ওয়াসা ভবন, ১ম তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ 01767404822
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে ইরানের পক্ষ নিয়ে মিসাইল হামলা চালিয়ে আবারও আলোচনায় আসে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এমনকি দুই দেশে যুদ্ধবিরতি চলাকালেও ইসরাইলে আক্রমণ চালিয়ে তাদের ঘুম হারাম করে চলেছে এ বাহিনী। এছাড়া সম্প্রতি ইসরাইলগামী এক জাহাজকে লোহিত সাগরে ডুবিয়ে দিয়ে তাদের শক্তি বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরছে হুথিরা। তাই অনেকের মনেই এখন প্রশ্ন যে, হুথি আসলে কারা? হুথিরা মূলত একটি ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী। গাজার হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মতোই ইয়েমেনের হুথিরা ইসরাইলবিরোধী ‘এক্সিস অব রেসিস্টেন্স’ বা ‘প্রতিরোধ অক্ষের’ অংশ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, ইসরাইল বা যুক্তরাষ্ট্রগামী জাহাজগুলোতে ইরানের সহায়তায়ই হামলা চালিয়েছিল হুথিরা। অর্থাৎ, ইরানের গোপন অস্ত্র সহায়তায় দিন দিন শক্তি বাড়াচ্ছে ইরান-সমর্থিত এ সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এমনকি ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের সময় জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ইরান হুথিদের কাছে ড্রোন, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানা ধরনের অস্ত্র পাচার করেছে বলেও অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির দাবি, কেবল রাজনৈতিকভাবে তারা হুথিদের সমর্থন করে। এছাড়া, ইরানি অস্ত্র, প্রশিক্ষণ এবং গোয়েন্দা সহায়তা ছাড়া হুথিরা এমন শক্তি প্রদর্শন করতে পারতো না বলে উল্লেখ করেছেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. এলিজাবেথ কেন্ডাল। তবে হুথিদের ওপর ইরানের সরাসরি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি স্পষ্ট নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া, ইরান ইয়েমেনে ড্রোন তৈরির কারখানা গড়ে তুলতে হুথিদের সহায়তা করেছে। এমনকি হুথিরা লেবাননের ইসলামপন্থি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কাছ থেকেও সামরিক পরামর্শ ও সহায়তা পেয়েছে এমনটাই মনে করেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। এমি/এটিএন বাংলা