টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল লর্ডসে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে ভেন্যুর পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল খুব। সম্ভাব্য ভেন্যুর নামটিও বলা হচ্ছিল-সাউদাম্পটন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীও বললেন, ১৮ জুন থেকে ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনালটি হতে যাচ্ছে সাউদাম্পটনেই।
অবশ্য ভেন্যু পরিবর্তনের পেছনে একটা বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে করোনা পরিস্থিতি। জীবানু সুরক্ষিত বলয়টাকে নিরাপদ রাখতেই এমনটা একটা ভেন্যু প্রয়োজন ছিল, যেখানে মাঠের পাশেই থাকবে হোটেল। সে হিসেবে সবচেয়ে বেশি ফেভারিট ছিল সাউদাম্পটন। আরেকটি ভেন্যুও ভাবনায় ছিল, ম্যানচেস্টারে।
যে কারণে করোনাকালে এই ভেন্যুগুলোতেই ম্যাচ হয়েছে বেশি। এসব সুবিধা থাকায় গত বছরের গ্রীষ্মে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে এসব ভেন্যুতেই সিরিজ আয়োজন করেছিল ইংল্যান্ড। তার ওপর করোনা কালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচটাও হয়েছিল সাউদাম্পটনে।
গত জুলাইয়ে এই মাঠে প্রথম টেস্ট খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। তাছাড়া অ্যাজিয়াস বোল পাকিস্তানের বিপক্ষে আয়োজন করে দুই টেস্টের সিরিজ। পরে এই মাঠে আইরিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি হয়েছিল।
তাই গাঙ্গুলী ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, ‘ফাইনালটা আসলে সাউদাম্পটনেই হচ্ছে। এটা অনেক আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যেহেতু ওই মাঠের কাছেই হোটেল। তাই জীবানু সুরক্ষিত বলয়ের পরিবেশটা নিরাপদ রাখা সহজ হবে।’