লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক

লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক

আন্তর্জাতিক
আজ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে পবিত্র হজ পালন করবেন হাজিরা। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে দ্বিতীয়বারের মতো এ বছরও সীমিত পরিসরে এর আয়োজন করা হয়েছে।শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী হজ।

রোববার (১৮ জুলাই) মিনায় তাঁবুতে অবস্থান করেন হাজিরা। সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য ও পাপমুক্তির আশায় তাঁবুর নগরী মিনায় অবস্থান করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন আল্লাহর মেহমানরা। মিনা থেকে হাজিরা পৌঁছবেন হজের মূল অনুষ্ঠানস্থল আরাফাতের ময়দানে। সেলাইবিহীন শুভ্র কাপড়ে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এখানে সমবেত মুসলমানরা হাজিরা দেবেন।

এ ময়দানে আজ ধ্বনিত হবে ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা, ওয়ান্‌নিমাতা লাকা ওয়াল্‌মুল্‌ক্‌, লা শারিকা লাকা’ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)।

আরাফাতের ময়দানে হজের মুল খুতবা এবং জোহর ও আসর নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন হাজিরা। এ ময়দানেই হয় হজের মূল কার্যক্রম। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের সময় আরাফাতের ময়দানে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই রীতি অনুযায়ী আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেয়া হয়।

সন্ধ্যায় মুজদালিফায় গিয়ে হাজিরা আবারও মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন এবং পাথর সংগ্রহ করবেন। রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন হাজিরা। ২০ জুলাই (মঙ্গলবার) ফজরের নামাজ শেষে বড় জামারায় (প্রতীকী বড় শয়তান) পাথর নিক্ষেপ করতে আবার মিনায় যাবেন তারা।

পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ছেঁটে (ন্যাড়া করে) গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড় বদল করবেন। এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন।

কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় ‘সাঈ’ (সাতবার দৌড়াবেন) করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যতদিন থাকবেন, ততদিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট ) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন।

গত বছরের মতো এ বছরও সীমিত পরিসরে ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৌদি আরবে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। এ বছরও অন্য দেশ থেকে কেউ অনুমতি পাননি হজ করার জন্য। ফলে সৌদি আরবে থাকা ১৫০টি দেশের ৬০ হাজার মানুষ এবারের হজে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *