ওয়াসা ভবন, ১ম তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ 01767000000
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর g
ইসরাইলের লাগাতার হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হচ্ছে গাজা উপত্যকা। শিশুর কান্না, নারীর আহাজারি আর বিধ্বস্ত শহরগুলো যেন নীরব সাক্ষী হয়ে আছে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের। বিশ্বজুড়ে একের পর এক দেশ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এর ব্যতিক্রম নয় তুরস্কও। গত বছরই দেশটি ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। আর এবার আরও কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছে তুরস্ক। নেতানিয়াহুর অস্ত্র কিনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়াকে থামাতে এবার একশনে নামছে তুরস্ক। ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে তারা। শুধু তাই নয়, ইসরাইলি জাহাজ ও বিমানের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তুরস্কের আকাশসীমা আর বন্দর। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে তেলআবিব, আর মাথায় হাত পড়েছে নেতানিয়াহুর। আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান দেশটির পার্লামেন্টের এক বিশেষ অধিবেশনে বলেন, ইসরাইল গত দুই বছর ধরে গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। মানবিক মূল্যবোধ উপেক্ষা করছে। আমরা ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করেছি। তুর্কি জাহাজগুলোকে ইসরাইলের বন্দরগামী হতে দেওয়া হচ্ছে না। একইভাবে তাদের বিমান আমাদের আকাশ সীমায় প্রবেশ করতে পারবে না। ২০২৩ সালে তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য চুক্তি হয়। তবে গত বছরের মে মাসেই তুরস্ক সরাসরি বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়ে যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় মানবিক সাহায্য প্রবেশের দাবি জানায়। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান একাধিকবার ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হিটলারের সঙ্গে তুলনাও করেছেন। তুরস্কের এই সিদ্ধান্ত কেবল একটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন নয়, এটি এক প্রকার বার্তা যে মানবতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই। গাজায় শিশুর কান্না, মায়ের আহাজারি আর ভেঙে পড়া শহরগুলোর দৃশ্য বিশ্বকে নাড়া দিচ্ছে প্রতিদিন। সেই বাস্তবতায় আঙ্কারার অবস্থান যেন নতুন করে আশা জাগায় নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের মাঝে। এমি/এটিএন বাংলা