ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়লো আরও একদিন। ফলে যুদ্ধবিরতির সময় বেড়ে গড়াল সপ্তম দিনে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশটির মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও একদিন বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হলো।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ‘জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টা এবং চুক্তির শর্তাবলী সাপেক্ষে হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চলবে।’
অন্যদিকে, পৃথক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ‘যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সপ্তম দিনের জন্য বাড়াতে একটি চুক্তি হয়েছে।’
এদিকে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির ষষ্ঠ দিনে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দী। অন্যদিকে গাজায় থাকা জিম্মিদের মধ্য থেকে ১২ ইসরায়েলিসহ ১৬ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে হামাস ও গাজার অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ৭০ ইসরায়েলি এবং যুদ্ধবিরতি কাঠামোর বাইরে থাকা অন্যান্য জাতীয়তার আরও প্রায় ৩০ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। আর ইসরায়েল থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের সংখ্যা পৌঁছেছে ২১০ জনে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর মধ্যেই ২৮ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ ওই উপত্যকায় স্থল হামলাও শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইতোমধ্যে এই যুদ্ধে সেখানে ১৫ হাজার আট শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।
টানা ৪৮ দিন যুদ্ধ শেষে গত ২৪ নভেম্বর থেকে চার দিনের সাময়কি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েল। এরপর দুদিন বাড়ানোর হয় সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। সর্বশেষ দ্বিতীয় ধাপে আরও একদিনের জন্য সামিয়ক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হল।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীর যোদ্ধারা। এতে ইসরায়েলে এক হাজার দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। ওই দিন ২৪০ জনের বেশি ইসরায়েলি ও বিভিন্ন দেশের নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর যোদ্ধারা।