দেড় মাসেরও বেশি সময় পর মাঠে ফিরতে চলেছেন লিওনেল মেসি। গত ৪ জুন পিএসজির হয়ে শেষবার খেলেছিলেন তিনি। এবার দল বদলেছেন, বদলে যাচ্ছে তার জার্সি। নতুন এক চ্যালেঞ্জ নিতে যাচ্ছেন আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের সাধনার নায়ক। নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে আগামী রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে মেসিকে পরিচয় করিয়ে দেবে ইন্টার মায়ামি।
আগামী ২১ জুলাই লিগ কাপে ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে মেসির অভিষেক হতে পারে। এই সবকিছুকে সামনে রেখে মায়ামির লডারডেলে পরিবারসহ পৌঁছে গেছেন মেসি।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের পাঠ চুকিয়ে মেসির ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিতে যাওয়ার ঘোষণার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে শুরু হয়েছে অন্য রকম উন্মাদনা। এই শতাব্দীর সেরা ফুটবলারকে বরণ করে নিতে মায়ামিজুড়ে এখন সাজ সাজ রব। মায়ামিতে যাওয়ার ঘোষণার পর শহরের একটি ভবনের দেয়ালে তার বিশাল ম্যুরাল আঁকা হয়েছিল। মেসির আগমন উপলক্ষে এবার ম্যুরালটিতে নতুন করে রং করানো হচ্ছে। যা দেখভাল করেছেন ইন্টার মায়ামির অন্যতম মালিক স্বয়ং ডেভিড বেকহাম।
যদিও মাঠের ফুটবলে বেশ ছন্নছাড়া মায়ামি। মেজর লিগ সকারের দলটি জয় পায়নি টানা ১০ ম্যাচে। অনেকেই ধারণা করেছিলেন ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সব জেতা মেসি যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন ফুরফুরে মেজাজে, কোনো চাপ নেবেন না, ক্যারিয়ারের শেষ দিনগুলো স্রেফ উপভোগ করবেন।
তবে মেসির কথা শুনে তেমনটা মনে হলো না, অন্তত টেবিলের তলানিতে থাকা দলকে জেতানোর জন্য মেসি যে আগের মতোই মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামবেন, সেটা নিশ্চিত। আর্জেন্টিনার এক টিভি অনুষ্ঠানে মেসি বলেছেন, ‘আমার মানসিকতা পরিবর্তন হবে না, যেখানেই যাই না কেন নিজের জন্য ও দলের জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব, সর্বোচ্চ স্তরে পারফর্ম করার চেষ্টা করব।’
এদিকে আগামী সপ্তাহে নতুন ক্লাবের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় হতে যাওয়া মেসির সঙ্গে ইন্টার মায়ামির কত বছরের চুক্তি হয়েছে, সেটা এখনো ঘোষণা করেনি ক্লাবটি। ধারণা করা হচ্ছে, ইন্টার মায়ামির সঙ্গে তিনি আড়াই বছরের চুক্তি করবেন।