সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচার শুরু ৮ ফেব্রূয়ারি

শেষবেলায় চীনকে ধাক্কা ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক

হোয়াইট হাউজ থেকে বিদায় নেওয়ার আগে ফের চীনকে বড়সড় ধাক্কা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । এবার তিব্বত সংক্রান্ত একটি বিলে সই করে পরবর্তী দলাই লামার নির্বাচনে বেইজিংয়ের প্রভাব অনেকটাই খর্ব করে দিলেন তিনি।

কয়েকদিন আগেই মার্কিন কংগ্রেস তিব্বত নীতি সহায়ক বিল পাশ করেছিল। রবিবার সেই বিলে স্বাক্ষর করে তা আইনে পরিণত করেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এই নয়া আইনে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, পরবর্তী দলাই লামা নির্বাচন করতে চীন বা অন্য কোনও দেশের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন নেই তিব্বতীদের। নিজেদের পছন্দ মতো ধর্মগুরু বেছে নিতে পারবেন তারা।

কমিউনিস্ট আগ্রাসন এড়িয়ে সেই ১৯৫৯ সালে দলবল নিয়ে তিব্বত থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন ১৪তম দলাই লামা। তারপর থেকে ধর্মশালায় থাকেন তিনি। কিন্তু বর্তমান দলাই লামাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে দেখে চীন ।

কমিউনিস্ট দেশটির অভিযোগ, তিব্বতকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছেন তিনি ভারতে কমপক্ষে এক লাখ তিব্বতি রয়েছেন। ইউরোপ এবং আমেরিকাতেও রয়েছেন কিছু মানুষ। এই আইনে বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে চীনা দূতাবাস বাড়াতে গেলে সবার আগে তিব্বতের রাজধানী লাসায় মার্কিন দূতাবাস তৈরির ছাড়পত্র দিতে হবে চীনকে। এছাড়া তিব্বতের মানুষের জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। মেধাবী তিব্বতি ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পড়তে যেতে পারবেন।

তিব্বত, হংকং ও তাইওয়ান নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে বরাবর সুর চড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তিব্বতের বাসিন্দাদের ওপর চীনের সরকার অকথ্য অত্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এমন টানটান পরিস্থিতিতে গত নভেম্বর মাসে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে হোয়াইট হাউজ ঘুরে এসেছেন তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধান লোবসাঙ্গ সানগে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *