এটা আমার জন্য বড় প্রাপ্তি -গাজী রাকায়েত

এটা আমার জন্য বড় প্রাপ্তি -গাজী রাকায়েত

বিনোদন
গুণী অভিনেতা ও নির্মাতা গাজী রাকায়েত। আগামী ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘লাইট, ক্যামেরা…অবজেকশন’। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন সালেহ সোহবহান অনীম।

কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল ‘লাইট, ক্যামেরা…অবজেকশন’র? গাজী রাকায়েত বলেন, এ চলচ্চিত্রে একটি ঐতিহাসিক চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। চরিত্রটি হচ্ছে জহির রায়হান। ১৯৭০ সালে এই নির্মাতা পরিচালনা করেছিলেন ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’। তৎকালীন সেন্সর বোর্ড চলচ্চিত্রটি আটকে দিয়েছিল। সেই সময় বোর্ডের সঙ্গে যুক্তিতর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন জহির রায়হান।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এখানে কাজের অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। প্রোডাকশনের ডিজাইন, স্ক্রিপ্টিং, টোটাল টিম ওয়ার্ক। দারুণ ছিল সবমিলিয়ে। আমি খুবই সন্তুষ্ট কাজটি করতে পেরে। দর্শকদের বলতে চাই, এটি একটি ভালো চলচ্চিত্র। সবার দেখা উচিত। অস্কারে যাচ্ছে আপনার নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ইংরেজি ছবি ‘গোর’। ছবিটির কী অবস্থা? রাকায়েত বলেন, সাধারণ বিভাগে সিনেমাটা সাবমিশন হয়েছে। এটা আমার জন্য বড় প্রাপ্তি।

আমি আশাবাদী ছবিটি হয়তো শর্টলিস্টে আসতে পারে। ‘গোর’র পর আপনার পরবর্তী কাজের কি খবর? এ অভিনেতা-পরিচালক বলেন, একটু সময় লাগবে। কারণ আপনারা জানেন আমি যে ধরণের চলচ্চিত্র বানাই তার পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া কঠিন। তারপরও বড় বাজেটের একটা সিনেমা নির্মাণের চিন্তা করছি। যেটার নাম ‘ক্যাপটেইন কক্স’। বাংলা এবং ইংরেজি দুটো ভাষাতেই হবে সিনেমাটি। যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকবে একজন ব্রিটিশ অভিনেতা। বর্তমানে এই সিনেমার চিত্রনাট্যের কাজ চলছে।

বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতা রেনুর দাদার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? গাজী রাকায়েত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু’ ছবিতে যুক্ত হওয়াই ছিল আমার একটি ইচ্ছা। শ্যাম বেনেগালের মতো একজন বড় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করবো। শুটিংয়ের ১৫ দিন আগে আমাকে মুম্বই নিয়ে রাখা হয়েছিল। কারণ আমি যে দৃশ্যটাতে অভিনয় করেছি সেটি দিয়েই ছবির মহরত হয়। এটা আমার জন্য বড় ব্যাপার।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ। এতোগুলো বছর পার হওয়ার পর সিনেমার অর্জন কী বলে মনে হয় আপনার কাছে? উত্তরে রাকায়েত বলেন, সিনেমার অর্জন আলাদাভাবে কিন্তু অনেক ভালো।আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কার পাচ্ছে আমাদের সিনেমা। কিন্তু সেটা দিয়ে সার্বিক মূল্যায়ন করা যাবে না৷ আসলে আমাদের ৭০/৮০ লাখের ছবিকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে হাজার কোটি টাকার ছবির সঙ্গে। যে পর্যন্ত সিনেমার বাজেট ৪০/৫০ কোটিতে না পৌঁছাবে সে পর্যন্ত আন্তর্জাতিক জায়গায় যাওয়া কঠিন হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ একটি চলচ্চিত্রের দেশ হওয়ার যোগ্যতা রাখে। এটা সম্ভব হবে যদি সরকারের সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *