বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশে উপকূলীয় রাডার নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে চায় ভারত

আন্তর্জাতিক

চীনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতও দক্ষিণ এশিয়ায় বিভিন্ন দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে রাডার নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করছে বলে খবর দিয়েছে দ্য হিন্দু।

তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশসহ অধিক সংখ্যাক দেশকে উপকূলীয় রাডার নেটওয়ার্কের আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। এর অধীনে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ ও মিয়ানমারকে এই চেইন নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্য স্থির করেছে ভারত। প্রভাবশালী অনলাইন দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত তার উপকূলীয় রাডার চেইন নেটওয়ার্ক বা কোস্টাল রাডার চেইন নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করার লক্ষ্য স্থির করেছে। এর ফলে সমুদ্রে নজরদারি সহজ হবে। একই সঙ্গে ভারত মহাসাগরে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। প্রতিরক্ষা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, এরই মধ্যে এই নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে মৌরিতিয়াস, সিসিলি এবং শ্রীলঙ্কা। মালদ্বীপ এবং মিয়ানমারকে নিয়ে একই রকম পরিকল্পনা পাইপলাইনে রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে চলছে আলোচনা।

এ ছাড়া আরো কিছু দেশের সঙ্গে একই রকম প্রস্তাব তোলা হয়েছে বলে দ্বিতীয় একটি সূত্র জানিয়েছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
গত বছর মালদ্বীপে দুটি উপকূলীয় রাডার স্টেশন চালু হয়েছে। তৃতীয় একটি স্টেশন বসানোর কাজ চলছে। তা এ বছরের প্রথম দিকে শেষ হওয়ার কথা ছিল। গুরুগ্রামে স্থাপন করা হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট এন্ড এনালাইসিস সেন্টার। ২৬/১১ এর মুম্বই হামলার পর এটি স্থাপন করা হয়েছে। এসব স্টেশন থেকে সমুদ্রের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। সমুদ্রে জলযান চলাচল সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায় এবং তথ্য বিনিময় করা যায়। ফলে ৩৬টি দেশের সঙ্গে শিপিং এগ্রিমেন্ট বা নৌযান চলাচলের চুক্তি করতে ভারতের নৌবাহিনীকে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এখন পর্যন্ত ২২টি দেশ ও একটি বহুজাতিক ‘কনস্ট্রাক্টের’ সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি চুক্তি ও একটি বহুজাতিক ‘কনস্ট্রাক্ট’ তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সুত্র: দ্য হিন্দু’র রিপোর্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *