এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
রাতভর ভারী বৃষ্টির পর সকালটা শুরু হয়েছে কান্না আর হাহাকারে। পাহাড়ধসে পড়ে ধ্বংস হয়ে গেছে ঘরবাড়ি, সড়ক, এমনকি মানুষের স্বপ্নও। সেখানে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২৮ জন, আহত শতাধিক, এবং আটকা পড়েছেন শত শত পর্যটক। পাহাড়ি সৌন্দর্যের শহরটি যেন রাতারাতি পরিণত হয়েছে মৃত্যুভূমিতে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, যে শহর একসময় পরিচিত ছিল চা-বাগান আর মেঘ ছোঁয়া পাহাড়ের জন্য, আজ সেটিই পরিণত হয়েছে এক ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে। রোববার বিকেল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে মাত্র ১২ ঘণ্টায় ২৬১ মিলিমিটার বর্ষণ রেকর্ড করে আবহাওয়া দপ্তর, যা ছিল গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গভীর রাতে মিরিক, সুখিয়াপোখরি, সৌরেনি, দুধিয়া, ও নাগ্রাকোটা অঞ্চলে পাহাড়ধস শুরু
হয়। মুহূর্তেই ধসে পড়ে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। বিশেষ করে মিরিক ও সুখিয়াপোখরিতে এর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা সবচেয়ে ভয়াবহ। দুধিয়া নদীর তীরে থাকা বিএসএফ ক্যাম্প পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধসে পড়েছে একাধিক সেতু, ফলে শিলিগুড়ি ও কালিম্পংয়ের সঙ্গে দার্জিলিংয়ের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মিরিকের পথে যাওয়া সব রাস্তা বন্ধ। যদিও পুলিশ ও প্রশাসন উদ্ধার কাজে নেমেছে, কিন্তু বৃষ্টির কারণে বাধা পাচ্ছে বারবার। প্রতি বছর দুর্গাপুজার এই সময়টায় দার্জিলিং ভরে ওঠে পর্যটকের কোলাহলে। এবারও তাই হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই পর্যটকরাই আটকা পড়েছেন বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট ও পাহাড়ি আশ্রয়ে। বিদ্যুৎ ও খাবারের সংকটে এখন দিন কাটাচ্ছেন তারা। এদিকে এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণকে আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ জানিয়েছেন। এমনকি উদ্ধার ও পুনর্বাসনে একযোগে সবাই কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এমি/এটিএন বাংলা