জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈল রেল গেইট এলাকায় বাস ও ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১২ জন হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
শনিবার সকাল ৭টার দিকে পার্বতীপুর-রাজশাহীগামী ৩২ নম্বর উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- বাসচালক সদর উপজেলার হারাইল গ্রামের মামুনুর রশিদ, হিচমী গ্রামের মানিকের ছেলে রমজান, পাঁচবিবি উপজেলার আটুল গ্রামের সরোয়ার হোসেন, আরিফুর রহমান রাব্বি, আক্কেলপুর উপজেলার চক বিলা গ্রামের দুদু কাজীর ছেলে সাজু মিয়া এবং নওগাঁর রানী নগর উপজেলার বিজয়কান্দি গ্রামের বাবু।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, পার্বতীপুর থেকে রাজশাহীগামী উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে বাঁধন পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। বাসটি জয়পুরহাট থেকে পাঁচবিবি যাচ্ছিল। পথে বাসটি পুরানাপৈল রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনটিও সেখানে চলে আসে। এতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি রাজশাহীতে যাচ্ছিল। অপরদিকে পাঁচবিবি থেকে ছেড়ে আসা বাসটি জয়পুরহাটে যাওয়ার পথে পুরানাপৈল রেলগেটে উঠে পড়ে। এতে ট্রেনটি ওই বাসকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই ১০ জনের মৃত্যু হয়। পরে আরও দুইজন মারা যান।
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
এ ঘটনায় উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।