ইংল্যান্ডের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বেন স্টোকস সোমবার (১৮ জুলাই) হুট করেই জানান অবসরের সিদ্ধান্ত। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
অবসরের কারণ হিসেবে স্টোকস উল্লেখ করেন চাপ না নেওয়ার কথা। টেস্ট, টি-টোয়েন্টির সঙ্গে ওয়ানডে চালিয়ে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ছে এই অলরাউন্ডারের জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আরও একবার বিষয়টি জানান তিনি। স্টোকস বলেন, ‘আমরা গাড়ি নয় যে, পেট্রোল ভরে দিলেই চলতে শুরু করব। একের পর এক ম্যাচে শরীরের উপর চাপ পড়ে।’
কয়েকদিন আগে টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন স্টোকস। অতিরিক্ত চাপ না নিয়ে মূলত টেস্ট ফরম্যাটে মনোযোগ বাড়ানোর ইচ্ছে তার, ‘এই সময়ে যে ব্যস্ত সূচি থাকে, সেটা সামলানো আমার পক্ষে কঠিন। ইংল্যান্ডের জার্সি পরলে ১০০ শতাংশ দিতেই হয়। সেটাই পারছি না। একজন ক্রিকেটার যে নিজের সেরাটা ইংল্যান্ডের জন্য দিতে চায়, তার জায়গা আটকে রাখছি। অনেক ভেবে দেখলাম আমার পক্ষে তিন ফরম্যাটে খেলা মুশকিল। সেই সময় ভাবলাম যে কোনো একটি ফরম্যাটে সাদা বলের ক্রিকেট খেলব। কিন্তু কোনটা খেলব সেটা তখনও ঠিক করিনি। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলার পরেই মনে হলো, এটা থেকেই সরতে হবে।’
দীর্ঘদিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চান ৩১ বছর বয়সী স্টোকস। টেস্ট ক্রিকেট ইংলিশদের জন্য মর্যাদার বিষয়। সেই কারণেই নিজের উপর থেকে চাপ কমাচ্ছেন স্টোকস, ‘আমি এখন টেস্ট দলের অধিনায়ক। নিজের শরীরের দিকে দেখতে হবে, আমি দীর্ঘদিন খেলতে চাই। ইংল্যান্ডের হয়ে ১৪০ থেকে ১৫০টি টেস্ট খেলতে চাই। ৩৫-৩৬ বছর বয়সে পৌঁছে যখন এই সিদ্ধান্তের দিকে ফিরে দেখব, তখন মনে হবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’