ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
আজ শনিবার (১৩ মে) বিকেলে তিনি ইউরোপিয়ান মডেলের রান থেকে প্রাপ্ত ঘূর্ণিঝড় মোখার স্থল ভাগের আঘাতের স্থান বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী দ্বীপের মানুষ সবচে বেশি বিপন্ন। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে বন্যা, ভূমিধস ও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের বড় একটি অংশ সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি। এই দ্বীপের ভূ-কাঠামোর স্থায়ী ক্ষতি হওয়ারও আশঙ্কা করছি। সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া মানুষদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়ে যাবে যদি তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা না হয়। কমপক্ষে দ্বিতীয় তলা ও তার ওপরের স্থাপনায় আশ্রয় করা দরকার।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আর আজ (১৩ মে) রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।