নতুন ইসির সংলাপ শুরু আজ

নতুন ইসির সংলাপ শুরু আজ

বাংলাদেশ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ (রোববার) বিকেল ৩টায় দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে ইসির এই সংলাপ কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপ হবে সবার পরে। এরপর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করবে ইসি।

এর আগে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন সাবেক নির্বাচন কমিশন একই ধরনের সংলাপ শুরু করে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর ওই বছরের ৩১ জুলাই। সংলাপ চলে প্রায় তিন মাস। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব গ্রহণের দুই সপ্তাহ পার না হতেই সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়ে এ কমিশন প্রথম অফিস করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি।

আজ প্রথম দিনের সংলাপে ইসি যে শিক্ষাবিদদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে তারা হলেন- প্রফেসর ইমেরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক এম জাফর ইকবাল, দিলারা চৌধুরী, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, নুরুল আমিন বেপারী, এম আনোয়ার হোসাইন, ইমতিয়াজ আহমেদ, এম আবুল কাসেম মজুমদার, বোরহানউদ্দিন খান, সাদেকা হালিম, নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, আকতার হোসেন, লায়লুফার ইয়াসমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্যোবিদায়ি উপাচার্য ফারজানা ইসলাম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আতিকুল ইসলাম, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য তানভীর হাসান, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য আবদুল মান্নান চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) শিক্ষক অধ্যাপক সলিমুল্লাাহ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাব্বত খান, মোবাশ্বের হোসেন, আসিফ নজরুল, তাসলিম আরিফ সিদ্দিকী, আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, মুহাম্মদ শামছুল আলম ও মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আক্তার।

এর আগে গত ৯ মার্চ নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় সবার পরামর্শের আলোকে রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রয়োজন, তার চেষ্টা করা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে সবার শেষে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *