যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধ ঠেকাতে ‘কঠোর’ অস্ত্র আইনের ভাবনা

যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধ ঠেকাতে ‘কঠোর’ অস্ত্র আইনের ভাবনা

আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। একইসাথে বাড়ছে অপরাধ। এনিয়ে চিন্তায় মার্কিন প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মেয়র ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে বৈঠক করেছেন তিনি। বন্দুক আইন বদলের পরিকল্পনাও করছেন তিনি। তবে বাইডেনের পরিকল্পনায় খুশি নন রিপাবলিকানরা। বন্দুক আইন নিয়ে বাইডেনের ভাবনার সাথে এখনো সহমত নন তারা।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০০ জনের কাছে ১২১টি বন্দুক থাকে। সাধারণ মানুষের কাছে বেশি আগ্নেয়াস্ত্র আছে এমন দেশের তালিকায় শীর্ষে এই দেশ। যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর হামলার মতো পৈশাচিক ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটে। এ কারণে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও এর প্রদর্শনকে নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে আসছে দেশটির বিভিন্ন সংগঠন। অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যের কর্তৃপক্ষের তাতে সায়ও ছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার মেয়রদের সাথে বৈঠকের পর একটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেন বাইডেন। এতে তিনি বলেছেন, ‘মহামারী নিয়ে লড়াই চলছে আমাদের। পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে গরমে ফের করোনার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। এই পরিস্থিতির মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বরদাস্ত করা হবে না।’ বাইডেনের বক্তব্য, সমস্যার উৎসে আঘাত হানতে হবে। এজন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।’

তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বেআইনি অস্ত্র বিক্রির চক্র তৈরি হয়েছে। অস্ত্র ব্যবসায়ীরাই এই কাজের সাথে যুক্ত। মাত্র পাঁচ ভাগ অস্ত্র ব্যবসায়ী গোটা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বেআইনি অস্ত্রের ব্যবসা চালাচ্ছে। ফলে এই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কড়া অস্ত্র আইন তৈরি করা দরকার। এ সময় বিভিন্ন শহরের মেয়রদের তিনি বলেন, করোনার জন্য রাজ্যগুলোকে যে ফান্ড দেয়া হয়েছিল, অপরাধপ্রবণতা বন্ধ করতে এ থেকে অর্থ তারা খরচ করতে পারেন।

রিপাবলিকানদের বিরোধিতা
যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র আইন নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। ২০১২ সালে কানেকটিকাটের স্কুলে বন্দুকধারীর হামলার পর থেকে একাধিকবার এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ওবামা প্রশাসনও কড়া আইন তৈরির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বারবার বাদ সেধেছে রিপাবলিকানরা। কড়া অস্ত্র আইন তৈরির বিরোধী তারা। বাইডেনের সাথেও তারা সহমত নন।

রিপাবলিকানদের বক্তব্য, পুলিশি ব্যবস্থা আরো জোরদার করা দরকার। পুলিশের বাজেট বাড়ানো দরকার। এর মাধ্যমেই অপরাধপ্রবণতা কমানো যাবে। আলাদা করে অস্ত্র আইনের প্রয়োজন নেই। তবে ডেমোক্র্যাটরা রিপাবলিকানদের সাথে সহমত নয়। এখন দেখার বিষয় শেষপর্যন্ত বন্দুকের বিরুদ্ধে সত্যিই কোনো কড়া পদক্ষেপ বাইডেন প্রশাসন নিতে পারে কি না!

সূত্র : ডয়েচে ভেলে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *