাজিত ও ষড়যন্ত্রী শক্তিরা বিভিন্নভাবে এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। আমরা সংগঠনকে দুর্নীতিমুক্ত ও আদর্শিক রাখতে চাই। যারা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।” এদিকে, সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া চারজনকে আজ আদালতে হাজির করা হলে, আদালত তাদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অভিযুক্তরা হলেন—ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাব এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। গ্রেফতারের এই ঘটনার পর থেকেই সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষায় এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন রিফাত রশিদ। সংগঠনের অভ্যন্তরীণ তদন্ত ও কাঠামোগত সংস্কার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া অন্য সকল ইউনিটের কার্যক্রম স্থগিত থাকলেও ভবিষ্যতে যাচাই-বাছাই শেষে নতুন কমিটি গঠন করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন সভাপতি। /টিএ

1 মাস আগে

বিনোদন

কিশোর কুমার: হাসির আড়ালের বেদনাময় কিংবদন্তি

কমেডি থেকে রোমান্টিক ঘরানা, কোথায় নেই তার বিচরণ? কখনো বিখ্যাত নায়কদের লিপে, কখনো নিজেই পর্দা হাজির হয়ে দিয়েছেন কণ্ঠ। গানে গানে, হাসি আনন্দে মাতিয়ে রাখতেন দর্শকদের। শুধু তাই-ই নয় যুগে যুগে তার গাওয়া গান, সিনেমা মুগ্ধ করেছে কোটি কোটি ভক্তকে। তিনি আর কেউ নন, তিনি কিশোর কুমার। বলিউডের ইতিহাসে কিশোর কুমার নামটা উচ্চারণ করলেই যেন ভেসে ওঠে এক অদ্ভুত বৈপরীত্যের দোলাচলের ছবি। পর্দায় তিনি ছিলেন মজার মানুষ, গানে ছিলেন অদ্বিতীয়। হাসতে হাসতে গান গাওয়া, হঠাৎ রেকর্ডিং ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া, কিংবা টাকা হাতে না পেলে গানের সুরই না তোলা, সবই যেন তার এক অদ্ভুত রূপকথার অংশ। কিন্তু এই হাসির আড়ালে লুকিয়ে ছিল এমন অবর্ণনীয় বেদনা, যা শুধু কাছের মানুষরাই দেখেছেন। কিন্তু বাস্তব জীবনে ছিলেন এক রহস্যময় চরিত্র, যিনি একদিকে ছিলেন কোটি কোটি ভক্তের প্রিয়মুখ, অন্যদিকে ভেতরে ভেতরে পুড়ছিলেন এক অদ্ভুত বিষণ্নতায়, নিঃসঙ্গতায়। তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল অদ্ভুত বেদনাভরা এক রোমান্টিক এক সিনেমার মতো। মধুবালার সঙ্গে বিয়ের গল্প আজও শিহরণ জাগায়। কিন্তু সেই আকাশ সমান ভালোবাসাও বেশিদিন টেকেনি। এরপরও তিনি একে একে চারটি বিয়ে করেছেন, প্রতিটি সম্পর্কেই ভরপুর ছিল আবেগ, ঝড় আর অবশেষে বিচ্ছেদে মোড়ানো এক একটি ধূসর গল্প। কিশোরের খামখেয়ালি নিয়ে বলিউডে তৈরি হয়েছিল অসংখ্য কিংবদন্তি। কেউ কেউ বলতেন—রেকর্ডিং স্টুডিওতে এসে তিনি যদি সুর পছন্দ না করেন, তবে গান না গেয়েই চলে যেতেন। আবার কখনো শো-এর আগের রাতে সিদ্ধান্ত নিতেন—আমি গান গাইব না।” তবুও, যখন তিনি গাইতেন, তখন পৃথিবী থমকে যেত। নিজের জনপ্রিয়তা নিয়ে কিশোরের মনোভাব ছিল বেশ ভিন্ন। বলতেন, 'লোকেরা আমার কণ্ঠস্বরকে ভালোবাসে, আমাকে নয়।' জীবনের শেষদিকে আরও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। সন্ধ্যায় সমুদ্রতটে একা হাঁটতেন, কখনো গুনগুন করতেন, কখনো ঢেউয়ের সঙ্গে কথা বলতেন। কেউ ভাবতেন তিনি রিহার্সাল করছেন, আবার কেউ বলতেন প্রকৃতির মধ্যেই তিনি খুঁজে নিতেন শান্তি। ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিদায় নিয়েছিলেন এ কিংবদন্তি। আজও কোটি ভক্ত যখন ও মেরে দিল কে চ্যান  কিংবা জিন্দেগি এক সাফার শোনেন, মনে হয়—কিশোর যেন বেঁচে আছেন, তাদের হৃদয়ের ভেতর। হয়তো এ কারণেই বলা যায়—কিশোর কুমার শুধু একজন গায়ক বা অভিনেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন এমন এক জীবনযোদ্ধা যিনি গানে গানে আজও অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছেন কোটি ভক্তকে। হাসির আড়ালে তিনি কাঁদতে শিখিয়েছেন, আবার কান্নার ভেতরও গান শুনতে শিখিয়েছেন। সুরে সুরে ভক্তদের বলে গেছেন, রোতে রোতে হাসনা সিখো হাসতে হাসতে রোনা..     এমি/এটিএন বাংলা

2 সপ্তাহ আগে
footer small logo

ড. মাহফুজুর রহমান চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক

ওয়াসা ভবন, ১ম তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ

ফোনঃ 01767000000

সোশ্যাল মিডিয়া

youtube logotwitter logofacebook logo

আমাদের কথা

আপনার অভিজ্ঞতা

আমাদের লক্ষ্য

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা

Design & Developed by:

developed-company-logo