ঝড়-বৃষ্টি শুরু কবে থেকে, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

বাংলাদেশ

দেশে আগামী সোমবার (৬ মে) থেকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এ ঝড়-বৃষ্টি বিভিন্ন অঞ্চলে ছয় দিন ধরে চলতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে ঝড়-বৃষ্টিতে নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে সতর্ক থাকতে দেশবাসীকে পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, ওই ঝড়-বৃষ্টির পর তাপপ্রবাহ কমে যেতে পারে। এর আগে তাপপ্রবাহ কমবে না বলেই ধারণা তাদের।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার (৪ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর, মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এসব বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছার সঙ্গে। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এখন দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থা আরও বাড়তে পারে। আজ ও আগামীকাল সিলেটসহ দেশের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হবে। তবে আগামী ৬ মে থেকে ১১ মে পর্যন্ত ছয় দিন দেশের বিভিন্ন অংশে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পরে। হতে পারে ঝড়ও।’

কাজী জেবুন্নেছার বলেন, ‘মূলত ওই ছয় দিন সকালের পর এবং বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। একযোগে সারা দেশে একই রকম আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। এতে তাপপ্রবাহ কমে যাবে। এর আগে তাপপ্রবাহ কামার সম্ভাবনা খুবই কম।’

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুমিল্লায়, ৩৭ মিলিমিটার। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীতে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। তাতে গতকাল রাজধানীর তাপমাত্রা সামান্য কমেছিল।

এদিকে ঝড়ের সময় সবাইকে সাবধানে থাকতে বলেছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, এখন কালবৈশাখীর সময়। এ মাসে কয়েকটি কালবৈশাখী হতে পারে। এ সময় বজ্রপাতে অনেক প্রাণহানি হয়। ফলে, আমাদের সচেতন থাকতে হবে। নিরাপদ স্থানে থাকতে হবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, মে মাসের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হলো ৩২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিই হতে পারে। মাসটিতে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এই মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে।

এপ্রিল মাসে দেশে টানা তাপপ্রবাহের রেকর্ড হয়। এপ্রিলের প্রথম দিন থেকে শুরু করে পুরো মাস দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *