ওয়াসা ভবন, ১ম তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ 01767000000
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর g
উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট এমন প্রবাদ যেন নেতানিয়াহুর দেশ ইসরাইলের ক্ষেত্রেই বর্তমানে বেশি প্রযোজ্য। একটা সময় নিজেদের শক্তি জাহির করে বেড়ানো ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সম্পর্কে এবার এমন তথ্য ফাস হয়েছে যাতে চমকে উঠেছে অনেকেই। বাইরে অপরাজয় ভাবমূর্তি গড়ে তুললেও ভেতরে ভেতরে বেশ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এমনকি অসুস্থতার বাহানায় ছুটি নিয়ে এক লাখ সেনা আর ব্যারাকে ফেরেননি। আর এ খবর ফাস হতেই রীতিমত মাথায় হাত নেতানিয়াহুর। ট্রাম্পের আপত্তি ও আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র নিন্দা সত্ত্বেও গাজার পূর্ণ দখল নিতে নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সেনাবাহিনী। তবে ক্লান্ত বিপর্যস্ত রিজার্ভ সেনা দিয়ে আদৌ গাজা দখল করা সম্ভব কিনা সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আর এমন বিস্ফোরক তথ্য জানা গেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের প্রায় এক লাখ রিজার্ভ সেনা ছুটি শেষে আর ফিরে আসেনি। অনেকে আবার অন্য দেশে পালিয়েও যাচ্ছে বলেও জানা গেছে। গাজা উপত্যকা দখলের জন্য নিজেদের সেনাবহরে প্রায় ২০,০০০ জন রিজার্ভ সেনার নিয়োগ চুক্তি নবায়ন করেছিল আইডিএফ। পাশাপাশি আরো ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনাকেও সাত দিনের মধ্যে এই অভিযানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইডিএফ। গাজা দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন দেওয়ার পর ইসরাইলি কর্মকর্তারা হিসেব কষে বের করেন এই অভিযানে অন্তত পাঁচ মাস সময় ও পাঁচ ডিভিশন সেনা প্রয়োজন। ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে সক্রিয় সেনার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। তাই যখন যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখা দেয় তখন রিজার্ভ সেনাদের যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়ে থাকে। তবে টানা দুই বছর ধরে শুধু গাজাই নয় লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি ও ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যস্ত থেকে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর সদস্যরা ক্লান্ত বিধ্বস্ত আবার অনেকেই আহত। এমনকি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে অনেকেই মানসিক চিকিৎসাও নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে সেনাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহ পাচ্ছেন না। আর মাত্র ১৩ শতাংশ সেনা এখনো উৎসাহ নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে চান। এই জরিপে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সদস্যদের ভঙ্গুর মানসিকতার চিত্র ফুটে উঠেছে। শেষমেশ প্রশ্নটা থেকেই যায়—ক্লান্ত, অনিচ্ছুক সেনাদের কাঁধে ভর করে কতদূর এগোতে পারবেন নেতানিয়াহু? উত্তর খুঁজছে পুরো বিশ্ব। এমি/এটিএন বাংলা