রোমেলু লুকাকু-কেভিন ডে ব্রুইনেদের কাঁদিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে পা রাখল ইতালি। গতরাতে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা বেলজিয়ামকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করে রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা। দলটি নয় বছর পর ইউরোর সেমিফাইনালে উঠলো।
সবশেষ ২০১২ সালে সেমিফাইনালে উঠেছিল ইতালি। সেবার অবশ্য ফাইনালও খেলেছিল। কিন্তু স্পেনের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছিল তারা।
বেলজিয়াম-ইতালি ম্যাচের বল গড়ানোর আগে অনেকেই মনে করেছিলেন এবার আসল পরীক্ষা ইতালির। বেলজিয়ামে রয়েছেন রোমেলু লুকাকু, ডি ব্রুইনের মতো তারকা ফুটবলার। ফিফার বিচারে বেলজিয়াম এক নম্বর দলও। এরকম দল যেকোনো সময় ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। সেই বেলজিয়ামও ইতালির কাছে পরাস্ত হলো।
গোলের উদ্দেশে মোট ১৪টি শট নেয় ইতালি, যার তিনটি ছিল লক্ষ্যে। আর বেলজিয়ামের ১০ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে।
খেলার ৩১তম মিনিটে ভেরাত্তির পাস থেকে গোল করে ইতালিকে এগিয়ে দেন মিডফিল্ডার নিকোলো বারেল্লা। ডি-বক্সে বল পেয়ে দুই জনের মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে জোরালো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন ইন্টার মিলানের এই মিডফিল্ডার।
এরপর ৪৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইনসিনিয়ে। বাঁ দিক দিয়ে উঠে একজনকে কাটিয়ে সামনে এগিয়ে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে অসাধারণ এক শটে বল জালে পাঠান তিনি।
তবে টানা ৩১ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে খেলতে নামা ইতালি প্রথমার্ধের প্রায় শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে বসে। অতিরিক্ত সময়ে নিজেদের বক্সে ডোকুকে ফাউল করেন লরেঞ্জো। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকেই গোল করেন লুকাকু।
বিরতির পর সমতায় ফেরার মরিয়া চেষ্টা করে বেলজিয়াম। একাধিক বার ইতালির রক্ষণে কাঁপুনি ধরান ডি ব্রুইন-লুকাকুরা। কিন্তু ইতালির ডিফেন্সকে ভাঙা সম্ভব হয়নি। তাতে গোলের দরজাও খুলতে পারেনি বেলজিয়াম।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিযোগিতাটির কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিল বেলজিয়াম। গত তিন বছর ধরে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখা দলটিকে নিয়ে এবার প্রত্যাশা ছিল অনেক। দেশটির ফুটবল ইতিহাসে বর্তমান দলটিকে বলা হয় সোনালী প্রজন্ম। তবে, তাদের একটা শিরোপার অপেক্ষা আর শেষ হচ্ছে না।