ইংল্যান্ডে এটাই সম্ভবত আমার শেষ ম্যাচ: তামিম ইকবাল

ইংল্যান্ডে এটাই সম্ভবত আমার শেষ ম্যাচ: তামিম ইকবাল

খেলাধুলা
তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বিশ্ব তাকে চিনেছিল ইংল্যান্ডের মাটিতে তার অসাধারণ দুটি টেস্ট ইনিংসের জন্য। ক্রিকেটতীর্থ লর্ডসে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর ম্যানচেস্টারেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন বছর একুশের তামিম। বেলায় বেলায় বয়সটা এখন ৩৪। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে থাকা তামিম অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওয়ানডে ক্রিকেটে।

তামিমের কাছে ইংল্যান্ড সফর সবসময়ই স্পেশাল। লর্ডসে ইংলিশ পেসারদের শাসন করে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অনার্স বোর্ডে নাম লেখানো, তার পরের টেস্টেই দলের বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে অসাধারণ সেঞ্চুরি। ক্রিকেটের জন্মদাতাদের অহমে আঘাত করে ২১ বছর বয়সী তামিম তো এখানেই পেয়েছিলেন আগামীর তারকার স্বীকৃতি। এরপর গত ১৩ বছরে তামিম নিজেকে নিয়ে গেছেন চূড়ায়। টাইগারদের হয়ে ব্যাট হাতে প্রায় সব রেকর্ডই নিজের করে নিয়েছেন। হয়েছেন ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক।

অধিনায়ক তামিমের এটাই প্রথম ইংল্যান্ড সফর। যদিও প্রতিপক্ষ এখানে ইংল্যান্ড নয়, বরং আয়ারল্যান্ড। যাদের কিছুদিন আগেই ওয়ানডে ও টেস্টে ঘরের মাঠে নাস্তানাবুদ করেছে টাইগাররা। তবে ইংলিশ কন্ডিশনে চ্যালেঞ্জটা সোজাও ছিল না। তামিমের দল সে চ্যালেঞ্জে পাস করেছে ভালোভাবেই। ৩ ম্যাচের সিরিজে জয় পেয়েছে ২-০ ব্যবধানে।

৩৪ বছর বয়সী তামিমকে সিরিজ জয়ের পর পেয়ে বসেছে নস্টালজিয়া। হৃদয়ে স্পেশাল জায়গা নিয়ে থাকা ইংল্যান্ডে যে এটি তার সম্ভাব্য শেষ সফর। বয়স তার এখন ৩৪। আইসিসির ঘোষিত ফিউচার ট্যুর প্ল্যান অনুযায়ী ২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের কোনো সিরিজ নেই। ততদিন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে খোদ তামিমও আশাবাদী নন।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে তামিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ইংল্যান্ডের মাটিতে এটাই কি তার শেষ ম্যাচ?

জবাবে টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘আমি সম্ভবত ইংল্যান্ডে শেষ ম্যাচটা খেলে ফেলেছি, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ম্যাচের কথা বলব। আগামী তিন-চার বছরে কোনো সূচি নেই। কাজেই এটাই সম্ভবত আমার শেষ ম্যাচ। খুব উপভোগ করেছি।’
ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলাটা তিনি উপভোগ করেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ব্যাটে রান পাচ্ছিলেন না। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতেও ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে। শেষ ম্যাচে এসে অবশেষে পেলেন রান। ক্রিকেটের জন্মস্থানে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলায় কি তার মন খারাপ?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই (শেষ ম্যাচ খেলায় মন খারাপ)। আমি এই সিরিজের আগেই চিন্তা করছিলাম। কারণ, এই সূচিতে তিন-চার বছরে এ রকম আর কিছু নেই। আমি ভালো কিছু একটা আশা করছিলাম। কারণ, আমি এখানে যখন প্রথম আসি তখন এটা বিশেষ ছিল। এবারেরটা আমার শেষ ছিল। আর তাই আমি বিশেষ কিছু করতে চেয়েছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে করতে পারছিলাম না। যাইহোক এটা ভালো যে কিছু রান করা গেছে, অবশেষে স্মৃতিটাকে ভালো রাখার জন্য।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *