এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
স্বামী প্রবাসে হাড়ভাঙা পরিশ্রমে ব্যস্ত আর এই সুযোগে নিজের অনৈতিক চাহিদা মেটাতে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলেন এক গৃহবধূ। কিন্তু যখন প্রেমিক বিয়ের দাবি জানায়, তখন পাল্টে যায় গল্পের মোড়! এরপর প্রেমিককে একান্তে সময় কাটাতে নিজের বাড়িতে ডাকেন ওই প্রেমিকা আর তাতে স্ত্রী সন্তানকে তুচ্ছ করে তিনি ছুটে যান তার বাড়ি। দুদিন কেটে গেলেও বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়েন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। এরপর সেই প্রেমিকা তার প্রেমিকের স্ত্রীকে কল দিয়ে যা বলেছিল তা যেন কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। কি হয়েছিলো সেদিন? অবশেষে বেরিয়ে এলো এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সেই পরকীয়া প্রেমিকার হাতেই প্রাণ গেছে স্বপন প্রামাণিক নামের সেই ব্যক্তির।
আর তার মরদেহ পাওয়া গেছে সেই প্রেমিকা রত্নার খাটের নিচ থেকে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়ায়। নিহত স্বপনের স্বজনরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, তিন চার বছর ধরে প্রবাসী আরিফের স্ত্রী রত্নার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক স্বপনের। পেশায় কাঠমিস্ত্রী স্বপন নিজের সংসারে ভরণপোষণ না দিয়ে প্রেমিকা রত্নাকে ঠিকই টাকা দিতেন। এমনকি কাজে যাওয়ার বাহানায় প্রায়ই একান্তে সময় কাটাতেন রত্নার বাড়িতে। এরপর কয়েকদিন আগে হঠাৎ কাজের কথা বলে বলে দুদিন বাসায় না ফিরলে উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে তার স্ত্রী-সন্তানদের। হঠাৎ অচেনা নাম্বার থেকে পরকীয়া প্রেমিকা জানান যে তার স্বামী বেঁচে নেই। আর তাতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে স্বপনের স্ত্রী মায়া খাতুনের। এরপর সাঁথিয়া থানায় এসে স্ত্রী ও স্বজনরা স্বপনের মরদেহ শনাক্ত করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ গিয়ে রত্নার বাড়ির খাটের নিচে স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মরদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। নিহতের ভাইয়ের অভিযোগ,রত্না বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে স্বপনকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তবে রত্নার দাবি, স্বপন নাকি নিজেই তার বাসায় গিয়ে আত্মহত্যা করেছেন! এ নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা ও তর্ক-বিতর্ক। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আপাতত একটি অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হলেও, রিপোর্ট পেলে হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে। এমি/এটিএন বাংলা