এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
গত সেপ্টম্বরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সাক্ষী হয়েছিল বিরল এক চন্দ্রগ্রহণের যা ব্লাডমুন নামে পরিচিত। এবার চাঁদপ্রেমীদের জন্য আবারও দারুণ খবর। ব্লাডমুনের পর এবার সুপারমুন দেখবে বিশ্ব। আর বাংলাদেশ থেকেও এটি দেখা যাবে স্পষ্ট ও খালিচোখেই। চলতি বছরের প্রথম সুপারমুন দেখা যাবে আগামী ৬ অক্টোবর। এ সময় চাঁদ তার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি চলে আসবে। ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় চাঁদকে বেশ বড় এবং উজ্জ্বল দেখা যাবে। জ্যোতির্বিদদের ভাষায়, এই সময়ের সুপারমুনকে বলা হয় হার্ভেস্ট মুন, যা প্রতি বছর শরৎ ঋতুর শুরুতে দেখা যায়। চলতি বছর পরপর তিনটি সুপারমুন দেখার সুযোগ মিলবে। এর প্রথমটি হচ্ছে এই অক্টোবরের হার্ভেস্ট মুন। বিশেষজ্ঞদের
মতে, ২০২৫ সালের হার্ভেস্ট মুন শারদ বিষুবের কাছাকাছি সময়ে ঘটবে। বিষুবের সময় সূর্য পৃথিবীর নিরক্ষরেখার ওপর দিয়ে অতিক্রম করে বলে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান থাকে। এই সময় উদিত পূর্ণিমার চাঁদকে সাধারণের তুলনায় বড়, সোনালি-কমলা রঙের এবং অধিক উজ্জ্বল মনে হয়, বিশেষ করে যখন এটি দিগন্তের কাছাকাছি অবস্থান করে। সাধারণত পূর্ণিমার চাঁদ দ্রুত ওঠে না, তবে হার্ভেস্ট মুনের সময় চাঁদ স্বাভাবিকের তুলনায় তাড়াতাড়ি ওঠে এবং একাধিক রাত ধরে আকাশে বড় আকৃতিতে দৃশ্যমান থাকে। বিশেষ করে সন্ধ্যার সময় এটি অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ৬ ও ৭ অক্টোবর দুই রাতেই বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে দেখা যাবে এই সুপারমুন। বিশেষ করে চাঁদ যখন দিগন্তরেখার কাছাকাছি থাকবে, তখন সেটি আরও বড় এবং গাঢ় সোনালি-কমলা রঙের দেখাবে। সুপারমুন দেখার জন্য কোনো বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন নেই। খোলা আকাশে দিগন্ত বরাবর তাকালেই এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করা যাবে। তবে শহরের কোলাহল থেকে দূরে, আলোদূষণমুক্ত কোনো জায়গায় গেলে এটি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। এমি/এটিএন বাংলা