ওয়াসা ভবন, ১ম তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ 01767000000
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর g
সময়টা মোটেও অনকূলে নেই ভারতের অন্যতম আলোচিত সমালোচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ইতোমধ্যেই কানাঘুষা শুরু হয়েছে যে মোদির দিন ফুরিয়ে আসছে। কারণ বিজেপিতে তিনি আজ একপ্রকার একঘরে। এর বাইরে তার মূল ঘাঁটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস থেকেও চাপ বাড়ছে যে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে মোদীকে। এমনকি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েও বিপাকে তিনি। কি করবেন এখন মোদি? তবে কি হাসিনার মতোই কি পরিণতি হতে চলেছে মোদির? মোদীর ক্ষমতার সোনালি দিনগুলো এখন আর আগের মতো উজ্জ্বল নেই। লালকৃষ্ণ আদভানির মতো সিনিয়র নেতাদের সরিয়ে দিয়ে বিজেপির নেতৃত্ব নিজের হাতে নিয়েছিলেন মোদী। তখন তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন, যাদের বয়স ৭৫ বছরের বেশি, তাদের সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। এখন সেই যুক্তিই যেন তার বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হচ্ছে। মোদীর বয়সও ৭৫-এর কাছাকাছি। ফলে দলের ভেতর থেকেও তাকে বিদায়ের চাপ বাড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক চাপ। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা বাড়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মোদীর কূটনীতিক অবস্থানকে দুর্বল করেছে। অনেক বিশ্লেষক বলছেন—ট্রাম্পের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় মোদী চীনের দিকে ঝুঁকতে চাইছেন।অন্যদিকে ভারতে মোদী-বিরোধী আন্দোলন দিন দিন শক্ত হচ্ছে। রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ক্রমেই যোগ দিচ্ছে এই বিরোধিতায়। তার ওপর সাম্প্রতিক এক বিস্ফোরক অবস্থান নিয়েছেন দক্ষিণ ভারতের সিনেমা সুপারস্টার থালাপতি বিজয়। মাদুরাইয়ে টিভিকে-র দ্বিতীয় সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে থালাপতি মোদীকে সরাসরি ফ্যাসিস্ট আখ্যা দেন। বিজেপিকে তিনি ঘোষণা করেন তামিল সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের চরম শত্রু। তিনি বলেন,চতুর্থবার ক্ষমতায় এসে মোদী সরকার দেশের মুসলিম সংখ্যালঘুদের নিশানা করছে। এছাড়া ভুয়া ভোটে ২০২৪ সালে তিনি নির্বাচনে জিতেছিলেন এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন মোদীর বিরোধী কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী। এমনকি কংগ্রেসের সঙ্গে অনেক বিষয়ে মতভেদ থাকলেও দেশের আর একটি বড় বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু এই প্রশ্নে রাহুল গান্ধীর পাশেই দাঁড়িয়েছে। ডিএমকে ও আরজেডির মতো দলগুলোরও সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। আর এখানেও কোণঠাসা নরেন্দ্র মোদি। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে জুলাই অভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে আসা মোদির কূটনৈতিক মিত্র ও সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গও। অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, তাকে আশ্রয় দেয়ার পর থেকে কারযত মোদিরও কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে। কারণ, হাসিনার মতোই তিনিও একই ভাবে চিরদিন ক্ষমতায় বসে থাকার রোডম্যাপ বাস্তবায়নের চেষ্টা করে চলেছেন বলে মনে করেন অনেকেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মোদি সরকারের জন্য এই অভিযোগ ও বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ যে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে, তা স্পষ্ট। এখন দেখার বিষয়, ক্ষমতাসীন বিজেপি কীভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে। অনেকের মনেই তাই প্রশ্ন, মোদি কি টিকতে পারবেন নাকি হাসিনার মতো তাকেও একদিন পালিয়ে যেতে হবে রাজনীতির মাঠ থেকে? এমি/এটিএন বাংলা