ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, দেশটিতে আগামী বছরের কমপক্ষে মাঝামাঝি পর্যন্ত করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকবে। রাজধানীর প্যারিসে একটি হাসপাতালে পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, বিজ্ঞানীরা তাকে জানিয়েছেন আগামী গ্রীষ্মের আগ পর্যন্ত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকবে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও ফ্রান্স নতুন করে পুরোপুরি বা আংশিক লকডাউনে যাবে কিনা তা এখন্ বলা যাচ্ছে না।
এরই মধ্যে দেশটিতে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছেছে। খবর বিবিসির
শুক্রবার ফ্রান্সে নতুন করে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ২৯৮ জন মারা গেছেন। এছাড়া রাশিয়া, পোল্যান্ড, ইতালি ও সুইজারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশেও নতুন করে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে।
ফ্রান্সে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার রাত থেকে দেশটির দুই তৃতীয়াংশ অঞ্চলে ছয় সপ্তাহের জন্য রাতে কারফিউ জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, সংক্রমণের হার ৩ হাজার থেকে ৪ হাজারে নেমে এলে এই কারফিউ শিথিল করা হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এর আগে ইউরোপে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইউরোপে গত ১০ দিনে সংক্রমণের হার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। এই মহাদেশে এখন পর্যন্ত ৭০ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ২ লাখ ৪৭ হাজার জন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেরবাইয়াসস জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাস খুব কঠিন হতে যাচ্ছে। কিছু দেশ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ২০ লাখেরও বেশি করোনাভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১১ লাখের বেশি মানুষ।