কবিতার মধ্য দিয়ে অনেক না বলা কথা বলা যায় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদেরা অনেক কথা বা বক্তব্য দেন। কিন্তু একটি কবিতার মধ্য দিয়ে মানুষ অনেক বেশি উদ্বুদ্ধ হয়। কবিতার মধ্য দিয়ে, গানের মধ্য দিয়ে, নাটকের মধ্য দিয়ে, সংস্কৃতিচর্চার মধ্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছানো যায়।’
কবিতার শক্তি এবং বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামে নাটক-কবিতা, গানের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কবিতার মধ্য দিয়ে, গানের মধ্য দিয়ে, নাটকের মধ্য দিয়ে, সংস্কৃতিচর্চার মধ্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছানো যায়।’
বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে কবিতার অবদানের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের ওপর আঘাত কতবার এসেছে। কিন্তু বাঙালি বসে থাকেনি। প্রতিবারই কিন্তু প্রতিবাদ করেছে। আমাদের যাঁরা সাহায্য করতেন…তাঁরা একেকজন কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার। ‘নীল দর্পণ’ নাটকের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন এগিয়ে গিয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি কবিতার শক্তি যে কত বেশি, সেটা তো আমরা নিজেরাই জানি। ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যখন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করা যাচ্ছিল না, তখন আমাদের কবিতার মধ্য দিয়েই তো প্রতিবাদের ভাষা বেরিয়ে আসে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমি বলব যে এদেশের আন্দোলনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে কবিদের…। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সবার প্রতি। অনেকে নাটক লিখেছেন, কবিতা লিখেছেন, বই ছাপিয়েছেন, যার জন্য গ্রেপ্তারও হতে হয়েছে অনেককে, কিন্তু থেমে থাকেননি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুরু করলাম, তখনো পথনাটক, কবিতা, আবৃত্তির মধ্য দিয়েই কিন্তু এগিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। সেখানে অনেক বাধা-বিপত্তি এসেছে।’
কবিতার প্রতি নিজের আগ্রহ ও ভালোবাসার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও এমন উৎসবে বহুবার গিয়েছি। পেছনের সারিতে বসে শুনেছি।’