গোটা বিশ্ব যখন করোনা অতিমারীর সাথে লড়াই করছে, সেই সময় আশার আলো দেখাচ্ছে ‘যোগাসন’। সুস্বাস্থ্য ও সুখী জীবন পাওয়ার মাধ্যমই হল এই যোগ, এর অভ্যাস মানুষকে নেতিবাচক মনোভাব থেকে সৃজনশীলতার দিকে নিয়ে যায়। আজ বিশ্ব যোগ দিবস উপলক্ষে সকালেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
যোগ দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলের সুস্থতা কামনা করে মোদি বলেন, ‘বিগত দুই বছর ধরে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি, তবু যোগাসনকে ঘিরে সাধারণ মানুষর মধ্যে উৎসাহে এতটুকু ভাঁটা পরেনি। এই কঠিন সময়ে মানুষ যোগাসনের কথা ভুলে যেতেই পারতো কিন্তু তা হয়নি, উল্টে মানুষের মধ্যে যোগাসন নিয়ে উৎসাহ ও ভালোবাসা আরও বেড়েছে। করোনাকালে বিশ্বের প্রতিটি কোণায় লাখ লাখ মানুষ যোগাভ্যাসের সাথে যুক্ত হয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর অভিমত ‘যোগাসন কেবল শারীরিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেই নয়, একইসাথে আত্মশাসন ও নিজের ওপর বিশ্বাসও তৈরি করতে সহায়তা করে। যেভাবে করোনা সংক্রমণ গোটা বিশ্বে আছড়ে পড়েছিল, তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে কোনও দেশই প্রস্তুত ছিল না। আর সেই সময় যোগাসনই ভিতর থেকে শক্তি জুগিয়েছিল।’
চিকিৎসাক্ষেত্রেও যোগাসনের বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনা ফ্রন্টলাইনারদের সাথে কথা বলেই তিনি জানতে পেরেছেন যে শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে দৈনন্দিন রুটিনে তারা যোগাসনকে জুড়েছেন। রোগীদের মানসিক উদ্বেগ কমাতে যোগাভ্যাস করিয়েছেন তারা। অনেক স্কুলেই অনলাইন ক্লাসেও পড়াশোনার শুরুতেই শিক্ষার্থীদের ১০-১৫ মিনিটের যোগভ্যাস করানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে সপ্তম বর্ষে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের থিম ‘যোগা ফর ওয়েলনেস’। কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এদিন সকালে গোটা দেশজুড়েই যোগায় অংশ নিতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সেনাবাহিনীর সদস্য, সেলিব্রিটি, যোগগুরু বাবা রামদেব ও সাধারণ মানুষকে।
২০১৫ সালে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ২১ জুন দিনটি আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের ঘোষণা করা হয়। চলতি বছরে সপ্তম বর্ষে পা দিয়ে এদিন ‘এম যোগা’ নামে একটি অ্যাপেরও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত যোগাসনকে বিশ্বের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দিতে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ (হু)-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে ভারতের এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।