১৭২ রানেই অলআউট বাংলাদেশ

খেলাধুলা

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভীষণ বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। হতশ্রী ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে দুইশ’র নিচে গুটিয়ে যাবার শঙ্কা নিয়ে প্রথম দিনের চা-বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ফলে দ্বিতীয় সেশন শেষেই উঁকিঝুঁকি দেয় অলআউটের শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ১৭২ রানেই গুটিয়ে গেছে টাইগাররা।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুরে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ওভার থেকেই বাংলাদেশকে চেপে ধরে কিউইরা।

ভাগ্যক্রমে কয়েকবার রক্ষা পেলেও ২৯ রানে ভাঙে জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়ের উদ্বোধনী জুটি। জাকির বিদায় নেওয়ার পরই ভাঙনের শুরু। ইনিংসের ১১তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারের বলে মিড-অনের ওপর দিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জাকির। কেন উইলিয়ামসের তালুবন্দি হওয়ার আগে ২৪ বলে ৮ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।

এরপর দলীয় ২৯ রানেই সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার জয়ও। এজাজের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে শর্ট লেগে ল্যাথামকে সহজ ক্যাচ দিয়ে বসেন ওপেনার জয়। ৪০ বলে ১৪ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।এরপর পুরো দল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হকের দিকে তাকিয়ে ছিল। তবে তারাও ব্যর্থ হয়েছেন। শান্ত ৯ ও মুমিনুল ৫ রান করে আউট হলে দলীয় রান ৫০ হওয়ার আগেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

পঞ্চম উইকেটে শুরুর চাপ সামলে অভিজ্ঞ মুশফিকুরকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখান তরুণ দিপু। দেখেশুনে দলীয় ৫০ রান পার করেন এই দুই ব্যাটার। ৩২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে দলকে লাঞ্চ বিরতিতে নিয়ে যান তারা।

মধ্যাহ্নবিরতি থেকে ফিরে দলীয় ১০০ পার করে এই জুটি। একপর্যায়ে নিজেদের মধ্যে ৫০ রানের জুটিও গড়ে ফেলেন তারা। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৫ রান করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিক। কাইল জেমিসনের বল ডিফেন্ড করার পর হাত দিয়ে ধরে সাজঘরে ফেরেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।

এরপর মিরাজকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন দিপু। মন্থর ব্যাটিংয়ে তিনিও স্পিন ঘূর্ণিতে কাঁটা পড়েন। গ্লেন ফিলিপসের ঘূর্ণিতে ব্যক্তিগত ৩১ রানে সাজঘরে ফেরেন তরুণ এই ব্যাটার। তার ফেরার খানিক পর সোহানকেও বিদায় করেন ফিলিপস।এরপর লড়াইয়ে টিকে থাকা মিরাজকেও দলীয় ১৫০ রানের আগেই ফিরিয়ে দেন স্যান্টনার। ব্যক্তিগত ২০ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ৫৮ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় টাইগাররা।

শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন তাইজুল ও নাঈম। কিন্তু দলীয় ১৫৪ রানে তাইজুল ফিরলে সেই আশাও ক্ষীণ হয়ে যায়। শেষ ব্যাটার হিসেবে টিম সাউদির বলে আউট হয়েছেন শরিফুল ইসলাম। এতে পেসারদের মান রক্ষা করা সাউদির একমাত্র উইকেটে ১৭২ রানেই থেমেছে লাল-সবুজ শিবির।

কিউইদের হয়ে ফিলিপস ও মিচেল স্যান্টনার তিনটি করে উইকেট শিকার করেছেন। এ ছাড়া এজাজ দুটি এবং সাউদি একটি উইকেট শিকার করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *