জার্মানিতে চলমান লকডাউনে আরো কড়াকড়ি আরোপ করেছে মের্কেল সরকার। গত কয়েকমাসে দেশটির করোনা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে গেল শনিবার থেকে দেশটির লকডাউনের বিধিনিয়মে আরো কড়াকড়ি আরোপ করেছে মের্কেল প্রশাসন।
অর্থাৎ শনিবার রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চাকুরী বা জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের পাশাপাশি এক সপ্তাহে প্রতি লাখে ইন্সিডেন্সে ১৫০ এর উপর হলে কেনাকাটায় যেকোন জায়গায় প্রবেশে লাগবে করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট, একই সাথে ইন্সিডেন্স ১৬৫ হলে বন্ধ করে দেয়া হবে সীমিত আকারে খুলে দেয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও, এমনকি সামাজিকভাবে চলাফেরা করার ক্ষেত্রেও দেয়া হয়েছে কড়াকড়ি বিশেষ করে দুই ঘরের ৫ জনের পরিবর্তে শুধুমাত্র ২ জনের মেলামেশার বিধান রাখা হয়েছে, তবে ১৪ বছরের নীচে শিশুরা এই বিধানে পড়বেন না। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।
এদিকে দেশটিতে অব্যাহত টিকা কার্যক্রমের মধ্যেও ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার করোনার নতুন স্ট্রেন এর প্রবেশ নিয়েও উদ্বিগ্ন দেশটির সাধারণ নাগরিকেরা। তবে আবারো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কদিন আগে সীমিত আকারে খুলে দেয়া সিনেমাহল, থিয়েটার, চিড়িয়াখানা ও যাদুঘরগুলোও। এই অবস্থায় কর্মক্ষেত্র নিয়েও দুর্ভাবনায় আছেন দেশটিতে বসবাসরত অসংখ্য প্রবাসীরা।
তবে আশার কথা, দেশটির সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে বাড়ছে টিকা নেয়ার প্রবণতা। ইতোমধ্যে মোট জনসংখ্যার ২৪ শতাংশ প্রথম ডোজ আর আর ৮ শতাংশ নিয়েছেন করোনার ২য় ডোজ। দেশটিতে বায়োএনটেক-ফাইজার, মর্ডানা, অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর নতুন করে জনসন এন্ড জনসনের টিকা প্রদান শুরু হলে করোনাকে শিগগিরই বশে আনা সম্ভব বলে মনে করেন আঙ্গেলা মের্কেলের সরকার।