অস্ট্রেলিয়ায় আটক জকোভিচ

অস্ট্রেলিয়ায় আটক জকোভিচ

খেলাধুলা
করোনার টিকা না নিয়ে মহাবিপদেই পড়েছেন নোভাক জকোভিচ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে গিয়ে মুখোমুখি হচ্ছেন একের পর এক জটিলতার। কোর্ট-কাচারি মাড়িয়েও সার্বিয়ান টেনিস সুপারস্টারের ফায়দা হচ্ছে না এক বিন্দু, ঠেকাতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্স কর্তৃক তার ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া। এবার আটক হলেন ২০ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক জকোভিচ।

জকোভিচের ভিসা বাতিল নিয়ে আপিল শুনানির আগে তাকে আটক করে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। এই শুনানির মাধ্যমেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জোকারের ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে। করোনাভাইরাসের টিকা না নেয়ায় জকোভিচকে জনসাধারণের জন্য হুমকি স্বরূপ আখ্যায়িত করে অস্ট্রেলীয় সরকার দ্বিতীয় দফা তার ভিসা বাতিল করে দেয়। জকোভিচের আইনজীবীরা অস্ট্রেলিয়া সরকারের এ সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করে আপিল করেন। সংবাদ সংস্থা বিবিসির তথ্য মতে, রোববার এই মামলার শুনানি হবে।

আগামী ১৭ই জানুয়ারি শুরু হবে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। শুনানির রায় জকোভিচের বিপক্ষে গেলে খেলা হবে না বছরের গ্র্যান্ড স্লাম টেনিস ইভেন্টটিতে।একইসঙ্গে আগামী তিন বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা বাতিল করা হবে জকোভিচের।

দ্বিতীয় দফায় নোভাকের ভিসা বাতিলের বিষয়টি নিয়ে এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালেক্স হক এক বিবৃতিতে জানান, জনস্বার্থ বিবেচনায় তিনি তার নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগ করেছেন।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে মেলবোর্নে পৌঁছে করোনার প্রতিষেধক টিকা না নেয়ায় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে বাধা পান জকোভিচ। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নকে বিশেষ ছাড়পত্র দেয়া হলেও, সেই বিশেষ ছাড় পাওয়ার প্রয়োজনীয় নথি পেশ না করতে পারেননি তিনি। এমনকি ভ্যাকসিন না নেয়ার যুক্তিপূর্ণ কোনো কারণও দেখাতে পারেননি জকোভিচ। এরপরই তার অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের ভিসা বাতিল করে দেয়া হয় এবং তাকে নিয়ে রাখা হয় ডিটেনশন হোটেলে।

এই জটিলতার পেছনে অনেকাংশে দায়ী অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রধান ক্রেগ টিলে। তিনি ক্রমাগত নির্দেশিকা বদল করেছেন। অপর দিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন আগেই টেনিস অস্ট্রেলিয়া’কে জানিয়েছিল প্রতিযোগীদের ভিসা পাওয়ার গাইডলাইনের বিষয়ে। মূলত আয়োজকরা সঠিক নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঝামেলা পোহাতে হয় জকোভিচকে। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

গত সপ্তাহে জকোভিচের পক্ষে রায় দেন বিচারক অ্যান্থনি কেলি। কিন্তু এরপরই শোনা গিয়েছিল, অস্ট্রেলিয়া সরকার নির্বাহী ক্ষমতাবলে জকোভিচের ভিসা বাতিল করতে পারে। বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছিলেন, জকোভিচের ভিসা বাতিল করা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি তার সরকার। তবে জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় শেষে কঠিন সিদ্ধান্তই নিতে হলো অস্ট্রেলিয়া সরকারকে।

২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে পুরুষ এককে চ্যাম্পিয়ন জকোভিচ। মোট নয়বার এই টুর্নামেন্ট জিতেছেন সার্বিয়ার এই টেনিস তারকা। দুই অপর প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদাল এবং রজার ফেদেরারের সঙ্গে একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন জোকার। এই তিন টেনিস তারকাই ২০টি করে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছেন ক্যারিয়ারে।

Visits: 0

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *