মাগুরা হৃদয় নাথ স্কুল এন্ড কলেজ কে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক মডেল স্কুলে রূপান্তর

দেশজুড়ে

 

মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুরে রাউতড়া হৃদয় নাথ স্কুল এন্ড কলেজ কে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক মডেল স্কুলে রূপান্তরে নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ডিজিটাল ক্লাসরুমের উদ্বোধন হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মাগুরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডুর সভাপতিত্বে এক অভিভাবক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাগুরা -১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর । গ্রাম পর্যায়ে শতভাগ ডিজিটাল সুযোগ সুবিধা সম্বলিত স্কুল কার্যক্রম মাগুরায় এই প্রথম। স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মুন্সি সোহাগ হোসেনের সহযোগিতায় Next4Bangladesh নামে একটি প্রতিষ্ঠান এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে।

আগামীর তথ্য প্রযুক্তির বাংলাদেশে যেনো গ্রামের ছেলেমেয়েরা নেতৃত্ব দিতে পারে সে লক্ষ্যে তাদের দক্ষতা উন্নয়নে একটি বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাসের বাবলু, স্কুলের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার ঘোষ, হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেনসহ অন্যরা। বক্তারা বলেন – স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান প্রজন্মকে স্মার্ট হিসাবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। বাংলাদেশের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী যেহেতু গ্রামে বাস করেন তাই তাদেরকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার শিখতে না পারলে দেশ প্রকৃত স্মার্ট হিসেবে রূপান্তরিত হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। একইসঙ্গে ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধিতে এই প্রযুক্তি কাজে লাগবে। একাধিক ছাত্র-ছাত্রীর সাথে কথা বলে জানা গেছে -বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে তারা এখন লেখাপড়া করতে আরো বেশি উৎসাহ বোধ করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে স্কুলে আসার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে তাদের পরীক্ষায় পাশের হার ও বৃদ্ধি পেয়েছে।

ডিজিটাল প্রযুক্তি সরবরাহকারী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মুন্সি সোহাগ হোসেন জানান -এ ইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করি। আমি হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ার পরেও এ স্কুলের শিক্ষকদের সহায়তায় আমি ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পেয়েছি। সেখান থেকে ফিরে আমি নিজ গ্রামে নিজ স্কুলে শতভাগ ডিজিটালাইজেশনের জন্য কাজ করছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও জানিও প্রশাসন আমাকে যেভাবে সহযোগিতা করছে তা অভাবনীয়। আমি বাংলাদেশের গ্রাম পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলির জন্য একটি ডিজিটালাইজেশনের মডেল তৈরি করতে চাই। যে মডেল হবে দেশীয় প্রেক্ষাপটে একটি আন্তর্জাতিক মানের নতুন মডেল ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *