ওয়াসা ভবন, ১ম তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ 01767000000
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর g
বরিশাল থেকে নাটকীয় গ্রেপ্তার, রিমান্ড আর তারপর জামিন না মঞ্জুর করে কারাদন্ড পাওয়া কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি যেন এখন টক অব দা টাউনে পরিণত হয়েছেন। শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মা বোন আর স্ত্রীকে দেখে অঝোরে কেঁদেছেন ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদি। ভাঙা গলায় জানিয়েছিলেন ডিবির কাছে যেতে তার বেশ ভয়। তাই তার জামিনের চেষ্টা করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তবে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত বছরের জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এক হত্যাকাণ্ডের মামলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। শনিবার এজলাসে তোলার সময় তার মুখে কালো মাস্ক, মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া ও গায়ে ছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। বিচারক এজলাসে উপস্থিত থাকার সময় তার মা, বোন ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে দেখে তৌহিদ আফ্রিদি অঝোরে কাঁদতে থাকেন। সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও আবেগে ভেঙে পড়েন। এ সময় তার প্রিয় খাবার আনলেও তাকে খাওয়ানোর কোনো অনুমতি মেলেনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান তৌহিদ আফ্রিদির পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তিনি জানিয়েছেন,তৌহিদের ব্যবহৃত মোবাইল, সিপিইউ ও আইম্যাক জব্দ করা হয়েছে। আইটি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা সেগুলো পরীক্ষা করছেন বলে জানা গেছে। তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে উস্কানিমূলক বক্তব্য ও প্রচার চালাতেন আফ্রিদি। এমনকি রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে, যা যাচাই-বাছাই চলছে। তদন্ত কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, জামিনে মুক্তি পেলে তিনি পলাতক হতে পারেন এবং তদন্ত বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুনানিতে আসামি পক্ষ জামিন চাইলেও রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তৌহিদ আফ্রিদিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে রোববার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত। এমি/ এটিএন বাংলা