পাকিস্তানে সিরিজ জিতে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাস

পাকিস্তানে সিরিজ জিতে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাস

খেলাধুলা
প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানের কাছে ৬ উইকেটে পরাস্ত হয় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৯ রানের জয়ে সিরিজে সমতা টানে সফরকারীরা। তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারায় কিউইরা। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছে নিউজিল্যান্ড।

শুক্রবার করাচিতে ফখর জামানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে ৯ উইকেটে ২৮০ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।

পাকিস্তানের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জিতলো নিউজিল্যান্ড। ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যায় কিউইরা। সেবার চার ম্যাচ সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত হয় সফরকারীরা। ১৯৯০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ খেলে কিউইরা। সেবার ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয় নিউজিল্যান্ড। ১৯৯৬ সালে ৩ ম্যাচ সিরিজে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারায় পাকিস্তান।

২০০২ সালে পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয় নিউজিল্যান্ড। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের সবকটি ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। পরের বছর ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ফের ধবলধোলাই হয় কিউইরা। মাঝে দীর্ঘদিন পাকিস্তান সফর করেনি নিউজিল্যান্ড। ২০২১ সালে পাকিস্তানে গিয়েও নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে কোনো ম্যাচ না খেলে দেশে ফেরে কিউইরা।

১৯৬৯ সালে পাকিস্তানে প্রথমবারের মতো কোনো ফরম্যাটে সিরিজ জেতে নিউজিল্যান্ড। তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় কিউইরা। সিরিজের দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। ৫৪ বছর পর যে কোনো সিেিরজে পাকিস্তানের মাটিতে তাদের হারাতে সক্ষম হলো নিউজিল্যান্ড।

১৪ বছর পর ভারতীয় উপমহাদেশে ওয়ানডে সিরিজ জয় পেলো নিউজিল্যান্ড। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ এই সুখস্মৃতি কুড়িয়েছিল কিউইরা। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল টাইগাররা।
শুক্রবার টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বাজে করে পাকিস্তান। দলীয় ২১ রানে দুই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। শান মাসুদ শূন্য এবং অধিনায়ক বাবর আজম ৪ রানে আউট হন। শুরুর ধাক্কা সামলে ১৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ফখর জামান এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৭৪ বলে ৬ চারে ৭৭ রানে রিজওয়ান আউট হলে ভাঙে এই জুটি। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সাজঘরে ফেরেন ফখর। ১২২ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় ১০১ রান করেন তিনি। এছাড়া আগা সালমান ৪৫ এবং হারিস সোহেল ২২  রান করেন। শেষ পাঁচ ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্কের কোঠা ছুঁতে পারেননি।

নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ১০ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। দুটি উইকেট লকি ফার্গুসনের।
টার্গেট নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৪৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ২৫ রানে আউট হন ফিন অ্যালেন। এরপর ডেভন কনওয়ে এবং অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৬৫ রানের জুটি গড়েন। ৬৫ বলে ৫২ রানে কনওয়ে আউট হন। ফিফটি হাঁকান উইলিয়ামসনও। ৬৮ বলে ২ চারে ৫৩ রান করেন তিনি। এই দুই ব্যাটার ক্রিজ ছাড়লে দ্রুত আরও দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।

দলীয় সংগ্রহে ৩৬ রান যোগ করতে আউট হন মাইকেল ব্রেসওয়েল ৭ এবং টম ল্যাথাম ১৬ রানে। এছাড়া মিচেল স্যান্টনার ১৫ এবং ইশ সোধি শূন্য রানে আউট হন। আসা যাওয়ার খেলায় এক পাশ আগলে রেখে জয় নিশ্চিত করে সাজঘরে ফেরেন গ্লেন ফিলিপস। ৪২ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ৬৩ রান করেন তিনি।

পাকিস্তানের মোহাম্মদ ওয়াসিম এবং আগা সালমান ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ নওয়াজ এবং উসামা মীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *