ওয়াসা ভবন, ১ম তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ 01767000000
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর g
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের নাম শোনা মাত্রই এখন মানুষের মনে জেগে ওঠে এক অদ্ভুত আতঙ্ক। কারণ, এখানে যা ঘটেছে, তা বাংলাদেশে আগে কখনো ঘটেনি। গত শুক্রবার সেখানে ঘটে গেছে এক নজিরবিহীন ঘটনা। জুমার নামাজ শেষে হঠাৎ উত্তেজিত জনতা ঝাঁপিয়ে পড়ে ইমাম মাহদী দাবিদার নুরুল হক ওরফে নূরাল পাগলার কবরের ওপর। মুহূর্তেই ধ্বংস করে দেওয়া হয় কাবা শরিফের আদলে নির্মিত কবর আর সেখান থেকে মরদেহ তুলে রাস্তায় এনে আগুনে পোড়ানো হয়। এরপর থেকেই দেশব্যাপী টক অব দা টাইনে পরিণত হয় ঘটনাটি। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে যে কে এই নূরাল পাগল? কবে উত্থান হয় তার? আর তার অপকর্মের সীমাই বা ঠিক কতটা গভীর? ৮০-এর দশকে নূরাল পাগলা নিজেকে ‘ইমাম মাহদী’ দাবি করে গড়ে তোলেন দরবার শরীফ। আর বানিয়ে ফেলেন নতুন কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মাহদী রাসূলুল্লাহ”। তবে অপকর্মের এখানেই শেষ নয়—পবিত্র কোরআনকে পদদলিত করে তিনি বলতেন ভোজপাতা। এমনকি আযানের বাণীকেও বিকৃত করেছিলেন বলে জানা গেছে। ফলে বহু বছর ধরেই আলেম সমাজে তীব্র ক্ষোভ আর বিতর্কের জন্ম দিয়েছে তার এমন বিকৃত ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড। তবে এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড দিয়েও একশ্রেণীর মানুষদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন এই নুরাল পাগল। এমনকি নূরা পাগলা চলে গেলেও তাঁর রেখে যাওয়া উত্তরাধিকারীরা যেন মোটেও থেমে নেই। এখনো গ্রামে গ্রামে ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড করেই চলেছে নূরা পাগলার ছেলে নূরতাজ নোভা ও তাঁর অনুসারীরা। টাকা-পয়সার প্রলোভন, চাকরির প্রতিশ্রুতি—এসব দেখিয়ে তারা দরিদ্র মানুষদের ইসলামের পথ থেকে সরিয়ে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরীত করে চলেছে বলে জানা গেছে। গত বছর এমন রিপোর্টের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে নুরাল পাগলের ছেলের এমন ইসলামবিরোধী তৎপরতা। আর তাতে তখন চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছিল মানুষের মনে। গত ২৩ আগস্ট বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান নূরাল পাগলা। এরপর রাতারাতি ভক্তরা তার জন্য বিশেষ কায়দায় কবর নির্মাণ করে, কাবার অনুকরণে সাজিয়ে লিখে দেয়, যে এটি ইমাম মাহদীর কবর। আর মুহূর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। প্রশাসনকে দাবি জানানো হলেও কার্যকর ব্যবস্থা না আসায় জনমনে ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। এরপরই জুমার নামাজের পর ঘটে যায় সেই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় বিভিন্ন আলেমরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। হেফাজতে ইসলামের নেতা শায়খ হারুন ইজহার বলেছেন, নূরাল পাগলার কর্মকাণ্ড ছিল শিরক ও বিদআতের চরম প্রকাশ। জনতার প্রতিবাদ ন্যায্য। তবে মরদেহ পোড়ানো ইসলামী শরীয়তসম্মত নয়। এমি/এটিএন বাংলা