সাঈদ খোকনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ ফেব্রুয়ারি

সাঈদ খোকনের দুই মামলার একটি খারিজ অন্যটি প্রত্যাহার

বাংলাদেশ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে হওয়া মানহানির দুই মামলার একটি খারিজ অন্যটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ বাদী কাজী আনিসুর রহমানের মামলাটি গ্রহণের কোনো উপাদান না থাকায় খারিজ করে দেন।

অপরদিকে বাদী অ্যাডভোকেট মো. সারোয়ার আলম মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে গত ১২ জানুয়ারি সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বলেছিলেন, ‘দেশের মানুষ বিষয়টাকে হাস্যকর হিসেবে নিচ্ছে। এর আগেই আমি বলেছি। একটি দায়িত্ববান পদে থাকলে অনেকেই অনেক কথা বলবে। গতকাল যে মামলা করা হয়েছে, তার সঙ্গে আমি জড়িত নই। অতি উৎসাহী কিছু লোক এ মামলা করেছে। আমি তাদের মামলা প্রত্যাহারের জন্য বলবো।’

প্রসঙ্গত, সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে ১১ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে দুটি মামলার আবেদন করা হয়।

গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীতে এক মানববন্ধনে শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। ওই সময় তিনি অভিযোগ করেন, তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে স্থানান্তরিত করেছেন। এছাড়া শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করছেন।

সাঈদ খোকন আরো বলেন, তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। অন্যদিকে অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। পরিদন রবিবার সাঈদ খোকনের এ বক্তব্যকে তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত বলে মন্তব্য করেন মেয়র তাপস।

রাজধানীর দুই মার্কেটে নকশার বাইরে বরাদ্দ দোকান উচ্ছেদে সম্প্রতি অভিযান শুরু করে ডিএসসিসি। ওই ঘটনার পর থেকে ডিএসসিসির সাবেক ও বর্তমান মেয়রের মধ্যে বক্তব্য-পাল্টাবক্তব্য চলছিল। গত ৩০ ডিসেম্বর সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নেন আদালত।

ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালতে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপারমার্কেট-২ ব্লক-এ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু অভিযোগটি দাখিল করেন। ওই ঘটনার পর দুপক্ষের বিবাদটি প্রকাশ্য রূপ পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *