ইউরোপে ছাড়পত্র পেল অক্সফোর্ডের টিকা

ইউরোপে ছাড়পত্র পেল অক্সফোর্ডের টিকা

আন্তর্জাতিক

ফাইজার ও মডার্নার পর আনুষ্ঠানিকভাবে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনকা উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স অ্যাজেন্সি। শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেলে এক টুইটে বিষয়টি নিশ্চিত করে সংস্থাটি। ফলে এখন থেকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলো চাইলে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনকা উদ্ভাবিত করোনার টিকাও ব্যবহার করতে পারবে।

ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছেন, চূড়ান্তভাবে করোনা নির্মূল করতে হলে কোনো একটি জনসংখ্যার ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের শরীরে কার্যকর অ্যান্টিবডির উপস্থিতি থাকতে হবে। এরই অংশ হিসেবে ধাপে ধাপে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলো থেকে কমপক্ষে ৪৫০ মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাসকিনেশনের আওতায় আনা হবে।

ইউরোপিয় ইউনিয়ন ইতিমধ্যে ফাইজার, মডার্না, জ্যানসেন ফার্মাসিউটিক্যাল এনভি, কিউরভ্যাক, অ্যাস্ট্রোজেনকা, সানোফি, গ্ল্যাক্সোস্মিথ ক্লাইনসহ ভ্যাকসিন সরবারহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে টিকা কেনার অগ্রিম

চুক্তি সই করে রেখেছে। এর অংশ হিসেবে আগামী আগস্টের মধ্যে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনকার পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়নসহ মোট ৪০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে সরবারহ করার কথা।

তবে অ্যাস্ট্রোজেনকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামে তাদের যে দুটি টিকা প্রস্তুতকারী প্ল্যান্ট রয়েছে, পর্যাপ্ত সক্ষমতার অভাবে তারা সেখানে আশানুরূপভাবে টিকা উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছে না।

অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনকা উদ্ভাবিত করোনা টিকার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে অন্যান্য টিকার তুলনায় দামের দিক থেকে এটি বেশ সস্তা। ফাইজার ও বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনার টিকার প্রতিডোজের দাম

গড়ে ১৫ ব্রিটিশ পাউন্ড, মডার্না উদ্ভাবিত এমআরএনএ-১২৭৩ টিকার প্রতিডোজের দাম গড়ে ২৫ ব্রিটিশ পাউন্ড ও রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত টিকা স্পুটনিক ভির প্রতি ডোজের দাম গড়ে সাড়ে সাত ব্রিটিশ পাউন্ড। সেখানে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনকা উদ্ভাবিত করোনা টিকার প্রতিডোজের মূল্য তিন ব্রিটিশ পাউন্ড।

এছাড়াও ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি করোনা টিকা সংরক্ষণ করতে যেখানে মাইনাস ৯৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার প্রয়োজন, সেখানে সাধারণ রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রায় অর্থাৎ ৩৫.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে ৪৬.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনকা উদ্ভাবিত করোনার টিকা সংরক্ষণ করা সম্ভব।

এমনকি এ টিকা পরিবহনের ক্ষেত্রেও তেমন একটা জটিলতা নেই। বিভিন্ন ট্রায়াল থেকে প্রান্ত তথ্য অনুযায়ী, অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনকা উদ্ভাবিত করোনা টিকার কার্যকরিতা ৬২-৯০ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *