অপু-মুন্নির ফোন কল ফাঁস

বিনোদন

অবশেষে বেরিয়ে এলো থলের বিড়াল! ফাঁস হয়েছে ফারজানা মুন্নির সঙ্গে আরেক জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের দীর্ঘ ফোন কল। সেই ফোন কলে মুন্নি দাবী করেছেন, তাপসের সঙ্গে বুবলীর প্রেম একেবারে চাঙ্গা।

কিছুদিন আগেই গান বাংলার চেয়ারম্যান ফারজানা মুন্নির ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে গান বাংলা চ্যানেলের কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপসের সঙ্গে চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর প্রেমের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। বেশ কয়েক ঘন্টা পর স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলা হয়। এ বিষয়টি অনেকে ধাপাচাপা পড়তেই শুক্রবার রাত থেকে ফেসবুকের কয়েকটি পেজে বুললী-তাপসের প্রেম নিয়ে ফারজানা ও চিত্র অপু বিশ্বাসের কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে।

এসময় কলে ফারজানা মুন্নি বলেন, ‘আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর তাপসের সঙ্গে আমার পরিবারের সবাই বসেছিলেন। দেখো অপু, আমি তো এখনো সংসার করি। তাপস তো এখনো আমার জামাই। তার পর যখন আমাকে বলল, এটা দাও (ফেসবুক আইডি হ্যাকের স্ট্যাটাস), তখন আমি এটা দিলাম। আমার কোনো কিছু হ্যাক হয় নাই, শুধু স্ট্যাটাসটা হ্যাক হইছে না, তাই না?’

শুধু তাই নয়, মুন্নি বুবলীর নোংরা চরিত্রের দিকেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। বুবলী নাকি গান বাংলার অফিসে প্রতিদিন আসেন। সন্ধ্যায় আসলে বের হন রাত ৩-৪টার দিকে। আর দিনের বেলা আসলে বের হন সন্ধ্যায়। এই লম্বা সময়ে বুবলী নাকি একটি বারের জন্যও তার ছেলে বীরের কোন খোঁজ খবর পর্যন্ত নেন না।

মুন্নি আরও বলেন, বুবলী হলো এমন ধরনের মেয়ে যে ছেলেদের সহজেই কুপোকাত করতে পারে। সিমপ্যাথি আদায় করার জন্য শাকিব খানকে নিয়ে মিথ্যা গল্প বানিয়ে তাপসকে বলেন। আর তাপসকে তিনি এমনভাবে যাদু করেছেন, এখন তাপসও বুবলীকে ছাড়া কিছুই বোঝেন না। তাপস নাকি মুন্নিকে বলেছেন, বুবলীর মতো ভালো মেয়ে তিনি এই জীবনে আর দেখেননি। তাকে নাকি মিডিয়ার মানুষরা বুঝতে পারেনি।

মুন্নি এও বলেন যে, শাকিব খানকে বুবলী নিঃশেষ করে দেবে। শাকিবকে কন্ট্রোল করতে না পেরে নাকি বুবলী তাপসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। এমনকি ইদানিং তাপস বুবলীকে উঠতে বললে ওঠেন, বসতে বললে বসেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে সবশেষে মুন্নি বলেন, আমি একদিন গভীর রাতে ভিডিও কল করি তাপসকে। তখন তাকে বলি, আমি জানি বুবলী এখনো তোমার ওখানে আছে। তাকে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসতে বলো। বুবলী বেরিয়ে আসে। আমি তাকে বলি, তোমার কি কোন লজ্জা নেই? একটা মেয়ে হয়ে আরেকটি মেয়ের সংসার নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলছ কেন?

বুবলী নাকি কোন উত্তর না দিয়ে শুধু হাসতে থাকে। সেটি আর সহ্য করতে না পেরে মুন্নি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতে বাধ্য হন। সেই স্ট্যাটাস ৫-৬ ঘন্টা ফেসবুকে থাকার পর মুন্নিকে নাকি অনুরোধ করে ডিলিট করান তাপস। এই ঘটনার সত্যতা বিচার করার জন্য তিনি যুক্তি দেখান যে, আমার ফেসবুক হ্যাক হলে আর কিছুই হলো না, শুধু একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হলো, এটি কেউ বিশ্বাস করবে?

অবশেষে মুন্নি বলেন, সাংবাদিকরা যদি আসল ঘটনা জানতে চান তাহলে গান বাংলার সিরিউরিটি গার্ড কিংবা বুবলীর বাসার সিকিউরিটি গার্ডকে জিজ্ঞেস করলেই পেয়ে যাবেন সব কিছু। তারা তো আর মিথ্যা কথা বলবে না!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *