দুর্ঘটনার দায় নিয়ে তাইওয়ানের পরিবহন মন্ত্রীর পদত্যাগ

দুর্ঘটনার দায় নিয়ে তাইওয়ানের পরিবহন মন্ত্রীর পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক

গত কয়েক দশকের মধ্যে তাইওয়ানে সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনায় রেকর্ডসংখ্যক প্রাণহানির ঘটনায় সকল দায়-দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তাইওয়ানের পরিবহন মন্ত্রী লিন চিয়া-লাং। রোববার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি একথা জানান।

ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, রেল দুর্ঘটনার পর চলমান প্রাথমিক উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ার পরই মন্ত্রীর পদ থেকে বিদায় নেবেন তিনি। এই দুর্ঘটনার সকল দায়-দায়িত্বও তিনি নিচ্ছেন বলেও ওই বিবৃতিতে জানিয়েছেন লিন চিয়া-লাং।

তিনি বলেন, ‘(রোল দুর্ঘটনার পর) গত কয়েকদিনে হওয়া সকল সমালোচনা আমার মেনে নেওয়া উচিত। আমরা যথেষ্ট ভালো কাজ করতে পারিনি।’ এদিকে তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং-চানের দফতর জানিয়েছে, (ফেসবুকে) ঘোষণা দেওয়ার আগে মৌখিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের কথা জানান পরিবহন মন্ত্রী লিন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর এখন আমাদের উদ্ধার কাজ ও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার দিকে নজর দেওয়া উচিত।

গত সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় শুক্রবার তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েন শহরের ৫৪ জন নিহত হয়। এতে আহত হন আরও অন্তত ৬০ জন। শুক্রবার সকালে প্রায় পাঁচশ যাত্রীকে নিয়ে ট্রেনটি একটি সুড়ঙ্গের ভেতরে প্রবেশের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

তাইওয়ানের রেলওয়ে প্রশাসন জানায়, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে ৮ বগিবিশিষ্ট ট্রেনটি সুড়ঙ্গের প্রবেশ মুখে একটি নির্মাণসামগ্রী বহনকারী ট্রাকে আঘাত হানে। ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় সুড়ঙ্গের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় জীবিতদের উদ্ধারে বেগ পোহাতে হয় উদ্ধারকর্মীদের।

রাজধানী তাইপে থেকে টাইটুং শহরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল ট্রেনটি। কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেনটিতে ৪৯০ যাত্রী ছিলেন; যাদের অনেকেই পর্যটক। সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। ট্রেনে আসন না পেয়ে অনেকে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করছিলেন।

তাইওয়ানে সর্বশেষ এ ধরনের বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০১৮ সালে। ওই বছর দেশটির পূর্বাঞ্চলের ইলান শহরে যাত্রীবাহী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ১৮ জনের প্রাণহানি ঘটে। তার আগে ১৯৯১ সালে মিয়াওলি শহরে দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩০ যাত্রী নিহত এবং শতাধিক আহত হন।

 

সুত্র  ঃ আলজাজিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *