ওয়াসা ভবন, ১ম তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ 01767000000
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর g
প্রতিদিনের মতো এশার নামাজ পড়ে নিজের বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ইসলামি আন্দোলনের নেতা মাওলানা আমিনুল ইসলাম হক। স্ত্রী-সন্তানেরা বাসায় না থাকায় একাই বাসায় ছিলেন তিনি। কিন্তু সে রাতই যেন কাল হয়ে দাড়িয়েছে তার জীবনে। হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত দেশিয় অস্ত্রসহ তার ঘরে জোর করে ঢুকে পড়ে। তার পর যা ঘটল তা রীতিমত হৃদয়বিদারক। ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে মাওলানা আমিনুল ইসলাম হক নোমানীকে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চরনোয়াবাদ এলাকায় এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এশার নামাজ পড়ে বাসায় ফিরে অল্প সময়ের মধ্যেই তার চিৎকার শুনতে পান পথচারীরা। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায়, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে আছেন তিনি। দ্রুত ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কেন তাকে এভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে? মাওলানা আমিনুল ইসলাম হক এলাকায় নোমানী হুজুর নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস এবং সদর উপজেলার একটি মসজিদের খতিব। পাশাপাশি তিনি ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। ধর্মীয় ও সামাজিক ক্ষেত্রে সক্রিয় এ নেতাকে নিয়ে এলাকাজুড়ে বেশ সুনাম ছিল। তবে ইসলামি আন্দোলনের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় অনেকের মনেই তাকে নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। তাই শত্রুতাবশত তাকে হত্যা তরা হতে পারে বলে মনে করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই। এদিকে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় আলেম সমাজ ও সংগঠনগুলো ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাতেই শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটি এবং ইসলামী ঐক্য আন্দোলন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন,এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া ময়নাতদন্ত ও তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। এমি/এটিএন বাংলা