ভক্তদের পাগলামি দেখে চোখ ভিজে যায় প্রেরণা পাই: শাকিব খান

ভক্তদের পাগলামি দেখে চোখ ভিজে যায় প্রেরণা পাই: শাকিব খান

বিনোদন

জন্মদিন মানেই সবার কাছে বিশেষ একটা দিন। বিশেষ দিন ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের কাছেও। দেশ-বিদেশের কোটি কোটি ভক্ত বিশেষ এ দিনে তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। দোয়া করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভক্তরা তাকে নিয়ে নিজেদের অনুভূতিও প্রকাশ করছেন; এটি শাকিবের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তিনি বললেন, ‘জন্মদিনটা বিশেষ হয়ে ওঠে ভক্তদের এমন ভালোবাসাতেই’।

বিশেষ বিশেষ দিনে শাকিব খানকে নিয়ে ভক্তদের যে উন্মাদনা, তা নাড়া দেয় শাকিব খানের বাবা মায়ের মনেও! পাবনায় চলমান ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমা শুটিং স্পটে সমকাল প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে শাকিব এমনটিই জানালেন।

এ সময় জনপ্রিয় এ নায়ক বলেন, আমাকে যারা ভালোবাসেন প্রতিবছর জন্মদিন এলে তারা নানাভাবে উদযাপন করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চোখ রাখলেই ইমোশনাল হয়ে পড়ি। ভক্তরা নিজেদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করেন, বিষয়টি আমার কাছে অত্যন্ত সুখের। মাঝেমধ্যে দেখে নীরবে কাঁদি। আমার বাবা-মাও গর্বিত হয়।

শাকিব খান আরও বলেন, সব ফ্যানদের সঙ্গে আমাদের ফেস টু ফেস দেখা করা সম্ভব না। তারা নিজেরাও জানেন হয়ত কখনও সরাসরি পরিচিত হতে পারবেন না। কিন্তু বছরের পর বছর আমাকে অন্ধের মতো ভালোবাসেন। কতকিছু যে করেন আমার জন্য! একা একা যখন এগুলো দেখি, আমার চোখ ভিজে যায়। তাদের এসব পাগলামি আমাকে কাজের অনুপ্রেরণা দেয়। না হলে এতদিনে হয়ত আমার কাজের গতিপথ পরিবর্তন হতো! সবসময় বলি আমি তাদেরই জন্য, যাদের জন্য আজকের আমি।
তাই জন্মদিনে ভক্তদের বিভিন্ন পাগলামি ও অনুভূতি প্রকাশের ধরন দেখে শাকিব খানের কাছে তার জন্মদিন হয়ে ওঠে বিশেষ দিন। তার ভাষায়, ফ্যানদের জন্যই দিনটি আমার কাছে ভেরি স্পেশাল। এছাড়া তেমন কিছু মনে হয় না।

এবারের জন্মদিনে নতুন কোনো ‘মোটিভেশন’ অনুভূত হচ্ছে? জানতে চাইলে শাকিব খান বলেন, যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছি, সাফল্য পেয়েছি। ভবিষ্যতে অন্য ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করলেও সাফল্য আসবে ইনশাল্লাহ। মানুষ প্রাউড ফিল করে বলবে উনি আমাদের শাকিব খান। পরিশ্রম ও সততা রেখে ভালো কাজ করলে গন্তব্য বা সাফল্য অবশ্যই ধরা দেবে। ভালো কাজে বাধা আসবে। তাই বলে থেমে যাওয়া যাবে না। যে পারে শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও এগিয়ে যেতে পারে। এটা আমার সবচেয়ে বড় মোটিভেশন। সঙ্গে মানুষের ভালোবাসা তো আছেই।

জন্মদিনে ঢাকায় থাকা হলে লাইট ক্যামেরার বাইরে শাকিব খানের নিজের বাসায় বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়। শুধু কেক কাটার মধ্যে তা সীমাবদ্ধ থাকে না।

শাকিব খান বলেন, মায়ের সঙ্গে আমার একমাত্র ছোটবোন অন্যরকম আয়োজন করে। সেই আয়োজনের বড় অংশ জুড়ে থাকে আমার পছন্দের সব খাবার। তারা স্পেশালভাবে নিজে খাবার রান্না করে খাওয়ায়। তাদের দুজনের রান্নার ফ্যান আমি।

তবে এবারের জন্মদিনে ঢাকায় নেই ‘কিংখান’। তিনি আছেন পাবনা সদরে। এখানে আসন্ন ঈদের সিনেমা ‘অন্তরাত্মা’র শুটিং করছেন। সোহানী হোসেনের প্রযোজনায় সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ওয়াজেদ আলী সুমন। জন্মদিন উপলক্ষে প্রযোজক সোহানী হোসেন বিশেষ চমক দেন শাকিব খানকে, যা এ নায়ক কখনও ভুলবেন না বলে জানিয়েছেন।

পাবনা রত্নদ্বীপ রিসোর্টে সরেজমিনে দেখা যায়, রাত সাড়ে ১১টায় সোহানী হোসেন নিজ হাতে নানা পদের সুস্বাদু খাবার রান্না করে আনেন শাকিব খানের জন্য। ১২টা ১ মিনিটে দুটি হাতি ও ব্যান্ডপার্টি, সমগ্র রিসোর্টে আলোকসজ্জা ও শাকিবের ব্যানার মুড়িয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে কেক কাটেন। যা দেখে শাকিব খান বিস্মিত।

লেখিকা ও প্রযোজক সোহানী হোসেন বলেন, শাকিবকে আমার নিজের ভাই মনে করি। খুব অল্প সময়ে যতটুকু পেরেছি করেছি। সময় বেশি হলে হয়ত তাকে আরও অন্যভাবে সারপ্রাইজ করতে পারতাম। রাত ১২টায় বেশি কিছু করতে পারিনি বলে রোববার বিকেলে গেটটুগেদার আয়োজন করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *