আগামী ৪ জুন থেকে ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চলবে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন। রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চালু হতে যাওয়া নতুন ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই রুটে নতুন ট্রেনের নাম হতে পারে ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’।
বর্তমানে ঢাকা থেকে নীলফামারী হয়ে সীমান্তবর্তী জনপথ চিলাহাটি পর্যন্ত ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ নামের একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে। ২০০৭ সালে ১ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার কমলাপুর থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুর পর্যন্ত ট্রেনটি চলাচল শুরু করে। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন ইঞ্জিন কোচে (বগি) সজ্জিত রেকে ট্রেনটির চলাচল চিলাহাটি পর্যন্ত বর্ধিত করেন।
এর ৮ বছর পর দ্বিতীয় আন্তঃনগর ট্রেন পেতে যাচ্ছে ঢাকা-চিলাহাটি রুট। এতে আগামী ঈদে কিছুটা হলেও ভোগান্তি কমবে উত্তরের যাত্রীদের।
এদিকে রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নতুন ট্রেনের জন্য ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’, ‘নীলসাগর দিবা এক্সপ্রেস’, ‘নীলকুঠি এক্সপ্রেস’সহ একাধিক নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। চিলাহাটি এক্সপ্রেস নামে একটি মেইল ট্রেন বর্তমানে চিলাহাটি-পার্বতীপুর রুটে লোকাল হিসেবে চলছে।
রেলের মহাপরিচালক বলেছেন, চিলাহাটি এক্সপ্রেস নামে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন নেই। তাই এই নামে সমস্যা নেই।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে ৩৮৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নতুন ট্রেনের পরীক্ষামূলক যাত্রা সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ট্রেনের সময়সূচি চূড়ান্ত হয়নি। প্রস্তাবিত সময় সূচি অনুযায়ী, ট্রেনটি ঢাকা থেকে বিকেল সোয়া ৪টায় যাত্রা করে চিলাহাটি পৌঁছাবে রাত পৌনে ২টায়। আবার চিলাহাটি থেকে সকাল সোয়া ৬টায় যাত্রা করে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে শনিবার। ট্রেনটি ডোমার, নীলফামারী, সৈয়দপুর, জয়পুরহাট, সান্তাহার, ঈশ্বরদী বাইপাস এবং ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। ট্রেনের ১১টি বগিতে আসন থাকবে ৭৬৭টি।