ওয়াসা ভবন, ১ম তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ 01767404822
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
টানা ১২ দিন ইসরাইলও ইরানের সংঘাত দেখেছে সারাবিশ্বের মানুষ। এই যুদ্ধে আমেরিকার সহযোগিতা নিয়ে ইরানকে পরাজিত করতে পারেনি ইসরাইল। আর সেই ব্যাথায় যেন ডুকরে ডুকরে কাদছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর হৃদয়। আর সে কারণেই আবারও যুদ্ধে জড়ানোর পাঁয়তারা করছে ইসরায়েল। দেশটিকে এ সংঘাতে সমর্থন দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে চীন থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপনাস্ত্র কিনছে ইরান। তার প্রথম চালানও পৌছে গেছে তেহরানে। চীনের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা হাতে পাওয়ার ফলে এখন ইরানের আকাশসীমার ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের প্রবেশ করা অসম্ভব। আর যদি কোনোভাবে ঢুকেও পড়ে, তবে মুহূর্তের মধ্যেই আকাশেই সেটি ধ্বংস করে দিবে ইরান। নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের দ্বিমুখী আচরণ দেখে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান মঙ্গলবার প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে। এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ইসরায়েলি সরকার যুদ্ধ চায় এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এতে সমর্থন দিয়ে আসছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্রটি জানিয়েছে, ইরান মনে করে যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের মধ্যে আসন্ন বৈঠক ১২ দিনের যুদ্ধের আগে তাদের পরামর্শের চেয়ে আলাদা কিছু হবে না। ইরান ধারণা করছে এসব বৈঠক মূলত প্রতারণামূলক। কারণ যা কিছু হওয়ার তা আগেই ঠিক করা থাকে। সম্প্রতি ট্রাম্পের দেওয়া আলোচনার প্রস্তাব প্রসঙ্গে তারা বলছে যদি ট্রাম্প মনে করেন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরও ইরান তাদের সাথে কোনো কূটনৈতিক চুক্তিতে আস্থা রাখবো, তাহলে তিনি মোটেও ভালো সমঝোতাকারী নন। এদিকে ইরান চীন থেকে অত্যাধুনীক ক্ষেপনাস্ত্র কেনার পরই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে মধ্যেপ্রাচ্যে। আরব গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৪ জুন যুদ্ধবিরতির পরপরই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তেহরানে পৌঁছেছে। ক্ষেপণাস্ত্রের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা না গেলেও বোঝা যাচ্ছে, চীন ও ইরানের সামরিক সহযোগিতা এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই চালান মার্কিন মিত্রদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। হোয়াইট হাউসও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছে বলে জানা গেছে। ইরানের বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রয়েছে রাশিয়ার তৈরি এস-৩০০, চীনের পুরোনো প্রযুক্তির কিছু সিস্টেম এবং নিজেদের নির্মিত খোরদাদ ও বাভার-৩৭৩ সিরিজ। এবার চীনের আধুনিক এসএএম সিস্টেম যুক্ত হওয়ায় ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও শক্তিশালী হলো। এতে শুধু ইসরাইল নয়, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশও নতুন করে নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।