কপ-২৬ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ায় চিনপিং ও পুতিনকে ধুয়ে দিলেন বাইডেন

যত দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করা যায় ততই মঙ্গল- জো বাইডেন

আন্তর্জাতিক
বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর ডেডলাইন ৩১শে আগস্টের পরেও বৃদ্ধির দাবি থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি আফগানিস্তান ত্যাগ করতে পারবেন তারা, ততই মঙ্গল। এ লক্ষ্যে ৩১শে আগস্টের মধ্যেই সব উদ্ধার অভিযান শেষ করার প্রত্যয় ঘোষণা করেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এরই মধ্যে অনেক মার্কিন সেনাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। মার্কিন মিডিয়ায় বলা হয়েছে, এতে উদ্ধার অভিযানে কোনো প্রভাব পড়েনি। কমপক্ষে ৯ দিন আগে কাবুল তালেবানদের দখলে যাওয়ার পর কমপক্ষে ৭০,৭০০ মানুষকে আকাশপথে উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ সময়সীমা বৃদ্ধির বিরোধিতা করেছে তালেবানরা। তবে তালেবানদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বাইডেন।

তিনি বলেছেন, আমাদের লোকদের উদ্ধারে সহায়তা করছে তালেবানরা। তাদের কর্মকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ই করবে। তিনি আরো বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আকাশপথে উদ্ধার অভিযান শেষ করা হবে। কারণ, আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের হুমকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে যত বেশি সময় অবস্থান করবে, ততই বেশি তাদের ওপর এই গ্রুপের হামলার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে।

জি-৭ শীর্ষ নেতারা আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনা করার পর বাইডেন বক্তব্য রাখেন। জি-৭ হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত জোট। ওই আলোচনায় বৃটেন এবং অন্য মিত্ররা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা ৩১ শে আগস্টের পরেও বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান।

এই আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাবে বৃটেন। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও আফগানদেরকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দিতে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন তালেবানদের প্রতি। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, জি-৭ নেতারা একমত হয়েছেন যে, আফগান জনগণকে সাহায্য করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। একই সঙ্গে তাদের জন্য যতটা সম্ভব সাহায্য সহযোগিতা করা উচিত।

এখনও কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থান করছে প্রায় ছয় হাজার মার্কিন সেনা এবং কমপক্ষে এক হাজার বৃটিশ সেনা। তারা ওই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং বিদেশি ও আফগানদেরকে উদ্ধারে সহায়তা করছে। এ ছাড়া ফ্রান্স, জার্মানি এবং তুরস্কসহ ন্যাটো সদস্যদের ছোট ছোট কন্টিনজেন্ট উপস্থিত আছে সেখানে। রোববার থেকে আকাশপথে উদ্ধার অভিযান বাড়ানো হয়েছে।

এ সময়ে কমপক্ষে একুশ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিষয়ক এক কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, ৩১ শে আগস্টের আগে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারে এ মিশনের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।

ওদিকে মঙ্গলবার কোনো ঘোষণা না দিয়েই মার্কিন কংগ্রেসের দু’জন সদস্য উড়ে গিয়েছেন কাবুল বিমানবন্দরে। তারা হলেন ডেমোক্রেট সিনেটর শেঠ মুলটন এবং রিপাবলিকান সিনেটর পিটার মিজার। বিমানবন্দরে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করেন তারা।

বিভিন্ন সূত্র বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা তাদের এমন আকস্মিক সফর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কারণ, কূটনীতিক বা সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় না করেই তারা ওই সফরে গিয়েছিলেন।

বুধবার তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, তারা আফগানিস্তান ত্যাগের সময়সীমা ৩১ শে আগস্টের পরে আর বৃদ্ধি করবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *