পশ্চিমা প্রচারণা সত্ত্বেও মস্কো ঢাকার পরীক্ষিত বন্ধু : রাশিয়ান দূতাবাস

বাংলাদেশ

পশ্চিমাদের ‘বাংলাদেশিদের চোখে তাদের দেশকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা’সফল হবে না বলে জানিয়েছে রাশিয়া। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রুশ দূতাবাস বলেছে, ‘রাশিয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের একটি নির্ভরযোগ্য, সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু ছিল ও থাকবে।’

দূতাবাস বলেছে, বাংলাদেশি ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্রে প্রকাশিত ১৪ জন কূটনৈতিক মিশনের প্রধানের সই করা একটি প্রতিবেদন তাদের চোখে পড়েছে।

প্রতিবেদনটিতে কোনো শক্ত প্রমাণ ছাড়াই রাশিয়াকে ‘আগ্রাসন’, ‘আক্রমণ’ ও ‘ইউক্রেনে অবৈধ যুদ্ধ’ চালানোর দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যা বিশ্ববাজারে ইউক্রেনীয় শস্যের সরবরাহের চেইনের ব্যাঘাত ঘটায় এবং ফলে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে।

রাশিয়ান দূতাবাস বলেছে, পশ্চিমা কূটনীতিকদের কাছ থেকে এটি শোনা আরও উদ্ভট যে ‘রাশিয়ার ক্রমাগত আক্রমণে ইউক্রেনীয় কৃষি খাতের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হবে’। এটি বিষয়গুলোকে উল্টোভাবে উপস্থাপনের আরেকটি প্রচেষ্টা।

দূতাবাস জানায়, বলকান ও পরে পারস্য উপসাগরে ক্ষয়প্রাপ্ত ইউরেনিয়াম যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহারের ফলে শুধু বোমা হামলার স্থানেই নয়, হাজার হাজার কিলোমিটার দূরেও বিশ্বব্যাপী পরিবেশ দূষিত হয়েছে।

তারা জানায়, নিজেদের স্বার্থে অন্য দেশগুলোকে ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্ব আধিপত্যের দাবিগুলো সুরক্ষিত করা এবং নিজেদের কল্যাণ, সামরিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্যের উচ্চ পর্যায় বজায় রাখার স্বার্থে নেওয়া পশ্চিমা নীতির আরেকটি উদাহরণ এটি।

দূতাবাস জানিয়েছে, ‘আমরা লক্ষ্য করি রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের ঢাকা সফরের দিনে ১৪ জন পশ্চিমা কূটনীতিকের ‘সম্মিলিত কাজ’ প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় তিনি বিস্তৃত মন্তব্য করেছেন। স্পেশাল মিলিটারি অপারেশন (এসএমও) শুরু করার কারণ, ইউক্রেনের আশেপাশের এবং বর্তমান পরিস্থিতি এবং বিশেষ অভিযান শেষ করার শর্ত প্রভৃতি বিষয় বিস্তৃতভাবে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *