অভিশংসন বিচার: সেনেটে এবারও ট্রাম্পের রেহাই

অভিশংসন বিচার: সেনেটে এবারও ট্রাম্পের রেহাই

আন্তর্জাতিক
কংগ্রেস ভবনে কলঙ্কজনক হামলার ঘটনায় অভিশংসিত হলেও সেনেটের বিচারে আবারও রেহাই পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে হলে সেনেটের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। কিন্তু শনিবার ভোটাভুটিতে ৫৭ জন সেনেটর ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে মত দিলেও বিপক্ষে পড়ে ৪৩ ভোট।
সেনেটে ডেমোক্র্যাটদের আনা ওই অভিযোগে এবারও যে ট্রাম্প রেহাই পেয়ে যাবেন, তা আগেই অনুমিত ছিল।গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে নজিরবিহীন সেই হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে তার দল রিপাবলিকান পার্টির সাতজন সেনেটরকে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে ডেমেক্র্যাটরা। কিন্তু তাদের অন্তত ১৭ জন রিপাবলিকানের সমর্থন প্রয়োজন ছিল।
সেনেটের অভিশংসন বিচার মূলত একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, ফৌজদারি বিচার নয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ কোনো প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করলে তাকে ওই পদ থেকে অপসারণের জন্য সেনেটে এই বিচারের আয়োজন করা হয়।গত নির্বাচনে পরাজিত ট্রাম্প ইতোমধ্যে তার মেয়াদ শেষে বিদায় নিয়েছেন।
অভিশংসন বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে তার আবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথও বন্ধ করার সুযোগ ছিল। তবে সেই চেষ্টায় সফল হতে পারেনি ডেমোক্র্যাটরা।সেনেটের বিচারে রেহাই পাওয়া ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একজন বৈধ প্রার্থী বিবেচিত হবেন, যদি তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।আর সেনেটের ভোটাভুটি শেষ হওয়ার পরপরই এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, তার ‘অভিযাত্রা চলবে’।
ক্যাপিটলে হামলায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি ট্রাম্পকে অভিশংসিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ।যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি দুই বার প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়েছেন।ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০১৯ সালে একবার প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হন ট্রাম্প। তবে সেবারও সেনেটে ভোটাভুটিতে তার পদ রক্ষা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *