ওয়াসা ভবন, ১ম তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ 01767404822
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
বলিউডে তিন কুলে তাঁর কেউ নেই। তথাকথিত নায়কোচিত চেহারাও নয়, তবু সেই ছেলেটিই আজ হিন্দি সিনেমার পরিচিত মুখ। পুরোপুরি বাণিজ্যিক ধারা থেকে শৈল্পিক ধারার সিনেমা—সব জায়গায়ই নিয়মিত তিনি। এই অভিনেতা আর কেউ নন, রাজকুমার রাও। আজ ৩১ আগস্ট অভিনেতার জন্মদিন। এ উপলক্ষে আলো ফেলা যাক তাঁর জীবন ও ক্যারিয়ারে। বহিরাগত থেকে বলিউড তারকা দিবাকর ব্যানার্জির বহুল চর্চিত সিনেমা ‘লাভ, সেক্স অউর ধোঁকা’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় রাজকুমারের। এরপর ‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর ২’ আর ‘তালাশ’-এ ছোট চরিত্রে নজর কাড়েন তিনি। ‘কাই পো চে’, ‘সিটিলাইটস’ ও ‘শহীদ’ তাঁকে এনে দেয় অভিনেতা হিসেবে স্বীকৃতি। সেই শুরু থেকে আজকের দিন পর্যন্ত তাঁর যাত্রা যেন এক অনন্য সংগ্রামের কাহিনি। রাজকুমারের ভাষায়, ‘ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকাটা আমাকে মুক্তি দিয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট পথে হাঁটার চাপ ছিল না। তাই আমি নিজের মতো করে পথ খুঁজেছি। এই যাত্রা নিয়ে আমি গর্বিত, কখনোই এর বিনিময়ে কিছু নিতে চাই না। আর এটাই আমাকে মাটির কাছাকাছি থাকতে সাহায্য করেছে।’ বহুমুখী অভিনয়গত এক বছরে রাজকুমারকে দেখা গেছে ভৌতিক, কমেডি, থ্রিলার, গ্যাংস্টার ড্রামা থেকে শুরু করে রোমান্টিক-কমেডি—সব ধারার ছবিতেই। সাম্প্রতিক কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘স্ত্রী ২’, ‘মালিক’, ‘ভুল চক মাফ’ ও ‘ভিকি বিদ্যা কা উওহ ওয়ালা ভিডিও’।তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এত বৈচিত্র্যময় চরিত্র নেওয়ার মধ্যে কি কোনো সচেতন চেষ্টা আছে? অভিনেতা উত্তর দিয়েছেন, ‘অবশ্যই। আমি সব সময় নতুন গল্প আর চরিত্র খুঁজতে চাই। সেটা সিরিয়াস হোক বা হালকা মেজাজের, অভিনয়ের ভেতর দিয়ে আমি নিজের নতুন দিক আবিষ্কার করতে চাই। এতে কাজটা বাস্তব আর রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে।’ অভিনয়ে এত ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে ঢুকে পড়া কখনো শিল্পীদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। রাজকুমারের ক্ষেত্রে অবশ্য এটা সত্যি নয়। তাঁর ভাষ্যে, ‘এটা আমাকে বরং খুশি করে। কারণ, আমি জানি, এটাই করতে চেয়েছি সারা জীবন। একটা চরিত্রে সারা দিন প্রাণ ঢেলে কাজ করলে রাতে ঘুমটা হয় সবচেয়ে গভীর। সেই ক্লান্তি সবচেয়ে মধুর।’তবে তিনি মানেন, কিছু চরিত্র অবচেতন মনে থেকে যায়। ‘যেমন “ওমের্তা” করতে গিয়ে আমার ভেতরের শক্তি বদলে গিয়েছিল। পাত্রলেখা বলেছিল আমার চারপাশের এনার্জিই পাল্টে গেছে। তবে হ্যাঁ, উজ্জ্বল বা আনন্দময় চরিত্র করলে সেটি ইতিবাচক শক্তি দেয়,’ বলেন তিনি। শিল্পীসত্তা বনাম বাণিজ্যশিল্পীসত্তা আর বাণিজ্যিক চাহিদার ভারসাম্য নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। ‘এটা একধরনের সমন্বয়ের চেষ্টা। তবে আমি মনে করি, শিল্পীসত্তা আর বাণিজ্য সব সময় একে অপরের বিপরীতে দাঁড়ায় না। আমি যে শৈল্পিক সিনেমাগুলো করেছি, তার অনেকগুলোই ভালো ব্যবসা করেছে। যখন আপনার পছন্দ সৎ জায়গা থেকে আসে, তখন তা মানুষের সঙ্গে সংযোগ ঘটায়,’ বলেছেন রাজকুমার। তারকাখ্যাতির দায়বদ্ধতাআজকের দিনে অনেক তরুণ তাঁর ভক্ত। এই জায়গার দায়বদ্ধতা তিনি বোঝেন বলেই রাজকুমার পণ্যের প্রচারের ক্ষেত্রেও সতর্ক। ‘আমার কাছে বিজ্ঞাপন শুধু ব্যবসার সিদ্ধান্ত নয়। এটা বলে আমি আসলে কে, কিসের পক্ষে দাঁড়াই। তরুণ প্রজন্ম এসব খেয়াল করে। তাই আমি প্রতিটি সিদ্ধান্ত খুব গুরুত্ব দিয়ে নেই,’ বলেন তিনি।সম্প্রতি এমআর.ডিআইওয়াই নামের একটি হোম ইমপ্রুভমেন্ট ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডের মুখ হয়েছেন রাজকুমার। নিজের মতোই সরল ও প্র্যাকটিক্যাল দর্শনের কারণে তিনি ব্র্যান্ডটির সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পেরেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি কোনো পণ্য বা বার্তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আমার সংযোগ না থাকে, আমি তা কখনোই প্রচার করব না।’একই প্রসঙ্গে তিনি জানান, অনেক লোভনীয় প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছেন। ‘কিছু অফার ছিল, যেগুলোতে অর্থ আর প্রচারের সুযোগ দুটোই ছিল বিশাল। কিন্তু বার্তাটা আমার কাছে সঠিক মনে হয়নি। আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। তাই ফিরিয়ে দিয়েছি,’ বললেন তিনি।শেষে রাজকুমার যোগ করেন, ‘দিনের শেষে, পর্দার বাইরে হলেও আমার সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে আমি যেন স্বস্তিতে থাকতে পারি, সেটাই আসল।’ পরিচালক বনাম অভিনেতারাজকুমার রাও নিজেকে সব সময় পরিচালকের বাধ্যানুগত অভিনেতা হিসেবে দেখেন। ‘সিনেমা আসলে পরিচালকের শিল্প। অভিনেতা কেবল তাঁর গল্পকে পর্দায় তুলে আনে। তবে আমি ভাগ্যবান যে আমার পরিচালকেরা আমাকে অনেক স্বাধীনতা দেন, নিজের মতো করে দৃশ্য সাজানোর সুযোগ দেন,’ মন্তব্য রাজকুমারের। দিল্লির সংগ্রামের দিনগুলোবলিউডের বহুমুখী অভিনেতা রাজকুমার রাও আজ যখন ‘স্ত্রী ২’-এর সাফল্যে ভাসছেন, তখনো তিনি ভোলেননি তাঁর কঠিন শুরুর দিনগুলোর কথা। মুম্বাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে দিল্লিতে অভিনয়ের সুযোগ খুঁজতে গিয়ে তিনি একবার বড়সড় প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। টেলিভিশন ‘শো দ্য কপিল শর্মা শো’-তে নিজের অভিজ্ঞতার কথা খুলে বলেছিলেন রাজকুমার। জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’ ছবির প্রচারে এসে তিনি জানান, ১০ হাজার রুপি প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন তিনি।রাজকুমারের ভাষায়, ‘প্রথম ছবিতে সুযোগ পাওয়া ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজ। সেই সুযোগ পেতে আমাকে প্রায় দুই বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, মা-ই তাঁর জন্য ধার করে সেই টাকা জোগাড় করেছিলেন। কিন্তু সুযোগ দেওয়ার নাম করে কেউ প্রতারণা করে পুরো টাকাই নিয়ে নেয়।’তবে রাজকুমার রাওয়ের লড়াই থেমে থাকেনি। অভিনেতা মনে করেন হার না–মানার সেই মানসিকতাই তাঁকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। ব্যাংকে মাত্র ২৪ টাকাছোট শহরের মধ্যবিত্ত পরিবারের এক সাধারণ ছেলে বলিউড তারকা হয়ে ওঠা সহজ ছিল না। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্ট ২০২২-এ অংশ নিয়ে নিজের ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে মুম্বাইয়ে লড়াইয়ের দিনগুলোর কথা শোনালেন রাজকুমার। গুরগাঁওয়ের এক যৌথ পরিবারে বড় হওয়া রাজকুমার ছোটবেলাতেই সিনেমার প্রেমে পড়ে যান। তখনো গুরগাঁও ছিল ছোট্ট শহর। ‘আমি জানতাম, সিনেমাই করতে চাই। থিয়েটার করার সময় সাইকেল চালিয়ে প্রতিদিন ৭০ কিলোমিটার আসা-যাওয়া করতাম দিল্লি। যেন প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি, সে রকমই টান ছিল,’ স্মৃতিচারণা করলেন অভিনেতা। থিয়েটারে অভিজ্ঞতার পর ভর্তি হন পুণের এফটিআইআইএ। সেখানকার পড়াশোনা তাঁকে আরও শাণিত করে। কিন্তু মুম্বাই আসার পর শুরু হয় আসল সংগ্রাম। ‘মুম্বাইয়ে আসাটা ছিল ভীষণ কঠিন। অনেক সময় এমন দিন গেছে, যখন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ১৮ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ টাকা)। দিনে এক প্যাকেট পারলে-জি (বিস্কুট) খেয়েই বেচেছি,’ বলেন রাজকুমার। ভাগ্যিস, ফিল্ম স্কুলের কিছু বন্ধু পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।তবু কোনো বিকল্প পরিকল্পনা রাখেননি তিনি। ‘আমার কাছে কখনোই প্ল্যান বি ছিল না। একটাই স্বপ্ন ছিল, অভিনেতা হব,’ বলেন রাজকুমার। জীবনদর্শনরাজকুমার জানালেন, তিনি খুব বেশি বসে অতীত ভাবেন না। ‘আমি মুহূর্তে বাঁচতে চাই। পরিবার, বন্ধুবান্ধব আর কাজই আমার কাছে সবকিছু। যদি ২০ বছর আগে গুরগাঁওয়ে কেউ বলত আমি এমন জীবন পাব, বিশ্বাস করতাম না। আমার অবদান শুধু পথটা অনুসরণ করা। বাকিটা ঈশ্বর আর আমার বাবা-মায়ের ইচ্ছা,’ বলেন তিনি। একটাই আফসোসবলিউডের প্রায় এক যুগ কাটিয়ে দিলেন রাজকুমার রাও। পেছন ফিরে দেখলে কী মনে হয়? ‘সবচেয়ে বড় মাইলফলকই হলো—একজন অভিনেতা হতে পারা। এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের জন্য এটাই বিশাল অর্জন।’ তবে আফসোস আছে একটাই, এই সাফল্যের সাক্ষী তাঁর মা–বাবা হতে পারেননি। ‘কী চাই জানতে চাইলে বলব, এই জীবনটাই আবার কাটাতে চাই, তবে মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে। তাঁরা যেন আমার এই সাফল্যের সাক্ষী হতে পারেন,’ বলেন তিনি। সেরা ১০কখনো বাস্তবের চরিত্র, কখনো ব্যতিক্রমী প্রেমিক, আবার কখনো অদম্য সংগ্রামী; পর্দায় নানা ধরনের চরিত্রে দেখা গেছে রাজকুমারকে। ভারতীয় গণমাধ্যম মিড-ডে সেখান থেকে বেছে নিয়েছে অভিনেতার ১০ সিনেমা- ‘শহীদ’ (২০১২)হংসল মেহতার পরিচালনায় নির্মিত এই ছবিই রাজকুমারের ক্যারিয়ারে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তিনি পর্দায় জীবন্ত করে তুলেছিলেন মানবাধিকার আইনজীবী শহীদ আজমির চরিত্রকে। চরিত্রের ভেতর ডুবে গিয়ে তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন শহীদের সংগ্রাম, লড়াই আর অর্জন। ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান রাজকুমার, সেরা অভিনেতা হিসেবে। ‘কাই পো চে!’ (২০১৩)চেতন ভগতের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিতে গোবিন্দের ভূমিকায় ছিলেন রাজকুমার। ছোট শহরের বড় স্বপ্ন দেখা এক তরুণ, যে বন্ধুদের সঙ্গে জীবন গড়তে চায়। চরিত্রে ছিল আন্তরিকতা আর বিশ্বাসযোগ্যতার ছাপ। এই ছবির মাধ্যমেই বলিউডে নিজের অভিনয় ক্ষমতার জানান দেন তিনি। ‘আলিগড়’ (২০১৫)হংসল মেহতার আরেকটি ছবিতে রাজকুমার ছিলেন সাংবাদিকের ভূমিকায়, যিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত এক অধ্যাপকের (মনোজ বাজপেয়ী) পাশে দাঁড়ান। ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। ‘ট্র্যাপড’ (২০১৬)এটি রাজকুমারের অভিনয়জীবনের অন্যতম সেরা দৃষ্টান্ত। এক অ্যাপার্টমেন্টে আটকা পড়া সাধারণ মানুষ, যার কাছে নেই খাবার, পানি বা বিদ্যুৎ—এই চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দেখিয়েছেন বেঁচে থাকার লড়াই কতটা ভয়ংকর হতে পারে। এটির পরিচালক বিক্রমাদিত্য মোটওয়ানে। ‘বেরেলি কি বরফি’(২০১৭)আশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারির পরিচালনায় নির্মিত এই ছবিতে রাজকুমার ছিলেন প্রীতম বিদ্রোহী চরিত্রে। ছবির কেন্দ্রীয় নায়ক না হয়েও নিজের অভিনয় দিয়ে আলোচনায় ছিলেন। ‘নিউটন’ (২০১৭)অমিত ভি মসূরকারের ব্যঙ্গাত্মক এই ছবিতে রাজকুমার ছিলেন সরকারি কেরানি নিউটন কুমার, যিনি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে নিরপেক্ষ নির্বাচন করাতে বদ্ধপরিকর। নিখুঁত সংযম আর হাস্যরসের মিশ্রণে চরিত্রটিকে তিনি স্মরণীয় করে তুলেছিলেন। ছবিটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা পেয়েছিল। ‘স্ত্রী’ (২০১৮) ও ‘স্ত্রী ২’ (২০২৪)হরর-কমেডি ঘরানার এই ছবিগুলোতে ছোট শহরের দর্জি ভিকির চরিত্রে দেখা গেছে রাজকুমারকে। ভয় আর হাসির মিশেলে তাঁর অভিনয় তাঁকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে। দুই সিনেমাই বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পায়। ‘বধাই দো’ (২০২২)এবারের চরিত্র আরও চ্যালেঞ্জিং—সমকামী পুলিশ অফিসার শরদুল ঠাকুর। সমাজ আর পরিবারের চোখে নিজের পরিচয় আড়াল করে রাখা মানুষটির ভেতরের দ্বন্দ্ব ফুটিয়ে তুলেছিলেন রাজকুমার। ছবিটি তাঁর অভিনয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। ‘মনিকা ও মাই ডার্লিং’ (২০২২)থ্রিলার ঘরানার এই ছবিতে রাজকুমার ছিলেন জয়ন্ত আর্কেদকারের চরিত্রে। যে কিনা এক রোবোটিকস বিশেষজ্ঞ, হঠাৎই পরিকল্পিত খুনের জালে জড়িয়ে পড়ে। কমেডি, রহস্য আর অন্ধকার রসিকতার মিশেলে তাঁর অভিনয় ছিল অনবদ্য। ‘শ্রীকান্ত’ (২০২৪)শ্রীকান্ত বল্লার অনুপ্রেরণামূলক জীবনীতে অভিনয় করেছেন রাজকুমার। জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই উদ্যোক্তার সংগ্রাম আর জয়গাথা ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। তথ্যসূত্র: ফিল্মফেয়ার, হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে