হাসপাতাল থেকে কলকাতার শ্যামপুকুর স্ট্রিটের বাড়িতে আনা হয়েছে কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের মরদেহ। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে নয়টায় মরদেহ নিয়ে আসা হয়। শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে কলকাতার নিমতলা মহাশ্মশানে।
তবে সমরেশ মজুমদারের মেয়ে দোয়েল মজুমদার জানিয়েছেন, তার বাবার প্রয়াণ উপলক্ষে কোনো আচার-অনুষ্ঠান হবে না।
দোয়েল বলেন, ‘রবীন্দ্র সদনে তার মৃতদেহ থাকবে না। আজ সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শ্যামপুকুর স্ট্রিটের বাড়িতেই মরদেহ রাখা হবে। বাবা চাইতেন না বলে তাই কোনো আচার-অনুষ্ঠান হবে না। দুপুরে নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।’
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতাল অ্যাপোলোয় গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় মারা যান সমরেশ মজুমদার। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। গত ২৫ এপ্রিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে ভর্তি করানো হয়েছিল সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারজয়ী সাহিত্যিককে। এরপর শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা বাড়তে থাকে। আগে থেকেই সমরেশের সিওপিডির সমস্যা ছিল। ‘ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা’ ও (স্লিপ অ্যাপনিয়া) বাড়তে থাকে। পরে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
১৯৬৭ সালে দেশ পত্রিকায় ‘দৌড়’ প্রকাশিত হওয়ার পর ‘কালবেলা’, ‘কালপুরুষ’, ‘উত্তরাধিকার’ লিখেন সমরেশ মজুমদার। এ ছাড়া ‘সাতকাহন’, ‘গর্ভধারিণী’, ‘অর্জুন’, ‘মেজরের অ্যাডভেঞ্চার’সহ অনেক পাঠকপ্রিয় উপন্যাস লিখেছেন তিনি, পেয়েছেন অনেক সম্মাননা।