স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘের কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ না দেওয়ায় চীন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া একটি ভাষণে বাইডেন এই সমালোচনা করেন।
ভাষণে বাইডেন বলেন, জলবায়ু একটি বিশাল ইস্যু। এটি থেকে চীন দূরে চলে গেছে। সেই সঙ্গে রাশিয়া এবং পুতিনও একই কাজ করেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং কপ-২৬ সম্মেলনে অংশ নেননি। তবে উভয় দেশই কপ-২৬ সম্মেলনে তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসারণকারী দেশ হলো চীন। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এই তালিকায়ও শীর্ষ পাঁচের মধ্যে রয়েছে। বিশ্বের প্রায় ১২০টি দেশের নেতা স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
এরই মধ্যে এই সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু চুক্তির ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চুক্তি হলো ২০৩০ সালের বন উজাড় বন্ধ করা এবং বিশ্ব থেকে মিথেনের পরিমাণ কমানো।চীন ও রাশিয়া উভয় দেশই বন উজাড় বন্ধের প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করেছে।
চীন, রাশিয়া ও সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, চীন নিজেকে বিশ্বনেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করছে। তবে তাদের কাজে সেটি দেখা যাচ্ছে না।
বাইডেনের ভাষণ দেওয়ার আগে গতকাল মঙ্গলবার কপ-২৬ সম্মেলনে বন ব্যবস্থাপনাবিষয়ক একটি বৈঠকে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তিনি বলেন, বনভূমি সংরক্ষণের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সবচেয়ে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়া।
গত সেপ্টেম্বরে চীন অঙ্গীকার করছে, ২০৬০ সালের মধ্যে তারা ‘কার্বন-নিরপেক্ষ’ হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।