logo
linkedin logoyoutube logotwitter logofacebook logo

ব্রেকিং নিউজ

features image

ভারত–চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক কি নতুন মোড় নেবে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীন সফরে গেছেন, কিন্তু এ সফরের মধ্যেও তাঁর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কের চাপ। গত বুধবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী ভারতীয় পণ্যের ওপর, যেমন হীরা আর চিংড়িতে শুল্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। ওয়াশিংটনের ভাষায়, দিল্লি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করার এটাই হলো শাস্তি। অর্থনীতিবিদদের মতে, এই শুল্কে ভারতের রপ্তানি খাত বড় ধরনের ধাক্কা খেতে পারে। সেই সঙ্গে ভারতের উচ্চাভিলাষী প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও হুমকির মুখে পড়তে পারে। এদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংও অর্থনীতিতে গতি আনার চেষ্টা করছেন, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কের কারণে তাঁর পরিকল্পনাও ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বের দুই সর্বাধিক জনবহুল দেশের নেতারা সম্পর্কের নতুন দিগন্ত খুঁজতে পারেন, যদিও এ সম্পর্ক এত দিন ছিল অবিশ্বাসে ভরা। এ অবিশ্বাসের মূল কারণ সীমান্ত বিরোধ। চ্যাথাম হাউসের গবেষক চিয়েতিগ বাজপেই এবং ইউ জি সম্প্রতি লিখেছেন, সহজভাবে বললে, এ সম্পর্কের প্রভাব গোটা বিশ্বে পড়বে। তাঁদের মতে, ভারত কোনো দিনই চীনের বিরুদ্ধে সেই প্রতিরোধ দেয়াল হয়ে উঠত না, যেটা পশ্চিমারা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ভাবত। তাই মোদির এ চীন সফরে অনেক কিছুর মোড় ঘুরে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ভারত আর চীন উভয়ই অর্থনৈতিকভাবে শক্তিধর দেশ। তারা যথাক্রমে বিশ্বের পঞ্চম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। আইএমএফের হিসাবে, ভারতের প্রবৃদ্ধি আগামী কয়েক বছর ৬ শতাংশের ওপরে থাকবে। দেশটির অর্থনীতি ইতিমধ্যে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের, শেয়ারবাজারের বাজার মূলধন ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২৮ সালের মধ্যেই ভারত তৃতীয় স্থানে উঠে যাবে। বেইজিংভিত্তিক উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান উসাওয়া অ্যাডভাইজরির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কিয়ান লিউ বলছেন, বিশ্ব সম্প্রদায় এত দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ককে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক হিসেবে দেখেছে। এখন সময় এসেছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি—চীন ও ভারত কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সেদিকে নজর দেওয়ার। তবে সম্পর্কটা সহজ নয়। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ এখনো মীমাংসিত হয়নি। সেই বিরোধ মূলত আরও বিস্তৃত প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রতীক। ২০২০ সালের জুনে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষ গত চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী মুহূর্ত। এর পরিণতিও ছিল প্রধানত অর্থনৈতিক—সরাসরি ফ্লাইট আবার চালুর বিষয়টি বাতিল হয়, ভিসা ও চীনা বিনিয়োগ আটকে যায়। ফলে অবকাঠামো প্রকল্পের গতি কমে যায়। ভারত টিকটকসহ দুই শতাধিক চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। আন্তর্জাতিক কৌশলবিষয়ক গবেষণা সংস্থা আইআইএসএসের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক গবেষক অঁতোয়ান লেভেস্কের মতে, সংলাপ জরুরি, কেননা ভারত-চীন সম্পর্ক গোটা এশিয়ার স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে মূল বিষয়। অন্য শক্তিগুলোও বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এর বাইরেও নানা স্পর্শকাতর ইস্যু, যেমন তিব্বত, দালাই লামা, যৌথ নদীর ওপর চীনের বিশাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প কিংবা পাকিস্তানে পেহেলগাম হামলার পর নতুন করে তৈরি উত্তেজনা। বর্তমানে ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ প্রতিবেশীর সম্পর্ক ভালো নয়। বিপরীতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার চীন। এশিয়া ডিকোডেড নামের গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান অর্থনীতিবিদ প্রিয়াঙ্কা কিশোরের ভাষায়, ভারতে কোনো বিওয়াইডি (চীনা গাড়ি নির্মাতা) কারখানা হবে বলে মনে হয় না। তবে ছোটখাটো কিছু সাফল্য আসতে পারে। এরই মধ্যে ঘোষণা হয়েছে, ভারত-চীন সরাসরি বিমান আবার চালু হবে। ভিসা নীতিতে শিথিলতা আনা হতে পারে, অর্থনৈতিক সহযোগিতাও বাড়তে পারে। তবে দিল্লি–বেইজিং সম্পর্ক মূলত অস্বস্তিকর বলে মন্তব্য করেন কিশোর। মনে রাখতে হবে, একসময় যুক্তরাষ্ট্র আর ভারত জোট বেঁধেছিল চীনের বিপক্ষে ভারসাম্য তৈরি করতে। কিন্তু এখন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বুঝতে পারছে না। তাই এ পদক্ষেপ চৌকস ও বহুকেন্দ্রিক বিশ্বের ধারণার সঙ্গে মেলে—ভারত ও চীন উভয় দেশই তা সমর্থন করে। মোদি এবার সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠকে যাচ্ছেন। এটি মূলত পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গির বিকল্প আঞ্চলিক মঞ্চ। সদস্যদেশগুলোর মধ্যে আছে চীন, ভারত, ইরান, পাকিস্তান ও রাশিয়া। তবে ভারত এত দিন এই সংস্থার গুরুত্ব তেমন একটা ধারণ করেনি। সমালোচকেরা বলেন, এসসিও তেমন উল্লেখযোগ্য ফলও দিতে পারেনি। চলতি বছরের জুন মাসে এসসিওর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠক থেকে যৌথ বিবৃতি আসেনি। ভারত আপত্তি তোলে। কারণ, সেখানে কাশ্মীরের পেহেলগামে হিন্দু পর্যটকদের ওপর ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ হামলার উল্লেখ ছিল না। যে কারণে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ শুরু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ভারত আবার এসসিওর প্রয়োজনীয়তা ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। চীনও ট্রাম্পের শুল্ক বিশৃঙ্খলার মধ্যে উন্নয়নশীল বিশ্বের সংহতির চিত্র দেখাতে চাইবে। অন্যদিকে ব্রিকস জোট—যার সদস্য চীন ও ভারতও ট্রাম্পের রোষের শিকার হয়েছে। তিনি হুমকি দিয়েছেন, নির্ধারিত হারের বাইরেও এই জোটের দেশগুলোর ওপর বাড়তি শুল্ক চাপানো হতে পারে। সি চিন পিং ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মোদির সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে, রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে। গত সপ্তাহে রুশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মস্কোর আশা খুব শিগগির চীন-ভারত-রাশিয়া ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, তিন দেশের নিজস্ব শক্তি—চীনের উৎপাদন দক্ষতা, ভারতের সেবা খাত ও রাশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগানো গেলে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নতুন রপ্তানি বাজার তৈরি করা সম্ভব। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক বাণিজ্যের গতিপথও বদলে যেতে পারে। দিল্লি আবার অন্য আঞ্চলিক মিত্রতাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। চীন যাওয়ার পথে মোদি জাপান সফর করেছেন। আসিয়ান আর জাপান অবশ্যই চীন-ভারতের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা চাইবে। এতে সরবরাহশৃঙ্খলের বিশেষ সুবিধা হবে, ‘মেক ইন এশিয়া ফর এশিয়া’ ধারণাটিও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে, বলেন প্রিয়াঙ্কা কিশোর। উৎপাদনের জন্য ভারত এখনো চীনের ওপর নির্ভরশীল। কাঁচামাল আর যন্ত্রাংশ সেখান থেকেই আসে। তাই ভারত চাইবে, আমদানি শুল্ক যেন কম হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, কঠোর শিল্পনীতি ভারতের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে চীন থেকে সরবরাহশৃঙ্খল সরতে শুরু করলেও ভারত তার সুবিধা পাচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো নয়। কিশোরের মতে, অংশীদারত্বের বড় সুযোগ আছে, বিশেষ করে ইলেকট্রনিকস উৎপাদনে। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, অ্যাপল ভিয়েতনামে এয়ারপডসসহ বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করছে, ভারতে তৈরি হচ্ছে আইফোন। ফলে দ্বৈত উৎপাদনের সমস্যা নেই। কিশোর আরও বলেন, চীনের জন্য সহজ সাফল্য হতে পারে দ্রুত ভিসা অনুমোদন। চীন চায় ভারতের বাজারে প্রবেশাধিকার—সরাসরি হোক বা বিনিয়োগের মাধ্যমে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের বাজার সংকুচিত হচ্ছে, আসিয়ানের বাজার প্রায় ভরে গেছে, অন্যদিকে ভারতে টিকটকের মতো অসংখ্য চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ। তবে সম্পর্ক এত জটিল যে একটি বৈঠকেই অনেক কিছু বদলে যাবে, তা নয়। চীন-ভারতের সম্পর্কোন্নয়নের পথে এখনো অনেক পথ বাকি। তবু মোদির এ সফরে অন্তত কিছু তিক্ততা কমতে পারে। সেই সঙ্গে ওয়াশিংটনকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে, ভারতের হাতে বিকল্প আছে।

2 সপ্তাহ আগে

২৪ ঘণ্টার মধ্যে আলোচনায় না বসলে দক্ষিণবঙ্গ অচলের হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আলোচনায় না বসলে দক্ষিণবঙ্গ অচলের হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের অরিজিনাল অথর: বাংলাদেশ ট্যাগ: ছবি: Barishal_DH0590 () একসার্প্ট: মেটা: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিনিধিরা যোগাযোগ করে আলোচনায় না বসলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরিশাল–কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এ হুঁশিয়ারি দেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আয়তন বাড়ানো, অবকাঠামো উন্নয়ন ও নিরাপদ পরিবহনব্যবস্থা—এই তিন দফা দাবিতে ৩৪ দিন ধরে মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও মহাসড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তবুও ইউজিসির কোনো প্রতিনিধি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের রাকিব আহমেদ ও আইন বিভাগের শওকত ওসমান বক্তব্য দেন। আমিনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় পর্যায়ের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের (ফিজিবিলিটি স্টাডি) বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে, তা ৯ মাসের পরিবর্তে তিন মাসে শেষ করে দ্রুত একনেকে উপস্থাপন ও অনুমোদন করতে হবে। তাঁদের তিন দফা দাবির ব্যাপারে ইউজিসিকে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। এ জন্য তাঁরা ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছেন। অন্যথা দাবি আদায়ে দক্ষিণবঙ্গ অচলের কর্মসূচি দেওয়া ছাড়া বিকল্প থাকবে না। জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসের আশপাশ ক্রমেই বসতবাড়িতে পরিণত হচ্ছে। এখনই ১৫০ একর জমি অধিগ্রহণের যৌক্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রজ্ঞাপন জারি করা জরুরি। অন্যথা ভবিষ্যতে জমি অধিগ্রহণ আরও জটিল হয়ে পড়বে। পরিবহন সমস্যার সমাধানে তাঁরা বলেন, যত দিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন কেনা না হবে, তত দিন বিআরটিসির বাস দিয়ে শতভাগ পরিবহন নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থী শওকত ওসমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা হলেও এখনো পরিপূর্ণ রূপ পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন–সংকট প্রকট। ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র চারটি আবাসিক হল। সেখানে থাকতে পারেন মাত্র দেড় হাজার শিক্ষার্থী। অন্য শিক্ষার্থীদের বাইরে থাকতে হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ–সংকটও তীব্র। সাতটি অনুষদে ২৫টি বিভাগের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য অন্তত ৭৫টি শ্রেণিকক্ষ প্রয়োজন। অথচ রয়েছে মাত্র ৩৬টি। শ্রেণিকক্ষের অভাবে অনেক নির্ধারিত ক্লাস বাতিল করতে হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষক, আবাসন, পরিবহন ও গ্রন্থাগারের সংকটও প্রকট। এতে সেশনজট বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ আগস্ট বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ছয়টি অনুষদের ডিন, ২৫টি বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রভোস্ট, প্রক্টরসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব সমস্যা সমাধানে প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে আশ্বস্ত করেন উপাচার্য মোহাম্মদ তৌফিক আলম। ওই সভায় উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি পুরোপুরি যৌক্তিক। অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজটি যাতে দ্রুত হয়, সে ব্যাপারে তাঁরা ইউজিসির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি জেলা প্রশাসনের এখতিয়ার। এ জন্য তাঁরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে কাজটি যাতে দ্রুততার সঙ্গে হয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন। আর পরিবহন–সংকট নিরসনে আরও কয়েকটি বিআরটিসি বাস ভাড়া করা হবে।

2 সপ্তাহ আগে

১১ পেনাল্টির ৬টিই মিস: লিগ আঁ যেন এবার ‘লিগ আঁহ’

ম্যাচের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের ঘটনা। এক মিনিটের মধ্যে তুলুজের দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলকিপার লুকাস শেভালিয়ে। স্পট কিক থেকে প্রথম শটটি নেন তুলুজের ফরোয়ার্ড ফ্রাঙ্ক মাগরি। শেভালিয়ে নিজের ডান দিকে ঝাঁপিয়ে তা রুখে দেন। কিন্তু মাগরি শট নেওয়ার আগেই পিএসজির একাধিক খেলোয়াড় বক্সে ঢুকে পড়ায় তুলুজকে আবার পেনাল্টি কিক নিতে বলেন রেফারি। এবার শট নিতে আসেন তুলুজ মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান কাসেরেস জুনিয়র। তিনি জালের মাঝ বরাবর শট নেন। শেভালিয়ে এবার নিজের জায়গা ছেড়ে এক ইঞ্চিও নড়েননি। তাই কাসেরেসের উঁচু করে নেওয়া জোরালো শটটাও সহজে ঠেকাতে পারেন। তুলুজ স্টেডিয়ামে তখন রাজ্যের নীরবতা। হতাশায় দলটির খেলোয়াড়দের মাথায় হাত। মুহূর্তেই নায়ক বনে যাওয়া শেভালিয়েকে কে আগে ছুটে এসে অভিনন্দন জানাতে পারেন, তা নিয়ে সতীর্থ জোয়াও নেভেস, দেজিরে দুয়ে ও আশরাফ হাকিমিদের মধ্যে চলেছে প্রতিযোগিতা। ৯ গোলের ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত পিএসজি জিতেছে ৬–৩ ব্যবধানে। এবারের ফ্রেঞ্চ লিগ আঁতে এ ধরনের দৃশ্য যেন নিয়মিতই মঞ্চস্থ হচ্ছে। কখনো গোলকিপারের বীরত্বে পেনাল্টি থেকে গোল আসছে না, আবার কখনো পেনাল্টি কিক নিতে যাওয়া খেলোয়াড় নিচ্ছেন লক্ষ্যভ্রষ্ট শট। তাই ২০২৫–২৬ মৌসুমের শুরুতে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে ফ্রান্সের শীর্ষ এই লিগেই পেনাল্টি মিসের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। খেলাধুলার পরিসংখ্যান ও তথ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অপ্টার তথ্য অনুযায়ী, এবারের ফ্রেঞ্চ লিগ আঁতে এখন পর্যন্ত ১১ পেনাল্টির মধ্যে ৬টিই মিস হয়েছে, যা অন্য চার শীর্ষ প্রতিযোগিতা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা, ইতালিয়ান সিরি ‘আ’ ও জার্মান বুন্দেসলিগার চেয়েও বেশি! এই চার লিগে এখন পর্যন্ত ২৬টি পেনাল্টি হয়েছে, এর মধ্যে মাত্র ৫টিতে গোল হয়নি। শতাংশের হিসাবে ফ্রেঞ্চ লিগ আঁতে পেনাল্টিতে ব্যর্থতার হার ৫৪.৫৫ শতাংশ। আর বাকি চার লিগ মিলিয়ে ব্যর্থতার হার ১৯.২৩ শতাংশ।   ট্রান্সফারমার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫–২৬ মৌসুমে ফ্রেঞ্চ লিগ আঁতে গত রাত পর্যন্ত ম্যাচ হয়েছে ২২টি। লিগের ১৮ দলের মধ্যে ৭টি এখন পর্যন্ত ১১টি পেনাল্টি পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি তিনটি পেনাল্টি পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। এর মধ্যে দুটিতে বল প্রতিপক্ষের জালে জড়াতে পেরেছে। অলিম্পিক মার্শেই দুটি পেনাল্টি পেয়ে একটিতে সফল, আরেকটিতে ব্যর্থ হয়েছে। লিল, অজের, লরিয়াঁ ও তুলুজ পেনাল্টি পেলেও গোল পায়নি। শতভাগ সাফল্য পেয়েছে শুধু লাঁস। দলটি দুটি স্পট কিকই গোলে পরিণত করেছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি পাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে লিগ আঁতে। সবচেয়ে কম দুটি পেনাল্টি হয়েছে সিরি ‘আ’তে। তবে ইতালির এই লিগে পেনাল্টি থেকে সাফল্যের হার শতভাগ। লা লিগায় আট পেনাল্টির মধ্যে শুধু একটি মিস হয়েছে। ব্যর্থ হওয়া একমাত্র দল রিয়াল ওভিয়েদো, যারা ২৪ বছর পর এবার লা লিগায় উঠে এসেছে। বুন্দেসলিগাতেও এখন পর্যন্ত শুধু একটি পেনাল্টি মিস হয়েছে। স্পট কিক থেকে গোল করতে না পারা দলটার নাম বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রতিযোগিতা প্রিমিয়ার লিগে ১০ পেনাল্টির মধ্যে ৭টিতে গোল হয়েছে। একটি করে পেনাল্টি মিস করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ব্রাইটন ও ব্রেন্টফোর্ড। ২০২৪–২৫ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ২৫টি পেনাল্টি মিস হয়েছিল বুন্দেসলিগায়, সবচেয়ে কম প্রিমিয়ার লিগে ১৪টি। গত মৌসুমে সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে লা লিগায়, ১৩০টি। সবচেয়ে কম যৌথভাবে বুন্দেসলিগা ও প্রিমিয়ার লিগে, ৮৩টি। শীর্ষ পাঁচ লিগের ৯৬ দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ; ১৪টি।

2 সপ্তাহ আগে

সারাদেশ

কালীগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় অর্ধকিলোমিটার গেল ইজিবাইক

কিছু রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী মহল বিশেষ স্বার্থসিদ্ধির জন্যই নানাভাবে বাংলাদেশকে অস্থির করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। তিনি বলেছেন, ‘এই অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এর চেয়ে আর কোনো জঘন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমরা দেখি নাই। প্রতিদিন জান হাতে নিয়ে বের হতে হচ্ছে।’ নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশে অধ্যাপক সামিনা লুৎফা এ কথা বলেন। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সারা দেশে অব্যাহতভাবে শিক্ষকদের ওপর নিপীড়ন-হামলা-চাকুরিচ্যুতি, মব ও গণহারে অযৌক্তিক মামলা, নাগরিকদের অধিকার আদায়ের নানা কর্মসূচিতে সংঘবদ্ধ হামলা, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের ওপর সেনা-পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাতে এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, জুলাইয়ের পর থেকে দাবি ছিল জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার করার। কিন্তু সেই তদন্ত ও বিচার হতে দেখা যায়নি। ফলে সাধারণ মানুষকে বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলতে দেখা গেছে গত এক বছরে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী মহলের একধরনের প্রতিযোগিতা। তারা এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার যে ফাঁক রয়েছে, সেটুকু কাজে লাগিয়েছে। তাদের বিশেষ স্বার্থসিদ্ধির জন্যই তারা নানাভাবে বাংলাদেশকে অস্থির করেছে। ‘গণ-অভ্যুত্থান ছিল মানুষের ক্ষোভ’ উল্লেখ করে অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, এখন এক বছর পার হয়ে গেছে। এখন কিন্তু শান্তির সময়, এখন কিন্তু নির্মাণের সময়। এখন আর এসব কোনোভাবেই চলতে দেওয়া যায় না। ২৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে লাঞ্ছিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানের (কার্জন) প্রসঙ্গ টানেন অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। তিনি বলেন, ডিআরইউতে মত প্রকাশ করতে গিয়ে, একটা প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে আরেক সহকর্মী নানা রকম বিভিন্ন ইন্টারেস্ট গ্রুপের (স্বার্থান্বেষী মহল) কাছে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। সেই লাঞ্ছনার বিপরীতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একটা টুঁ শব্দও করছে না। তখন বোঝা যায়, বিগত সময়ের যে স্বার্থবাদী প্রশাসন ছিল, তার সঙ্গে এখনকার প্রশাসনের তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তারা এখনো তাদের যার যার রাজনৈতিক স্বার্থকেই সামনে তুলে ধরছে। তাদের যার যার রাজনৈতিক স্বার্থকে প্রমাণ করার জন্য এখানে নানা কিছু খেলা তারা খেলছে। তার মানে আসলে শিক্ষকের স্বার্থ রক্ষা করবে কে? শিক্ষকের স্বার্থ রক্ষা করার মতো একটা শিক্ষক সমিতি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকর নেই। গত এক বছরে বাউল, মাজার, নারী, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীসহ ভিন্ন মতবাদের মানুষের ওপর আক্রমণ হলেও সরকার ও রাষ্ট্রকে নিশ্চুপ, নিষ্ক্রিয় দেখা গেছে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে লাঠিপেটার ঘটনার তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নুরুল হকের ওপর নির্মম আক্রমণের বিরুদ্ধে চারদিকে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। এরপর আর এই সরকার, সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার কোনো নৈতিক ভিত্তি নাই।’ এ রকম নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভেতরে আগামী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কথাও জানান অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। তিনি বলেন, এই শঙ্কা যদি দূর করতে হয় তাহলে অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যে ভয়ংকর মব সংস্কৃতির চাষাবাদ চলছে, তা এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর তাঁদের রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে নানাভাবে আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। এ সময় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাহমিনা খানম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা।

গাইবান্ধায় বিয়ের পরদিন নববধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, স্বামী কারাগারে

গাইবান্ধায় এক নববধূকে (১৮) বিয়ের পরদিন দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, গত বুধবার সাঘাটা উপজেলার এক তরুণের সঙ্গে পাশের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার এক তরুণীর বিয়ে হয়। নতুন বউকে নিয়ে সাঘাটার বাড়িতে চলে যায় বরপক্ষ। পরের দিন বৃহস্পতিবার নববধূকে নিয়ে গোবিন্দগঞ্জে তাঁর বাবার বাড়িতে যান বর ও ছয় বন্ধু। ওই রাতে নববধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বর ও তাঁর ছয় বন্ধুকে বাড়ির লোকজন মারধর করেন। পরদিন শুক্রবার নববধূর বাড়ির লোকজন বর, তাঁর বন্ধুসহ সাতজনকে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ এনে এলাকার লোকজন সাতজনকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন। গতকাল শনিবার বরের বাড়ির লোকজন সাঘাটা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, সাতজনকে অন্যায়ভাবে গোবিন্দগঞ্জ থানায় আটকে রাখা হয়েছে। পরে গতকালই সাতজনকে সাঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়। গতকাল নববধূর বড় ভাই বাদী হয়ে বর ও অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে সাঘাটা থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। এ বিষয়ে আজ সকালে সাঘাটা থানার ওসি বাদশাহ আলম বলেন, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ না দেওয়ায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। নববধূর স্বামীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে সঠিক তথ্য জানানো হবে। গত শুক্রবার নববধূকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ফাহাদ আল আসাদ বলেন, চিকিৎসা নিতে আসা ওই নববধূর শরীরে ধর্ষণ ও নির্যাতনের আলামত আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অনলাইন জরিপ

survey image

নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকারীরা কেউ রেহাই পাবে না বলে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আপনি কি মনে করেন, এই ঘটনার সঠিক বিচার হবে

মোট ভোটদাতাঃ 147 জন

section ads image

বিনোদন

চীনে এসসিও সম্মেলন: কারা অংশ নিচ্ছেন, ট্রাম্পের শুল্কের পাল্টা জবাব আসছে কি

‘যাদের লক্ষ্য এক; কোনো পাহাড় বা সমুদ্র তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে পারে না’—কাজাখস্তানের আস্তানায় গত বছর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ওই সময় ভাষণে সি চিন পিংয়ের কণ্ঠে চীনের এই প্রবাদ শোনা বাড়াবাড়ি বলে মনে হয়েছিল। সে সময়ের বাস্তবতার সঙ্গে তাঁর বক্তব্যের কোনো মিল ছিল না। ২০২৪ সালে এসসিও সম্মেলন শুরুর আগে ভারতের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, তিনি সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন না। জোটের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েও এভাবে সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা বেইজিং ও মস্কো নেতৃত্বাধীন এ জোটের প্রতি ভারতের প্রকাশ্য উপেক্ষার ইঙ্গিত ছিল। কিন্তু এখন—এক বছর পর, বিশ্বের ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক দৃশ্যপট অনেকটাই বদলে গেছে। এ বছর এসসিও সম্মেলনের আয়োজক চীন। দুদিনের এ সম্মেলন শুরু হয়েছে আজ রোববার। এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক নেতার উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে। সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল শনিবার চীন পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। ২০১৮ সালের পর এটা তাঁর প্রথম চীন সফর। আজ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও পৌঁছেছেন। দুই প্রতিবেশী দেশ চীন ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তবে গত বছরের শেষদিক থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্কের শীতলতা কমতে শুরু করেছে। ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ নয়াদিল্লিকে বেইজিংয়ের আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে এবং সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাধ্য করেছে। ইউরেশিয়ার অন্য প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গেও ভারত সুসম্পর্ক গড়তে চাইছে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ করা ও নতুন শুল্ক আরোপের হুমকিতে বিশ্বজুড়ে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, অনেক দেশকে তা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, এমন পরিস্থিতিতে এসসিও সম্মেলন সি চিন পিংয়ের সামনে নিজেদের একটি স্থিতিশীল শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করতে বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। এটি দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোকে একত্র করে পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় সক্ষম করে তুলবে। বোহাই সাগরের তীরে চীনের বন্দরনগর তিয়ানজিনে এ বছর এসসিও সম্মেলনের আয়োজন হয়েছে। দুই দিনের এ সম্মেলন হবে আজ ৩১ আগস্ট ও আগামীকাল ১ সেপ্টেম্বর। বিভিন্ন দেশের ২০ জনের বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন এসসিও সদস্যদেশ—রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো, কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ, উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিয়য়েভ, কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভ ও তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাহমন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুসহ আরও কয়েকজন নেতার এ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংস্থা আসিয়ানের মহাসচিব কাও কিম হর্নও সম্মেলনে অংশ নেবেন। এ বছর এমন এক সময়ে এসসিও সম্মেলন হচ্ছে যখন বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ শুরু হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা অব্যাহত আছে এবং দক্ষিণ এশিয়া ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ভারতের বেঙ্গালুরুর তক্ষশীলা ইনস্টিটিউশনের ইন্দো-প্যাসিফিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের চেয়ারপারসন মনোজ কেওয়ালরামানি বলেন, বিশ্ব এখন স্পষ্টভাবে অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। সম্মেলনে তারা, বিশেষ করে চীন ও রাশিয়া এ যুক্তি তুলে ধরবে যে বিশ্ব এখন বহু মেরুকরণ যুগে প্রবেশ করছে এবং অখণ্ড নিরাপত্তাকেই অগ্রগতির পথ হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইবে। অনেকেই মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কারণে বহু দেশ মিলে তৈরি করা সমন্বিত উদ্যোগগুলো অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। মনোজ কেওয়ালরামানি বলেন, এ কারণেই এসসিও সম্মেলনটি গুরুত্বপূর্ণ। জোটের দেশগুলো এখনো একপক্ষীয় প্রভাবের বিরুদ্ধে। এ জোট প্রায়ই গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক-রাজনৈতিক বিষয়ে একমত হতে পারে না। যেমন রাশিয়া ইউক্রেনে তার যুদ্ধে প্রায় সব এসসিও সদস্যকে নিজের স্বার্থের সঙ্গে একমত করাতে সক্ষম হয়েছে। তবে ভারত সে পথে না হেঁটে ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার চেষ্টা করছে। নয়াদিল্লি ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি ও শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, পাশাপাশি রাশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে। গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসসিওর সদস্যদের প্রতি এবারের সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্টভাবে প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ ও পশ্চিম তীরে দখলদারি, লেবানন এবং ইরানসহ আরও কিছু বিষয়ে এসসিওর মধ্যে বিভেদ রয়েছে। এ বছর ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর এসসিও ওই হামলার নিন্দা জানায়। কিন্তু ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানানোর ওই যৌথ বিবৃতিতে সমর্থন দেয়নি ভারত। ইসরায়েলের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। একইভাবে ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে এসসিও জোটের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এমন মতবিরোধের কারণ হিসেবে মনোজ কেওয়ালরামানি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ ভিন্ন ভিন্ন কারণ নিয়ে এ প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, মধ্য এশিয়ার দেশগুলো নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকে ও চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী হয়ে যোগ দিয়েছে। ভারতের জন্য আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ দমন মূল কারণ।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিভিন্ন সময় দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোর বিভিন্ন জোটের সমালোচনা করেছেন। অতীতে তিনি ব্রিকস জোটের সদস্যদের ওপর সুনির্দিষ্ট করে বিশেষ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে জোটটি ধ্বংস করার হুমকি দিয়েছেন। তিনি ব্রিকসকে ‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী’ বলেছিলেন। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও জনপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলেহান্দ্রো রেইজেস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবারের এসসিও সম্মেলন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। এই পর্যবেক্ষণ বছরের শেষদিকে ভারতের আয়োজন করা কোয়াড সম্মেলনের ধারা নির্ধারণ করতেও সহায়ক হতে পারে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় ২০০৭ সালে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে কোয়াড বা কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ গঠন করে। চীনের উত্থান নিয়ে উদ্বেগ থেকে গত ২৫ বছরে ভারত যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন ট্রাম্প। তিনি ভারতীয় পণ্যের পর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, কয়েক দিন আগে এটি কার্যকর হয়েছে। শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র–ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভারতের চীন–ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগ্রহ এ বছরের এসসিও সম্মেলনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের গভীর নজর রাখার একটি অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। আগামীকাল তিয়ানজিনে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে মোদির বৈঠক হবে। রেইজেস বলেন, এসসিও সম্মেলনে ভারত ও চীনের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ কেমন হয়, সেটা যুক্তরাষ্ট্র বিশেষভাবে লক্ষ্য করবে। দিল্লি ও বেইজিং—দুই প্রতিবেশী পারস্পরিক উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েন থাকলেও ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভেঙে গেছে—এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ঠিক নয় বলে মনে করেন কেওয়ালরামানি। কেওয়ালরামানি বলেন, ‘প্রভাবশালী অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। যুক্তরাষ্ট্র তাই শুধু ভারতের ওপরই নজর রাখবে তেমনটা নয়; বরং পাকিস্তান, ইরান, এমনকি রাশিয়া ও চীনও কীভাবে এসসিও সম্মেলনে প্রধান ভূরাজনৈতিক ইস্যু ও বাণিজ্য নিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম গড়ে তোলে সেটাও নজরে রাখবে।’

ভারত–চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক কি নতুন মোড় নেবে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীন সফরে গেছেন, কিন্তু এ সফরের মধ্যেও তাঁর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কের চাপ। গত বুধবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী ভারতীয় পণ্যের ওপর, যেমন হীরা আর চিংড়িতে শুল্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। ওয়াশিংটনের ভাষায়, দিল্লি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করার এটাই হলো শাস্তি। অর্থনীতিবিদদের মতে, এই শুল্কে ভারতের রপ্তানি খাত বড় ধরনের ধাক্কা খেতে পারে। সেই সঙ্গে ভারতের উচ্চাভিলাষী প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও হুমকির মুখে পড়তে পারে। এদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংও অর্থনীতিতে গতি আনার চেষ্টা করছেন, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কের কারণে তাঁর পরিকল্পনাও ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বের দুই সর্বাধিক জনবহুল দেশের নেতারা সম্পর্কের নতুন দিগন্ত খুঁজতে পারেন, যদিও এ সম্পর্ক এত দিন ছিল অবিশ্বাসে ভরা। এ অবিশ্বাসের মূল কারণ সীমান্ত বিরোধ। চ্যাথাম হাউসের গবেষক চিয়েতিগ বাজপেই এবং ইউ জি সম্প্রতি লিখেছেন, সহজভাবে বললে, এ সম্পর্কের প্রভাব গোটা বিশ্বে পড়বে। তাঁদের মতে, ভারত কোনো দিনই চীনের বিরুদ্ধে সেই প্রতিরোধ দেয়াল হয়ে উঠত না, যেটা পশ্চিমারা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ভাবত। তাই মোদির এ চীন সফরে অনেক কিছুর মোড় ঘুরে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ভারত আর চীন উভয়ই অর্থনৈতিকভাবে শক্তিধর দেশ। তারা যথাক্রমে বিশ্বের পঞ্চম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। আইএমএফের হিসাবে, ভারতের প্রবৃদ্ধি আগামী কয়েক বছর ৬ শতাংশের ওপরে থাকবে। দেশটির অর্থনীতি ইতিমধ্যে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের, শেয়ারবাজারের বাজার মূলধন ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ২০২৮ সালের মধ্যেই ভারত তৃতীয় স্থানে উঠে যাবে। বেইজিংভিত্তিক উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান উসাওয়া অ্যাডভাইজরির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কিয়ান লিউ বলছেন, বিশ্ব সম্প্রদায় এত দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ককে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক হিসেবে দেখেছে। এখন সময় এসেছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি—চীন ও ভারত কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সেদিকে নজর দেওয়ার। তবে সম্পর্কটা সহজ নয়। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ এখনো মীমাংসিত হয়নি। সেই বিরোধ মূলত আরও বিস্তৃত প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রতীক। ২০২০ সালের জুনে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষ গত চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী মুহূর্ত। এর পরিণতিও ছিল প্রধানত অর্থনৈতিক—সরাসরি ফ্লাইট আবার চালুর বিষয়টি বাতিল হয়, ভিসা ও চীনা বিনিয়োগ আটকে যায়। ফলে অবকাঠামো প্রকল্পের গতি কমে যায়। ভারত টিকটকসহ দুই শতাধিক চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। আন্তর্জাতিক কৌশলবিষয়ক গবেষণা সংস্থা আইআইএসএসের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক গবেষক অঁতোয়ান লেভেস্কের মতে, সংলাপ জরুরি, কেননা ভারত-চীন সম্পর্ক গোটা এশিয়ার স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে মূল বিষয়। অন্য শক্তিগুলোও বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এর বাইরেও নানা স্পর্শকাতর ইস্যু, যেমন তিব্বত, দালাই লামা, যৌথ নদীর ওপর চীনের বিশাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্প কিংবা পাকিস্তানে পেহেলগাম হামলার পর নতুন করে তৈরি উত্তেজনা। বর্তমানে ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ প্রতিবেশীর সম্পর্ক ভালো নয়। বিপরীতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার চীন। এশিয়া ডিকোডেড নামের গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান অর্থনীতিবিদ প্রিয়াঙ্কা কিশোরের ভাষায়, ভারতে কোনো বিওয়াইডি (চীনা গাড়ি নির্মাতা) কারখানা হবে বলে মনে হয় না। তবে ছোটখাটো কিছু সাফল্য আসতে পারে। এরই মধ্যে ঘোষণা হয়েছে, ভারত-চীন সরাসরি বিমান আবার চালু হবে। ভিসা নীতিতে শিথিলতা আনা হতে পারে, অর্থনৈতিক সহযোগিতাও বাড়তে পারে। তবে দিল্লি–বেইজিং সম্পর্ক মূলত অস্বস্তিকর বলে মন্তব্য করেন কিশোর। মনে রাখতে হবে, একসময় যুক্তরাষ্ট্র আর ভারত জোট বেঁধেছিল চীনের বিপক্ষে ভারসাম্য তৈরি করতে। কিন্তু এখন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বুঝতে পারছে না। তাই এ পদক্ষেপ চৌকস ও বহুকেন্দ্রিক বিশ্বের ধারণার সঙ্গে মেলে—ভারত ও চীন উভয় দেশই তা সমর্থন করে। মোদি এবার সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠকে যাচ্ছেন। এটি মূলত পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গির বিকল্প আঞ্চলিক মঞ্চ। সদস্যদেশগুলোর মধ্যে আছে চীন, ভারত, ইরান, পাকিস্তান ও রাশিয়া। তবে ভারত এত দিন এই সংস্থার গুরুত্ব তেমন একটা ধারণ করেনি। সমালোচকেরা বলেন, এসসিও তেমন উল্লেখযোগ্য ফলও দিতে পারেনি। চলতি বছরের জুন মাসে এসসিওর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠক থেকে যৌথ বিবৃতি আসেনি। ভারত আপত্তি তোলে। কারণ, সেখানে কাশ্মীরের পেহেলগামে হিন্দু পর্যটকদের ওপর ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ হামলার উল্লেখ ছিল না। যে কারণে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ শুরু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ভারত আবার এসসিওর প্রয়োজনীয়তা ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। চীনও ট্রাম্পের শুল্ক বিশৃঙ্খলার মধ্যে উন্নয়নশীল বিশ্বের সংহতির চিত্র দেখাতে চাইবে। অন্যদিকে ব্রিকস জোট—যার সদস্য চীন ও ভারতও ট্রাম্পের রোষের শিকার হয়েছে। তিনি হুমকি দিয়েছেন, নির্ধারিত হারের বাইরেও এই জোটের দেশগুলোর ওপর বাড়তি শুল্ক চাপানো হতে পারে। সি চিন পিং ও ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মোদির সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে, রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে। গত সপ্তাহে রুশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মস্কোর আশা খুব শিগগির চীন-ভারত-রাশিয়া ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, তিন দেশের নিজস্ব শক্তি—চীনের উৎপাদন দক্ষতা, ভারতের সেবা খাত ও রাশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগানো গেলে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নতুন রপ্তানি বাজার তৈরি করা সম্ভব। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক বাণিজ্যের গতিপথও বদলে যেতে পারে। দিল্লি আবার অন্য আঞ্চলিক মিত্রতাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। চীন যাওয়ার পথে মোদি জাপান সফর করেছেন। আসিয়ান আর জাপান অবশ্যই চীন-ভারতের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা চাইবে। এতে সরবরাহশৃঙ্খলের বিশেষ সুবিধা হবে, ‘মেক ইন এশিয়া ফর এশিয়া’ ধারণাটিও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে, বলেন প্রিয়াঙ্কা কিশোর। উৎপাদনের জন্য ভারত এখনো চীনের ওপর নির্ভরশীল। কাঁচামাল আর যন্ত্রাংশ সেখান থেকেই আসে। তাই ভারত চাইবে, আমদানি শুল্ক যেন কম হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, কঠোর শিল্পনীতি ভারতের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে চীন থেকে সরবরাহশৃঙ্খল সরতে শুরু করলেও ভারত তার সুবিধা পাচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো নয়। কিশোরের মতে, অংশীদারত্বের বড় সুযোগ আছে, বিশেষ করে ইলেকট্রনিকস উৎপাদনে। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, অ্যাপল ভিয়েতনামে এয়ারপডসসহ বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করছে, ভারতে তৈরি হচ্ছে আইফোন। ফলে দ্বৈত উৎপাদনের সমস্যা নেই। কিশোর আরও বলেন, চীনের জন্য সহজ সাফল্য হতে পারে দ্রুত ভিসা অনুমোদন। চীন চায় ভারতের বাজারে প্রবেশাধিকার—সরাসরি হোক বা বিনিয়োগের মাধ্যমে। কেননা যুক্তরাষ্ট্রের বাজার সংকুচিত হচ্ছে, আসিয়ানের বাজার প্রায় ভরে গেছে, অন্যদিকে ভারতে টিকটকের মতো অসংখ্য চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ। তবে সম্পর্ক এত জটিল যে একটি বৈঠকেই অনেক কিছু বদলে যাবে, তা নয়। চীন-ভারতের সম্পর্কোন্নয়নের পথে এখনো অনেক পথ বাকি। তবু মোদির এ সফরে অন্তত কিছু তিক্ততা কমতে পারে। সেই সঙ্গে ওয়াশিংটনকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে, ভারতের হাতে বিকল্প আছে।

‘মনোমালিন্যের’ পর রুমিন উপহার পাঠিয়েছেন, জানালেন হাসনাত

বিএনপির নেত্রী রুমিন ফারহানার সঙ্গে একটি বিষয়ে মনোমালিন্য হয়েছে মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘উনি ওনার লোক পাঠিয়েছেন যে আমাদের এখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না। আমাদের জন্য উনি কিছু উপহার পাঠিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য পজিটিভ বার্তা। আমাদের অবশ্যই ওয়েলকাম জানানো উচিত।’ গতকাল শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ছতরপুর স্কুল মাঠে আয়োজিত ‘উঠানে নতুন সংবিধান’ ব্যানারে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এনসিপির এই নেতা। গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান, বিচার ও সংস্কারের দাবিতে এনসিপির বিজয়নগর উপজেলা কমিটি এ উঠান বৈঠকের আয়োজন করে। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের এখন বলা হয় নির্বাচনবিরোধী। বিএনপি নির্বাচনের জন্য কথা বলছে। আমরা নির্বাচনসহ আরও দুটি বিষয়ের জন্য কথা বলছি। আমরা বলছি আমাদের নির্বাচন লাগবে, আমার সংস্কারও লাগবে, বিচারও লাগবে।’ সংস্কারের বিষয়টি খুবই ‘বেসিক’ মন্তব্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এই যে পুলিশ ভাই আমারে বিনা বিচারে, বিনা মামলায় আমাকে যে ঘর থেকে উঠায়া নিয়ে যাবে না, এর ফয়সালা কি হয়েছে? পুলিশ যে আমাকে বাসা থেকে উঠাইয়া নিয়ে যাবে, আমার পরিবারকে অবগত করবে, এর ফয়সালা কি এখন পর্যন্ত হয়েছে? হয় নাই তো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখি যে মাইক দিয়ে বলে, যদি ধানের শীষ প্রতীক না থাকে, প্রয়োজনে আমরাই নিজেরাই ব্যালট বাক্স ছাপাব। আমি বলছি না, এটা একটা রাজনৈতিক দলের অবস্থা। বলছি, একটা রাজনৈতিক দলের অনেকের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা এ রকম। এটা যে সবাই ধারণ করে, তা আমরা বিশ্বাস করতে চাই না।’ হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘নুর ভাইয়ের (নুরুল হক নুর) ওপর যে আক্রমণটা হয়েছে, এটা আমাদের জন্য একটা মেসেজ। তারেক জিয়াকে আমরা দেখেছি মুচলেকা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে। ওনাকে নৃশংসভাবে মেরে মাজা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। একই পরিণতি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, যদি আমরা নিয়ম চেঞ্জ না করতে পারি। নুর ভাইয়ের যে পরিণতি হয়েছে, একই পরিণতি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, যদি আমরা নিয়ম পরিবর্তন করতে না পারি। খালেদা জিয়ার যে পরিণতি হয়েছিল, আমাদের জন্যও একই পরিণতি অপেক্ষা করছে, যদি আমরা নিয়ম পরিবর্তন করতে না পারি। নিয়ম পরিবর্তনের জন্য যেটার নাম আমরা দিয়েছি সংস্কার; এটার জন্য আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মাহমুদা আলম, মো. আতাউল্লাহ, বিজয়নগর উপজেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

অনলাইন জরিপ

survey image

নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকারীরা কেউ রেহাই পাবে না বলে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আপনি কি মনে করেন, এই ঘটনার সঠিক বিচার হবে

মোট ভোটদাতাঃ 147 জন

সারাদেশ

Loading...

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি, যেভাবে আবেদন

ইঞ্জিনিয়ার চৌধুরী মোহাম্মদ মহসীন ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করবে। এটি মানবসম্পদ উন্নয়ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। দরকারি তথ্য ১. চট্টগ্রাম জেলার শুধু হাটহাজারী উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে,২. শিক্ষার্থী মেধাবী অথচ আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন,৩. ফাউন্ডেশনের অফিসে পাওয়া নির্ধারিত ছকে বা ফরমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য আবেদন করতে হবে,৪. মাসিক শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা বছরের শুরুতে ভর্তি ও শিক্ষা উপকরণের জন্য এককালীন আর্থিক সহায়তা,৫. আবেদনপত্র পাঠানোর শেষ তারিখ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিকেল ৪টা পর্যন্ত। যাঁরা আবেদন করতে পারবেন ১. সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্থাপিত এবং পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করা,২. বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত এবং স্বীকৃত পাবলিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রকৌশল, চিকিৎসা, বাণিজ্য, অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা (তৃতীয় শ্রেণিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ব্যতীত)। প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে ১. দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি।২. স্থায়ী ঠিকানার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয়তা সনদ।৩. মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষাসমূহের মূল নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।৪. জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধনের সত্যায়িত ফটোকপি।৫. স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির রসিদ ও শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্রের (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রাপ্ত) সত্যায়িত ফটোকপি। আবেদনের ঠিকানা ইঞ্জিনিয়ার চৌধুরী মো. মহসিন ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, বটতলি, ফতেয়াবাদ, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

2 সপ্তাহ আগে
bdnews-card-img

শ্রীশান্তের স্ত্রীর ক্ষোভের জবাবে মোদি: ‘সত্য বলেছি, তাই দেখিয়েছি’

২০০৮ আইপিএলের বহুল আলোচিত ‘চড়কাণ্ড’ প্রকাশ্যে এনে সমালোচনার মুখে পড়েছেন আইপিএলের সাবেক চেয়ারম্যান ললিত মোদি। শ্রীশান্তকে হরভজন সিংয়ের চড় মারার সেই ভিডিও সামনে আনায় খেপেছেন শ্রীশান্তর স্ত্রী ভুবনেশ্বরী। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুরোনো ক্ষতকে ‘সস্তা প্রচার আর ভিউর জন্য’ আবার টেনে আনা হয়েছে। ভিডিও ফাঁস করা মোদি এবার শ্রীশান্তর স্ত্রীর কথার জবাব দিয়েছেন। মোদি সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের ‘বিয়ন্ড২৩’ পডকাস্টে চড়কাণ্ডের বিষয়ে কথা বলেছেন, ভিডিওটিও দেখিয়েছেন। ১৭ বছর আগে ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় হলেও ঠিক কী ঘটেছিল, সেই দৃশ্য কেউ দেখেনি। এবার ললিত মোদি প্রকাশ্যে আনতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে মোদি ও ক্লার্কের ক্ষোভ প্রকাশ করে গতকাল ভুবনেশ্বরী ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘লজ্জা হোক আপনাদের (মোদি ও ক্লার্ক)। ২০০৮ সালের ঘটনা টেনে এনে আপনারা শুধু সস্তা প্রচার আর ভিউ চাইছেন। শ্রীশান্ত আর হরভজন অনেক আগেই এই ঘটনা পেছনে ফেলে এসেছে। দুজনেই এখন স্কুলপড়ুয়া সন্তানের বাবা। অথচ আপনারা আবারও পুরোনো ক্ষত উসকে দিলেন। জঘন্য, হৃদয়হীন ও অমানবিক।’ ভুবনেশ্বরী মন্তব্য সম্পর্কে জানতে ভারতীয় বার্তা সংস্থা আইএএনএস মোদির সঙ্গে যোগাযোগ করে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভিডিও ছাড়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি না কেন তিনি (শ্রীশান্তর স্ত্রী) রাগ করছেন। আমাকে একটা প্রশ্ন করা হয়েছিল, আর আমি সত্যটাই বলেছি। আমি সব সময় সত্য বলার জন্য পরিচিত। শ্রীশান্ত তখন ভুক্তভোগী ছিল, আমি সেটাই বলেছি। আগে কেউ আমাকে এটা জিজ্ঞাসা করেনি, তাই ক্লার্ক যখন প্রসঙ্গ তুললেন, আমি উত্তর দিয়েছি।’ আইপিএলের প্রথম আসরে ঘটনাটি ঘটে। মোহালিতে এক ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স মুখোমুখি হয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের (বর্তমান পাঞ্জাব কিংস)। ম্যাচ শেষে টিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, শ্রীশান্ত কাঁদছেন। পরে জানা যায়, হরভজন ম্যাচ শেষে শ্রীশান্তকে চড় মেরেছেন। এ ঘটনায় হরভাজনকে ১১ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। প্রায় দেড় যুগ পর সামনে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ম্যাচের শেষে সাধারণত যেভাবে ক্রিকেটাররা সৌজন্য বিনিময় করেন, সেভাবেই সারি বেঁধে শুভেচ্ছা বিনিময় চলছিল। শ্রীশান্ত সামনে এলে হরভজন করমর্দন না করে টেবিল টেনিসের ব্যাকহ্যান্ড শটের মতো করে তাঁর ডান গালে সপাটে চড় কষিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রীশান্ত তাঁর দিকে তেড়ে যান। এগিয়ে যান হরভজনও। তখন শ্রীশান্তকে ধরে ফেলেন ইরফান পাঠান ও মাহেলা জয়াবর্ধনে। শ্রীশান্তকে চড় মারা নিয়ে এখনো অনুশোচনায় ভোগেন হরভজন। সম্প্রতি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব পডকাস্টে হাজির হয়ে সেই কথা বলেছেন হরভজন। এর কিছুদিন পরই সামনে এল চড়কাণ্ডের ভিডিও।

2 সপ্তাহ আগে
bdnews-card-img

ব্যাংকে ২৪ টাকা মাত্র, এক প্যাকেট বিস্কুট খেয়ে কাটত দিন

বলিউডে তিন কুলে তাঁর কেউ নেই। তথাকথিত নায়কোচিত চেহারাও নয়, তবু সেই ছেলেটিই আজ হিন্দি সিনেমার পরিচিত মুখ। পুরোপুরি বাণিজ্যিক ধারা থেকে শৈল্পিক ধারার সিনেমা—সব জায়গায়ই নিয়মিত তিনি। এই অভিনেতা আর কেউ নন, রাজকুমার রাও। আজ ৩১ আগস্ট অভিনেতার জন্মদিন। এ উপলক্ষে আলো ফেলা যাক তাঁর জীবন ও ক্যারিয়ারে। বহিরাগত থেকে বলিউড তারকা দিবাকর ব্যানার্জির বহুল চর্চিত সিনেমা ‘লাভ, সেক্স অউর ধোঁকা’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় রাজকুমারের। এরপর ‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর ২’ আর ‘তালাশ’-এ ছোট চরিত্রে নজর কাড়েন তিনি। ‘কাই পো চে’, ‘সিটিলাইটস’ ও ‘শহীদ’ তাঁকে এনে দেয় অভিনেতা হিসেবে স্বীকৃতি। সেই শুরু থেকে আজকের দিন পর্যন্ত তাঁর যাত্রা যেন এক অনন্য সংগ্রামের কাহিনি। রাজকুমারের ভাষায়, ‘ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকাটা আমাকে মুক্তি দিয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট পথে হাঁটার চাপ ছিল না। তাই আমি নিজের মতো করে পথ খুঁজেছি। এই যাত্রা নিয়ে আমি গর্বিত, কখনোই এর বিনিময়ে কিছু নিতে চাই না। আর এটাই আমাকে মাটির কাছাকাছি থাকতে সাহায্য করেছে।’ বহুমুখী অভিনয়গত এক বছরে রাজকুমারকে দেখা গেছে ভৌতিক, কমেডি, থ্রিলার, গ্যাংস্টার ড্রামা থেকে শুরু করে রোমান্টিক-কমেডি—সব ধারার ছবিতেই। সাম্প্রতিক কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘স্ত্রী ২’, ‘মালিক’, ‘ভুল চক মাফ’ ও ‘ভিকি বিদ্যা কা উওহ ওয়ালা ভিডিও’।তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এত বৈচিত্র্যময় চরিত্র নেওয়ার মধ্যে কি কোনো সচেতন চেষ্টা আছে? অভিনেতা উত্তর দিয়েছেন, ‘অবশ্যই। আমি সব সময় নতুন গল্প আর চরিত্র খুঁজতে চাই। সেটা সিরিয়াস হোক বা হালকা মেজাজের, অভিনয়ের ভেতর দিয়ে আমি নিজের নতুন দিক আবিষ্কার করতে চাই। এতে কাজটা বাস্তব আর রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে।’ অভিনয়ে এত ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে ঢুকে পড়া কখনো শিল্পীদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। রাজকুমারের ক্ষেত্রে অবশ্য এটা সত্যি নয়। তাঁর ভাষ্যে, ‘এটা আমাকে বরং খুশি করে। কারণ, আমি জানি, এটাই করতে চেয়েছি সারা জীবন। একটা চরিত্রে সারা দিন প্রাণ ঢেলে কাজ করলে রাতে ঘুমটা হয় সবচেয়ে গভীর। সেই ক্লান্তি সবচেয়ে মধুর।’তবে তিনি মানেন, কিছু চরিত্র অবচেতন মনে থেকে যায়। ‘যেমন “ওমের্তা” করতে গিয়ে আমার ভেতরের শক্তি বদলে গিয়েছিল। পাত্রলেখা বলেছিল আমার চারপাশের এনার্জিই পাল্টে গেছে। তবে হ্যাঁ, উজ্জ্বল বা আনন্দময় চরিত্র করলে সেটি ইতিবাচক শক্তি দেয়,’ বলেন তিনি। শিল্পীসত্তা বনাম বাণিজ্যশিল্পীসত্তা আর বাণিজ্যিক চাহিদার ভারসাম্য নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। ‘এটা একধরনের সমন্বয়ের চেষ্টা। তবে আমি মনে করি, শিল্পীসত্তা আর বাণিজ্য সব সময় একে অপরের বিপরীতে দাঁড়ায় না। আমি যে শৈল্পিক সিনেমাগুলো করেছি, তার অনেকগুলোই ভালো ব্যবসা করেছে। যখন আপনার পছন্দ সৎ জায়গা থেকে আসে, তখন তা মানুষের সঙ্গে সংযোগ ঘটায়,’ বলেছেন রাজকুমার। তারকাখ্যাতির দায়বদ্ধতাআজকের দিনে অনেক তরুণ তাঁর ভক্ত। এই জায়গার দায়বদ্ধতা তিনি বোঝেন বলেই রাজকুমার পণ্যের প্রচারের ক্ষেত্রেও সতর্ক। ‘আমার কাছে বিজ্ঞাপন শুধু ব্যবসার সিদ্ধান্ত নয়। এটা বলে আমি আসলে কে, কিসের পক্ষে দাঁড়াই। তরুণ প্রজন্ম এসব খেয়াল করে। তাই আমি প্রতিটি সিদ্ধান্ত খুব গুরুত্ব দিয়ে নেই,’ বলেন তিনি।সম্প্রতি এমআর.ডিআইওয়াই নামের একটি হোম ইমপ্রুভমেন্ট ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডের মুখ হয়েছেন রাজকুমার। নিজের মতোই সরল ও প্র্যাকটিক্যাল দর্শনের কারণে তিনি ব্র্যান্ডটির সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পেরেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি কোনো পণ্য বা বার্তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আমার সংযোগ না থাকে, আমি তা কখনোই প্রচার করব না।’একই প্রসঙ্গে তিনি জানান, অনেক লোভনীয় প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছেন। ‘কিছু অফার ছিল, যেগুলোতে অর্থ আর প্রচারের সুযোগ দুটোই ছিল বিশাল। কিন্তু বার্তাটা আমার কাছে সঠিক মনে হয়নি। আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। তাই ফিরিয়ে দিয়েছি,’ বললেন তিনি।শেষে রাজকুমার যোগ করেন, ‘দিনের শেষে, পর্দার বাইরে হলেও আমার সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে আমি যেন স্বস্তিতে থাকতে পারি, সেটাই আসল।’ পরিচালক বনাম অভিনেতারাজকুমার রাও নিজেকে সব সময় পরিচালকের বাধ্যানুগত অভিনেতা হিসেবে দেখেন। ‘সিনেমা আসলে পরিচালকের শিল্প। অভিনেতা কেবল তাঁর গল্পকে পর্দায় তুলে আনে। তবে আমি ভাগ্যবান যে আমার পরিচালকেরা আমাকে অনেক স্বাধীনতা দেন, নিজের মতো করে দৃশ্য সাজানোর সুযোগ দেন,’ মন্তব্য রাজকুমারের। দিল্লির সংগ্রামের দিনগুলোবলিউডের বহুমুখী অভিনেতা রাজকুমার রাও আজ যখন ‘স্ত্রী ২’-এর সাফল্যে ভাসছেন, তখনো তিনি ভোলেননি তাঁর কঠিন শুরুর দিনগুলোর কথা। মুম্বাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে দিল্লিতে অভিনয়ের সুযোগ খুঁজতে গিয়ে তিনি একবার বড়সড় প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। টেলিভিশন ‘শো দ্য কপিল শর্মা শো’-তে নিজের অভিজ্ঞতার কথা খুলে বলেছিলেন রাজকুমার। জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ ছবির প্রচারে এসে তিনি জানান, ১০ হাজার রুপি প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন তিনি।রাজকুমারের ভাষায়, ‘প্রথম ছবিতে সুযোগ পাওয়া ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজ। সেই সুযোগ পেতে আমাকে প্রায় দুই বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, মা-ই তাঁর জন্য ধার করে সেই টাকা জোগাড় করেছিলেন। কিন্তু সুযোগ দেওয়ার নাম করে কেউ প্রতারণা করে পুরো টাকাই নিয়ে নেয়।’তবে রাজকুমার রাওয়ের লড়াই থেমে থাকেনি। অভিনেতা মনে করেন হার না–মানার সেই মানসিকতাই তাঁকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। ব্যাংকে মাত্র ২৪ টাকাছোট শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারের এক সাধারণ ছেলে বলিউড তারকা হয়ে ওঠা সহজ ছিল না। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্ট ২০২২-এ অংশ নিয়ে নিজের ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে মুম্বাইয়ে লড়াইয়ের দিনগুলোর কথা শোনালেন রাজকুমার। গুরগাঁওয়ের এক যৌথ পরিবারে বড় হওয়া রাজকুমার ছোটবেলাতেই সিনেমার প্রেমে পড়ে যান। তখনো গুরগাঁও ছিল ছোট্ট শহর। ‘আমি জানতাম, সিনেমাই করতে চাই। থিয়েটার করার সময় সাইকেল চালিয়ে প্রতিদিন ৭০ কিলোমিটার আসা-যাওয়া করতাম দিল্লি। যেন প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি, সে রকমই টান ছিল,’ স্মৃতিচারণা করলেন অভিনেতা। থিয়েটারে অভিজ্ঞতার পর ভর্তি হন পুণের এফটিআইআইএ। সেখানকার পড়াশোনা তাঁকে আরও শাণিত করে। কিন্তু মুম্বাই আসার পর শুরু হয় আসল সংগ্রাম। ‘মুম্বাইয়ে আসাটা ছিল ভীষণ কঠিন। অনেক সময় এমন দিন গেছে, যখন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ১৮ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ টাকা)। দিনে এক প্যাকেট পারলে-জি (বিস্কুট) খেয়েই বেচেছি,’ বলেন রাজকুমার। ভাগ্যিস, ফিল্ম স্কুলের কিছু বন্ধু পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।তবু কোনো বিকল্প পরিকল্পনা রাখেননি তিনি। ‘আমার কাছে কখনোই প্ল্যান বি ছিল না। একটাই স্বপ্ন ছিল, অভিনেতা হব,’ বলেন রাজকুমার। জীবনদর্শনরাজকুমার জানালেন, তিনি খুব বেশি বসে অতীত ভাবেন না। ‘আমি মুহূর্তে বাঁচতে চাই। পরিবার, বন্ধুবান্ধব আর কাজই আমার কাছে সবকিছু। যদি ২০ বছর আগে গুরগাঁওয়ে কেউ বলত আমি এমন জীবন পাব, বিশ্বাস করতাম না। আমার অবদান শুধু পথটা অনুসরণ করা। বাকিটা ঈশ্বর আর আমার বাবা-মায়ের ইচ্ছা,’ বলেন তিনি। একটাই আফসোসবলিউডের প্রায় এক যুগ কাটিয়ে দিলেন রাজকুমার রাও। পেছন ফিরে দেখলে কী মনে হয়? ‘সবচেয়ে বড় মাইলফলকই হলো—একজন অভিনেতা হতে পারা। এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের জন্য এটাই বিশাল অর্জন।’ তবে আফসোস আছে একটাই, এই সাফল্যের সাক্ষী তাঁর মা–বাবা হতে পারেননি। ‘কী চাই জানতে চাইলে বলব, এই জীবনটাই আবার কাটাতে চাই, তবে মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে। তাঁরা যেন আমার এই সাফল্যের সাক্ষী হতে পারেন,’ বলেন তিনি। সেরা ১০কখনো বাস্তবের চরিত্র, কখনো ব্যতিক্রমী প্রেমিক, আবার কখনো অদম্য সংগ্রামী; পর্দায় নানা ধরনের চরিত্রে দেখা গেছে রাজকুমারকে। ভারতীয় গণমাধ্যম মিড-ডে সেখান থেকে বেছে নিয়েছে অভিনেতার ১০ সিনেমা- ‘শহীদ’ (২০১২)হংসল মেহতার পরিচালনায় নির্মিত এই ছবিই রাজকুমারের ক্যারিয়ারে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তিনি পর্দায় জীবন্ত করে তুলেছিলেন মানবাধিকার আইনজীবী শহীদ আজমির চরিত্রকে। চরিত্রের ভেতর ডুবে গিয়ে তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন শহীদের সংগ্রাম, লড়াই আর অর্জন। ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান রাজকুমার, সেরা অভিনেতা হিসেবে। ‘কাই পো চে!’ (২০১৩)চেতন ভগতের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিতে গোবিন্দের ভূমিকায় ছিলেন রাজকুমার। ছোট শহরের বড় স্বপ্ন দেখা এক তরুণ, যে বন্ধুদের সঙ্গে জীবন গড়তে চায়। চরিত্রে ছিল আন্তরিকতা আর বিশ্বাসযোগ্যতার ছাপ। এই ছবির মাধ্যমেই বলিউডে নিজের অভিনয় ক্ষমতার জানান দেন তিনি। ‘আলিগড়’ (২০১৫)হংসল মেহতার আরেকটি ছবিতে রাজকুমার ছিলেন সাংবাদিকের ভূমিকায়, যিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত এক অধ্যাপকের (মনোজ বাজপেয়ী) পাশে দাঁড়ান। ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। ‘ট্র্যাপড’ (২০১৬)এটি রাজকুমারের অভিনয়জীবনের অন্যতম সেরা দৃষ্টান্ত। এক অ্যাপার্টমেন্টে আটকা পড়া সাধারণ মানুষ, যার কাছে নেই খাবার, পানি বা বিদ্যুৎ—এই চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দেখিয়েছেন বেঁচে থাকার লড়াই কতটা ভয়ংকর হতে পারে। এটির পরিচালক বিক্রমাদিত্য মোটওয়ানে। ‘বেরেলি কি বরফি’(২০১৭)আশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারির পরিচালনায় নির্মিত এই ছবিতে রাজকুমার ছিলেন প্রীতম বিদ্রোহী চরিত্রে। ছবির কেন্দ্রীয় নায়ক না হয়েও নিজের অভিনয় দিয়ে আলোচনায় ছিলেন। ‘নিউটন’ (২০১৭)অমিত ভি মসূরকারের ব্যঙ্গাত্মক এই ছবিতে রাজকুমার ছিলেন সরকারি কেরানি নিউটন কুমার, যিনি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে নিরপেক্ষ নির্বাচন করাতে বদ্ধপরিকর। নিখুঁত সংযম আর হাস্যরসের মিশ্রণে চরিত্রটিকে তিনি স্মরণীয় করে তুলেছিলেন। ছবিটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা পেয়েছিল। ‘স্ত্রী’ (২০১৮) ও ‘স্ত্রী ২’ (২০২৪)হরর-কমেডি ঘরানার এই ছবিগুলোতে ছোট শহরের দর্জি ভিকির চরিত্রে দেখা গেছে রাজকুমারকে। ভয় আর হাসির মিশেলে তাঁর অভিনয় তাঁকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে। দুই সিনেমাই বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পায়। ‘বধাই দো’ (২০২২)এবারের চরিত্র আরও চ্যালেঞ্জিং—সমকামী পুলিশ অফিসার শরদুল ঠাকুর। সমাজ আর পরিবারের চোখে নিজের পরিচয় আড়াল করে রাখা মানুষটির ভেতরের দ্বন্দ্ব ফুটিয়ে তুলেছিলেন রাজকুমার। ছবিটি তাঁর অভিনয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। ‘মনিকা ও মাই ডার্লিং’ (২০২২)থ্রিলার ঘরানার এই ছবিতে রাজকুমার ছিলেন জয়ন্ত আর্কেদকারের চরিত্রে। যে কিনা এক রোবোটিকস বিশেষজ্ঞ, হঠাৎই পরিকল্পিত খুনের জালে জড়িয়ে পড়ে। কমেডি, রহস্য আর অন্ধকার রসিকতার মিশেলে তাঁর অভিনয় ছিল অনবদ্য। ‘শ্রীকান্ত’ (২০২৪)শ্রীকান্ত বল্লার অনুপ্রেরণামূলক জীবনীতে অভিনয় করেছেন রাজকুমার। জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই উদ্যোক্তার সংগ্রাম আর জয়গাথা ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। তথ্যসূত্র: ফিল্মফেয়ার, হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে

2 সপ্তাহ আগে
bdnews-card-img

তিন দফা দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ

তিন দফা দাবি নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা রেললাইন অবরোধ করেছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দেন তাঁরা। এ প্রতিবেদন লেখার সময় বেলা আড়াইটায় অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির সামনে থেকে একটি মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল জব্বার মোড়–সংলগ্ন রেললাইনে গিয়ে হাওর এক্সপ্রেস আটকে দেন। পরে তাঁরা রেললাইনে অবস্থান নিয়ে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনসহ (বিএডিসি) সব গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে দশম গ্রেডের (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/উপসহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমান) পদ কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ব্যতীত নবম গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ রাখা যাবে না। কৃষি বা কৃষিসংক্রান্ত বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন না করে কেউ নামের সঙ্গে ‘কৃষিবিদ’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না, এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, কৃষি খাতে ডিপ্লোমাধারীরা যে দাবি তুলেছেন, তা বাস্তবায়িত হলে পেশাদার কৃষিবিদেরা বঞ্চিত হবেন। এ দাবিগুলোকে তাঁরা ‘অযৌক্তিক ও অনৈতিক’ বলে উল্লেখ করেন। কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের তিন দফা দাবি একেবারেই যৌক্তিক। কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষায় আমরা মাঠে নেমেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।’

2 সপ্তাহ আগে
bdnews-card-img

বজ্রপাতের কারণে বায়ুদূষণ বাড়ছে

বজ্রপাতকে আমরা সাধারণত একটি প্রাকৃতিক ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করি। বজ্রপাতের ভয়াবহতা আমাদের সামনে পরিচিত। বজ্রপাতের কারণে নতুন ধরনের দূষণ তৈরি হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বজ্রপাত কেবল আলো ও শব্দের ঝলকানি নয়। বজ্রপাতের কারণে বায়ুমণ্ডলে ব্যাপক পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়। এতে বায়ুদূষণ বাড়ছে। সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো এই অদৃশ্য দূষণকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। বজ্রপাতের সময় বিদ্যুৎপ্রবাহ অনেক শক্তিশালী হয়। এতে বাতাসের নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন অণু ভেঙে যায়। এরপর সেই মুক্ত অণুগুলো নতুনভাবে একত্র হয়ে নাইট্রোজেন অক্সাইড তৈরি করে। এই নাইট্রোজেন অক্সাইড বায়ুদূষণের একটি প্রধান উপাদান। এটি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এসে বিষাক্ত ওজোন গ্যাস তৈরি করে। মাটির কাছাকাছি তৈরি হওয়া এই ওজোন গ্যাস মানবস্বাস্থ্য ও উদ্ভিদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীরা এই দূষণের সঠিক পরিমাণ নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না। বজ্রপাতের সময় বিভিন্ন গ্যাস খুব দ্রুত তৈরি হয় ও মিশে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের গবেষকেরা একটি নতুন ও কার্যকর পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন গ্যাসের তথ্য জানার জন্য। ২০২৫ সালের জুনের শেষ দিকে বিজ্ঞানী অধ্যাপক কেনেথ পিকারিং ও সহযোগী বিজ্ঞানী ডেল অ্যালেন নাসার ট্রপোস্ফিয়ারিক এমিশনস: মনিটরিং অব পলিউশন (টেম্পো) যন্ত্রের তথ্য বিশ্লেষণ শুরু করেন। মাটিতে থাকা লাইটনিং ডিটেক্টর বা বজ্রপাত শনাক্তকারী যন্ত্রসহ স্যাটেলাইটের তথ্য–উপাত্ত ও বায়ুমণ্ডলীয় মডেলকে যুক্ত করে তথ্য সংগ্রহ করছেন বিজ্ঞানীরা। বিভিন্ন স্যাটেলাইট মেঘের ওপর থেকে বায়ুমণ্ডলের রাসায়নিক উপাদানগুলোর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে। নাইট্রোজেন অক্সাইডের তথ্য নানাভাবে সংগ্রহ করা হয়। দেখা যায়, একক বজ্রপাতের কারণেও বায়ুমণ্ডলে অপ্রত্যাশিতভাবে বেশি পরিমাণে নাইট্রোজেন অক্সাইড তৈরি করতে পারে।বিজ্ঞানী পিকারিং বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। বজ্রঝড় দ্রুত বিকশিত হয়। প্রায়ই তারা এক ঘণ্টার মধ্যে তৈরি হয়। দ্রুত তীব্রতা প্রদর্শন করে হারিয়ে যায়। গবেষণার তথ্য আমাদের বায়ুদূষণের কারণ সম্পর্কে পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। এই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বজ্রপাতও বায়ুদূষণে একটি বড় ভূমিকা পালন করে।’ বিজ্ঞানী অ্যালেন বলেন, ‘এই গবেষণার মাধ্যমে জিওস্টেশনারি লাইটনিং ম্যাপার স্যাটেলাইট যন্ত্র থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করছি। আমরা বজ্রপাতের সংখ্যা গণনা করার মাধ্যমে ঝড়ের সময় প্রতিটি বজ্রপাত কতটা নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইড উৎপন্ন করে এবং পরে কতক্ষণ ধরে থাকে, তার আরও সঠিক ধারণা পেতে পারি। নতুন তথ্য গবেষকদের বিদ্যমান জলবায়ু মডেলকে উন্নত করতে ও বজ্রপাত কীভাবে আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের বাতাসকে প্রভাবিত করছে, তার সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।’নাইট্রোজেন অক্সাইড ও এর থেকে তৈরি হওয়া ওজোন মানুষের শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করছে। এতে ফসলের ক্ষতি হয়। অম্ল বৃষ্টি তৈরির পর মাটি ও জলজ বাস্তুতন্ত্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। বিজ্ঞানীদের হাতে এমন এক ডেটা সেট আছে, যার মাধ্যমে এখন আরও নিখুঁতভাবে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বায়ুর গুণগত মান ও জলবায়ু পরিবর্তনের পূর্বাভাস জানা যাচ্ছে। বিজ্ঞানী পিকারিং বলেন, বিশ্বব্যাপী বায়ুমণ্ডলে নির্গত মোট নাইট্রোজেন অক্সাইডের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ আসে বজ্রপাতের কারণে। মানুষের কারণেও বায়ুদূষণ হয়। অন্যদিকে বজ্রপাত অনেক বেশি উচ্চতায় নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গত করে। এতে ওজোন উৎপাদনে অনুঘটক হিসেবে বজ্রপাত কাজ করছে। সূত্র: ফিজিস ডট অর্গ

2 সপ্তাহ আগে
section ads image

রাজনীতি

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি, যেভাবে আবেদন

ইঞ্জিনিয়ার চৌধুরী মোহাম্মদ মহসীন ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করবে। এটি মানবসম্পদ উন্নয়ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। দরকারি তথ্য ১. চট্টগ্রাম জেলার শুধু হাটহাজারী উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে,২. শিক্ষার্থী মেধাবী অথচ আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন,৩. ফাউন্ডেশনের অফিসে পাওয়া নির্ধারিত ছকে বা ফরমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য আবেদন করতে হবে,৪. মাসিক শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা বছরের শুরুতে ভর্তি ও শিক্ষা উপকরণের জন্য এককালীন আর্থিক সহায়তা,৫. আবেদনপত্র পাঠানোর শেষ তারিখ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিকেল ৪টা পর্যন্ত। যাঁরা আবেদন করতে পারবেন ১. সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্থাপিত এবং পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করা,২. বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত এবং স্বীকৃত পাবলিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রকৌশল, চিকিৎসা, বাণিজ্য, অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা (তৃতীয় শ্রেণিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ব্যতীত)। প্রয়োজনীয় কাগজ যা লাগবে ১. দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি।২. স্থায়ী ঠিকানার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয়তা সনদ।৩. মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষাসমূহের মূল নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।৪. জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধনের সত্যায়িত ফটোকপি।৫. স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির রসিদ ও শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্রের (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রাপ্ত) সত্যায়িত ফটোকপি। আবেদনের ঠিকানা ইঞ্জিনিয়ার চৌধুরী মো. মহসিন ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, বটতলি, ফতেয়াবাদ, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

2 সপ্তাহ আগে

বাণিজ্য

তুমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড

প্রিয় কিআ, তুমি ভাবতে পারবে না জুলাই সংখ্যার ‘কে হবে আগামীর বিটিএস’ লেখায় এনহাইপেনকে দেখে আমি কত্ত বড় লাফ দিয়েছি। সিলিংয়ে মাথা ঠুকে যাচ্ছিল প্রায় (উচ্চতার দিক থেকে আমাকে খাটোই বলতে পারো)। তাহলে বুঝতেই পারছ, আমি কতটা খুশি হয়েছি। যদিও অনেকের বিষয়টা পছন্দ না-ও হতে পারে, তবু আমাদের মতো কে-পপ ফ্যানদের আবদার তুমি রেখেছ, এটাই অনেক। আমি তোমাকে নিয়মিত চিঠি লিখি বলব না, তবে প্রায়ই লিখি। তুমি ছাপবে, সে আশায় লিখি না। কিছু বেস্ট ফ্রেন্ড থাকে না, যারা উত্তর না দিলেও তাদের সঙ্গে কথা শেয়ার করতে ভালো লাগে? তুমিও আমার সে রকম বেস্ট ফ্রেন্ড। তোমাকে চিঠি পাঠিয়েই আমি খুশি। আমি যখন থেকে পুরো বাক্য বানান না করে পড়তে শিখেছি, তখন থেকে তোমার নিয়মিত পাঠক। সেই ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে। বুঝতেই পারছ, আমার পুরো শৈশব আর কৈশোর, দুটোই তোমার সঙ্গে। আমার বাসায় কিন্তু তোমার একজন বিশেষ পাঠক আছেন—আমার বাবা। নামটা তোমার ‘কিশোর আলো’ হলেও তোমাকে প্রতি মাসে বাসায় আনার পর আমার কিংবা আমার ভাইয়ের আগে বাবাই তোমাকে পড়ে শেষ করে ফেলেন, হা হা। এভাবেই সব সময় আমাদের আনন্দ দিয়ো। ভালো থেকো আমার প্রিয় বন্ধু। নুযহাত ইসলাম এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৫, বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বরিশাল কিআ: ভাগ্যিস সিলিংয়ে মাথা ঠুকে যায়নি তোমার। সিলিংয়ের যদি কিছু হয়ে যেত? কী জবাব দিতাম তোমার বাবাকে? অনেক পুরোনো পাঠক তুমি। এত দিন ধরে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ তোমার বাবাকেও। সবাই ভালো থেকো।

2 সপ্তাহ আগে

জাতীয়

বাসে নারী হেনস্তা: নারীদের আসন জরুরি প্রয়োজন

ঢাকায় প্রতিদিন অসংখ্য নারী জীবনের নানান প্রয়োজনে পথে নামেন। কিন্তু পথে নামলেই তাঁদের জন্য অপেক্ষা করে এক অদৃশ্য আতঙ্ক—হেনস্তা। পাবলিক বাসে উঠলেই যেন এই ভয় আরও বহুগুণে বেড়ে যায়। সেই ভয়, সেই ট্রমার কারণে অনেক মেয়ে আজ বাসে উঠতেই চান না। আমি নিজেও সেই তালিকায় পড়ি। প্রয়োজনে সাইকেল বা রিকশায় যাতায়াত করি, শুধু এ কারণে বাসের ভেতরে যে অস্বস্তি, অপমান ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়, তা সহ্য করা যায় না। গত এক বছরে ইভ টিজিং ও নারী হেনস্তার ঘটনা মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। ভুক্তভোগী প্রায় প্রতিটি মেয়েই। প্রতিদিন যাঁরা টিউশনের জন্য দূরে যাতায়াত করেন, তাঁদের প্রতিদিনই এই মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিছুদিন আগে আমি নিজেই একটি ঘটনায় জড়াই। বাসে উঠেছিলাম। আমার আশেপাশে ৬৫ বছরের এক বয়স্ক লোক বসা ছিলেন। হঠাৎ তিনি গায়ে হাত দেন। আমার অবিশ্বাস হচ্ছিল—এত বয়সী একজন লোকও কি এভাবে নারীর শরীর স্পর্শ করতে পারেন? তখন এক আন্টি প্রতিবাদ করলে লোকটি দ্রুত কিছু না বলে নেমে যান। এই ঘটনার পর থেকে আমার ভেতরে এক ধাক্কা কাজ করছে। আমার বান্ধবী সুমাইয়া প্রতিদিন টিউশনে যান। তাঁরও বাজে অভিজ্ঞতার শেষ নেই। কয়েকদিন আগে কলাবাগানে বাসে একজন তাঁকে বেড টাচ করেন। আশেপাশের কয়েকজন মেয়ে মিলে প্রতিবাদ করলে উল্টো সুমাইয়ার পর্দাহীনতা আর গলার স্বর নিয়েই প্রশ্ন তোলেন ওই লোক। আরও ভয়ংকর ব্যাপার হলো, বাসের পুরুষ যাত্রীরা সেই লোকের পক্ষেই দাঁড়ালেন। নারী হেনস্তার এই চিত্রে ধর্মীয় বা জাতিগত বিভাজনও জুড়ে গেছে। অন্য ধর্মের এক নারী তাঁর শিশু বাচ্চাকে নিয়ে বাসে উঠেছিলেন। তখন এক ব্যক্তি ইচ্ছা করেই পায়ে চাপা দেন এবং ধাক্কা দেন। প্রতিবাদ করলে নারীকে বলা হলো—‘উলঙ্গ হয়ে বাসে উঠছো, আবার এত বড় গলা!’ এই অভিজ্ঞতাগুলো একটাই সত্য প্রমাণ করে—পাবলিক স্পেস পুরুষের দখলে, নারীর কোনো জায়গা নেই এখানে। সমাজ যেন চাইছে মেয়েরা ঘর থেকে বের না হোক, পথ-ঘাট-বাস কোনো জায়গাতেই যেন নারীর উপস্থিতি না থাকে। কিন্তু আমরা জানি, মেয়েরা ঘরে বসে থাকবে না। শিক্ষা, কাজ কিংবা নিত্য প্রয়োজনের জন্য মেয়েদের বের হতেই হবে। তাই এখন সময় এসেছে পাবলিক বাসে নারীদের জন্য আলাদা আসন নিশ্চিত করার। অতিদ্রুত, কার্যকরভাবে, আইন প্রয়োগের মাধ্যমে।নারীদের আসন কেবল বসার জায়গা নয়, এটি নিরাপত্তার একটি প্রতীক। এটি নারীদের জন্য রাষ্ট্র ও সমাজের স্বীকৃতি—তাঁরা এই শহরের সমান নাগরিক। বাসে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে তাঁরা বারবার এই অদৃশ্য বাধার কাছে হেরে যাবেন, যা আমাদের আধুনিক নগরজীবন ও নারী অগ্রযাত্রার পথে বড় বাধা। আজ প্রয়োজন সবার মিলিত দাবি—‘বাসে নারীদের আসন চাই, নারী হেনস্তা বন্ধ হোক।’ লেখা: নুসরাত রুষা, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, [email protected]

‘বাংলাদেশের জন্য, পৃথিবীর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে’

পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে গিয়েও শিখতে হবে। বর্তমান সময়ের চাহিদা মোতাবেক নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। বাংলাদেশের জন্য, পৃথিবীর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দক্ষতা উন্নয়নে দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন। প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (খুবিসাস) গতকাল শনিবার দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে। মুঠোফোন ব্র্যান্ড অনার বাংলাদেশের সৌজন্যে ও খুলনা বন্ধুসভার সহযোগিতায় নেতৃত্ব, যোগাযোগ, পারসোনাল ব্র্যান্ডিং, ক্যারিয়ার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিতর্ক ও উপস্থাপনার বিষয়ে ‘স্মার্ট স্কিলস’ শীর্ষক এ কর্মশালায় অংশ নেন খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, বাগেরহাট, মোংলা ও কয়রা বন্ধুসভার বন্ধুরা এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। গতকাল সোয়া ১০টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। কর্মশালার শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। প্রথম আলো বন্ধুসভার জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাফর সাদিক এতে সভাপতিত্ব করেন। উদ্বোধনী পর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য হারুনর রশীদ খান বলেন, ‘নেতৃত্ব দিতে গেলে আমাদের শিখতে হবে। এখনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে অনেকেই একটা ভালো জীবনবৃত্তান্ত লিখতে পারেন না। বিদেশে বৃত্তির জন্য কীভাবে ভালো যোগাযোগ করা যায়, অনেকেই সেটা পারেন না। পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে গিয়েও শিখতে হবে। বর্তমানে এআই প্রযুক্তির নানা অপব্যবহার হচ্ছে। এই প্রযুক্তির ব্যবহারটা ভালো করে জানতে হবে। প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। আজকের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা থেকে অংশগ্রহণকারীরা যা কিছু শিখবে, সেটা তাঁরা তাঁদের জীবনে কাজে লাগাতে পারবে বলে আশা করি।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক নাজমুস সাদাত বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েশন শেষ করা মানে শুধু একটা সার্টিফিকেট পাওয়া নয়, নিজেকে তৈরি করা, রাষ্ট্রের জন্য, সমাজের জন্য তৈরি হওয়া। বর্তমান সময়ের চাহিদা মোতাবেক নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। বাংলাদেশের জন্য, পৃথিবীর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। আত্মকেন্দ্রিকতায় বা রাষ্ট্রকেন্দ্রিকতায় থাকলে হবে না, পৃথিবীর প্রতি দায়িত্বও আমাদের পালন করতে হবে। বন্ধুসভা শুধু সমাজসেবার কাজ করছে না, নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। নিজেদের ভালো করে প্রস্তুত করতে পারলে সামনের দিনে সবাই আরও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে পারবে।’ অনার বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বন্ধুসভার প্রতিটি উদ্যোগই প্রশংসনীয়। বন্ধুসভা, প্রথম আলো এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানাই। আমরা এখানে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করা মানুষ আছি। যে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে, তা সব সেক্টরের মানুষের কাজে লাগবে।’এই পর্বে আরও বক্তব্য দেন বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন মল্লিক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আলকামা রমিন, খুলনা বন্ধুসভার সহসভাপতি এম এম মাসুম বিল্যাহ। দিনব্যাপী এই কর্মশালায় নেতৃত্ব ও যোগাযোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের সাবেক সভাপতি উত্তম রয় ও বর্তমান সভাপতি জাফর সাদিক। পারসোনাল ব্র্যান্ডিং: ডিফাইন, ডিজাইন, ডেলিভার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন প্রফেশনাল সামছুদ্দোহা সাফায়েত। বিডিজবস লিমিটেডের হেড অব প্রোগ্রামস মোহাম্মদ আলী ফিরোজ আলোচনা করেন ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার বিষয়ে। অনার বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস আবদুল্লাহ আল মামুন আলোচনা করেন এআই ফর ইয়ুথ বিষয়ে। অনার বাংলাদেশ-সম্পর্কিত বিশেষ কুইজ পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব মার্কেটিং ফারুক রহমান।

অনলাইন জরিপ

survey image

নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকারীরা কেউ রেহাই পাবে না বলে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আপনি কি মনে করেন, এই ঘটনার সঠিক বিচার হবে

মোট ভোটদাতাঃ 147 জন

footer small logo

ড. মাহফুজুর রহমান
চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক

ওয়াসা ভবন, ১ম তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ

ফোনঃ 01767404822

সোশ্যাল মিডিয়া

linkedin logoyoutube logotwitter logofacebook logo

আমাদের কথা

আপনার অভিজ্ঞতা

আমাদের লক্ষ্য

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা

Design & Developed by:

developed-company-logo