দেশের ২১ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে। কুয়াশার দাপট ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে তাপমাত্রা কমতে থাকায় এসব এলাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিভিন্ন জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি জেলায় গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা আজ আরও কমেছে। ফলে ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় জেঁকে বসেছে শীত।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ঢাকায় চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) সেটি আরও কমে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ঢাকায় এক ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা কমেছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জে মৌসুমের সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
সাধারণত তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেই সেই পরিস্থিতিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। হাড়কাঁপানো শীতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রির নিচে। যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হিমালয় পাদদেশীয় উত্তরাঞ্চলে শীতের ছোবলে কাহিল হয়ে পড়েছে জনপদ, গতি কমে এসেছে জনজীবনে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটছে। এদিকে, ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে সিজনাল ফ্লু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চরম দুর্ভোগে পড়েছে শিশুসহ সব বয়সী রোগী ও স্বজনেরা। তাপমাত্রার লাগামহীন এমন আচরণে সুস্থ থাকতে নানা ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকসহ বিশেষজ্ঞরা।
সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, নওগাঁসহ বেশকিছু জেলায়। এদিকে, তাপমাত্রার পারদের নিম্নমুখী প্রবণতা আরো কয়েকদিন থাকবে। একই সঙ্গে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। এছাড়াও আগামী দু’একদিনের মধ্যে বেশকিছু স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।