বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’ বলা হয় কঙ্গনা রানাউতকে, ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে তার বদনামের শেষ নেই। বলিউড তাকে একঘরে করে রেখেছে। তবে নায়িকা হয়ে উঠতে নিজের আত্মমর্যাদা কখনও বিসর্জন দেননি বলেই দাবি করেছেন অভিনেত্রী। নিজেকে মুম্বাইতে প্রতিষ্ঠিত করতে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাকে। স্বপ্নপূরণের জন্য হিমাচল থেকে চলে আসেন মায়ানগরীতে।
যদিও ক্যারিয়ারের শুরুটা দিল্লিতেই কাটে কঙ্গনার। সেখানেই তার মডেলিংয়ে হাতেখড়ি। শুরুর সেই দিনগুলোতে একবার চরম হেনস্থার শিকার হতে হয় অভিনেত্রীকে। সেই ফেলা আসা অধ্যায়ের গল্পই এবার শোনালেন কঙ্গনা।
এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানান, হিমাচল থেকে তিনি প্রথমে চণ্ডীগড়ে পড়াশোনা শেষ করতে আসেন। তার পরই মডেলিংয়ের কাজে মুম্বাইতে পাড়ি দেন। সেই সময় যে এজেন্সির সঙ্গে অভিনেত্রী কাজ করতেন, তারাই একবার তাকে দিল্লি পাঠান। সেখানেই তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হন কঙ্গনা। তার উচ্চতা নিয়েও শুনতে হয় কটাক্ষ। তাকে নাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে নাকি অভিনেত্রী আর দিল্লিতে যেতে চাননি।
কঙ্গনার কথায়, ‘এজেন্সির তরফে কাজের জন্য আমাকে দিল্লি যেতে বলা হলে, আমি টিকিট ছিঁড়ে ফেলে দিই। আমি ওদের বলেছিলাম আর কাজই করতে চাই না। কারণ, সব সময় ওরা আমায় ছোট নজরে দেখত।’
মুম্বাইতে কঙ্গনার প্রথম কাজ ছিল একটি শাড়ির বিজ্ঞাপন। শুরুর দিকে যে সময় তিনি বিজ্ঞাপনের কাজ পেতে শুরু করেন, তখন সাধারণত পিছনের সারিতেই থাকতে হত তাকে। একাধিক বার অপমানিত হতে হয়েছিল। পরে অবশ্য ‘গ্যাংস্টার’ ছবি দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন কঙ্গনা। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।